বিশেষ কিছু নেই বলার মত। প্রতিবাদী একজন মানুষ আমি। অনেকেরই মত...... :)
একটি বড়সড় পোষ্ট। হাতে সময় নিয়ে ঢোকার জন্য অনুরোধ থাকলো।
এই বিষয় নিয়ে কিছু লেখার আগ্রহ নেই।
তারপরও লিখছি। কারণ, মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর একটি লেখা আমাকে লেখতে সাহায্য করেছে। নিজেকে আমি জ্ঞানী বলে মনে করি না এবং আমার বুদ্ধি অতি সামান্য। আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে যে কথাগুলো এসেছে, সেগুলোই আমি লিখছি। এরমাঝে অন্যকিছু নেই।
এত কম বুদ্ধি নিয়ে কিছু লিখতে সাহস করায় ক্ষমাপ্রার্থী।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অষ্ট্রেলিয়ান কোচ জেমি সিডন্স ৩ তারিখে দুইটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকদের সামনে নাকি চরম আপত্তিকর(!) কিছু কথা বলেছেন। পাকিস্তানের সাথের ম্যাচে নিজেকে বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান বলে পরিচয় দেওয়া বাংলাদেশের গর্ব এবং ১০ বছরের ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল ৪৯ বলে ৬৫ রান করেছেন। আমাদের জন্যে অবশ্যই সৌভাগ্যের ব্যাপার সেটি। কিন্তু বাংলাদেশ ম্যাচটি জিততে পারেনি, সেটা অবশ্যই অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার।
এরপর জেমি সিডন্স কয়েকটি কথা বললেন। একটি হলো, আশরাফুলের ১০ বছর ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা থাকা সত্বেও প্রতিবার বাজেভাবে আউট হয়। এমনকি পাকিস্তানের সাথের ম্যাচেও নাকি বাজেভাবে সুইপ শট খেলতে গিয়ে কয়েকবার আউট হতে পারতো। এটা অন্যান্য সময়ের মত এবারও সিডন্সের ভালো লাগেনি। কালের কণ্ঠের সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদ জিজ্ঞাসা করেছিলেন অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষের পরবর্তী ম্যাচে আশরাফুলের সম্ভাবনা নিয়ে।
জেমি সিডন্স এককথায় বলে দিয়েছিলেন, আশরাফুল অষ্ট্রেলিয়ার সাথের ম্যাচে ০ রানে আউট হবে। এবং তিনি একই সাথে আরও যুক্ত করেছেন, বিসিবি কি আশরাফুলের পক্ষে মিডিয়ায় লেখার জন্য টাকা দেয় কি না!
এই কথাগুলো নিয়ে মাঝের দুইদিন মিডিয়ায় যথেষ্ট তোলপাড় হয়েছে। সিডন্সের গুষ্ঠি উদ্ধার করেছেন প্রায় সবাই। তথাকথিত চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীও জ্বলে উঠেছিলেন নিজের প্রতিভা(!)র মাধ্যমে, কালের কণ্ঠে তিনি তোলপাড় তুলেছিলেন তার কথা দিয়ে।
একটু পূর্বে ফিরে যাই।
বাংলাদেশ দলটি নিয়ে কিছুই বলার নেই আপাতত। তারপরও হয়তো কিছু কথা বলবো। মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর লেখা দিয়েই শুরু করছি। নির্দ্দিষ্ট কিছু অংশ তুলে ধরছি।
ফারুকী বলেছেন, আমি সব সময়ই বিশ্বাস করি, আশরাফুলের খারাপ খেলার পেছনে আসল দায়ী ব্যক্তিটিই সিডন্স।
আপনি যদি এই পর্যায়ে খেলতে থাকা একজন ব্যাটসম্যানের টেকনিক বদলানোর চেষ্টা করেন, তাঁর কানের কাছে সারাক্ষণ নেতিবাচক কথা বলতে থাকেন, দলের অন্য ব্যাটসম্যানকে বলেন, 'তোমার স্বাভাবিক খেলা খেলো' আর আশরাফুলকে 'কী করা যাবে কী করা যাবে না' জাতীয় বৃত্তের মাঝে ঢুকিয়ে দেন_তাহলে পৃথিবীর কোনো ব্যাটসম্যানের পক্ষেই ভালো খেলা সম্ভব নয়। তার পরও আপনি যদি বোঝেন দলের অভিভাবক সিডন্স সাহেব দেখতে চান আপনি যেন শূন্য রানে আউট হন, তাহলে কোনো দিনও আপনার পক্ষে ভালো ব্যাট করা সম্ভব নয়। সিডন্সের মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, আশরাফুলের রানে ফেরায় তাঁর ভীষণ গাত্রদাহ হচ্ছে।
আশরাফুল বাংলাদেশ দলের হয়ে ক্রিকেট খেলছে ১০ বছর যাবৎ। এই সময়ের মাঝে সে ১ মাসের জন্যেও ধারাবাহিক ছিলো না।
এটা কি একজন টেষ্ট ক্রিকেটারের খেলার মান? তার রানের গড় সংখ্যা দেখলে লজ্জা পেতে হয়। অন্যান্য দেশীয় বোলারদের রানের গড়ই তার চাইতে অনেএএএক বেশি। আশরাফুল বাংলাদেশ দলকে তার মূল্যবান সময় দিচ্ছে গত ১০ বছর যাবৎ। জেমি সিডন্স কি গত ১০ বছর যাবৎ বাংলাদেশ দলের কোচ? আশরাফুলের টেকনিক(!) কবে ছিলো। আশরাফুলের মাঝে কোন টেকনিক আছে? এবং জেমি সিডন্স কবে চেয়েছিলেন আশরাফুল ০ রানে আউট হোক? উনি একজন শিক্ষক।
শিক্ষক জানে শিক্ষার্থীর দূর্বলতা কি। জেমি সিডন্স বাংলাদেশ দলের কোচ যেদিন থেকে, সেদিন থেকেই তিনি আশরাফুলকে শোধরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাঁর আগমনের পূর্বে ডেভ হোয়াটমোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু 'ঘাড়ত্যাড়া' এবং 'অভিজ্ঞ' বলে নিজেকে পরিচিত করতেই বোধহয় আশরাফুল কোচদের কথা আজ অব্দি কানে তোলেননি। সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিমকে দেখুন।
দুইজনের বাংলাদেশ জাতীয় দলে পদার্পণ একই সময়ে। মুশফিককে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সাকিব আল হাসানকে দেখুন। সাকিবের খেলা শুরুতে খুব একটা আশাপ্রদ ছিলো না। কিন্তু প্রথম ৬ ম্যাচ খেলার পর উনি ধারাবাহিকভাবে রান পেতে থাকেন। এরপর তাঁর কাছে রহস্য জানতে চাওয়া হলে উনি বলেন, কোচ যা বলেন, আমি তাই মেনে চলি।
এবং সেজন্যেই আমি আজ আমার সমস্যাগুলো দূর করতে পেরেছি। ফলস্বরূপ, আজ সাকিব আল হাসান বিশ্বের ১ নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবে নিজের স্থান এখনও ধরে রেখেছেন। এতে কি প্রমাণ হয় না, আমাদের বাংলাদেশ দল একটি উঁচুমানের দল?
ফারুকী আরও বলেছেন, নেতিবাচক কথা, তথা 'কি করা যাবে কি করা যাবে না' এমন কথাগুলো খেলোয়াড়কে বললে নাকি তাহলে নাকি কোন খেলোয়াড়ের পক্ষেই ভালো খেলা সম্ভব নয়!!!
আচ্ছা, কোচ কেন তাহলে? কোচরা তো থাকেনই খেলোয়াড়দের দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য। তাঁদের কথা মেনে চলে কাজ করেই তো আজ সাকিব আল হাসান বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, অষ্ট্রেলিয়া, ভারত দল এখনও প্রায় অপ্রতিরোধ্য। এখনও ক্রিকেটের সেরা দল অষ্ট্রেলিয়া, ভারত দলের ক্রিকেটার রিকি পন্টিং, মহেন্দ্র সিং ধোনিরা নিজেদের ভুল শোধরায়।
ক্রিকেটে সবচাইতে বেশি রান করা ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের কথা কে শোনেনি? উনি আজও বলেন, আমি আমার সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করে থাকি। সেজন্যেই আমি আজও ভালো খেলা খেলতে পারি। উনার ২০ বছর ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা থাকা সত্বেও উনি যদি এমন কথা বলেন, তাহলে আমাদের আশরাফুল মহাশয় কি টাইম মেশিনে ভ্রমণ করে? আশরাফুল কি নিজেকে ৪০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বলে মনে করে নাকি?
ফারুকী বলেছেন, বিদেশি কোচদের এই এক সমস্যা। তাঁরা যখন বাংলাদেশে আসেন তখন ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির লাট সাহেব হয়ে যান। তারপর নিজের অনুগত একটা বাহিনী তৈরি করে দলের মাঝে দুটা ভাগ করেন।
তারপর ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসিতে দল চালিয়ে দলের একচ্ছত্র ঈশ্বর হতে চান। সাদা চামড়ার এই 'প্রভুরা' সব সময়ই আমাদের 'দর্শকপ্রিয়' খেলোয়াড়দের অপছন্দ করেন। তাঁরা নানা রকম আনফিট তত্ত্ব আর টেকনিক তত্ত্ব দাঁড় করিয়ে ওই খেলোয়াড়দের ধ্বংস করার চেষ্টা করেন। আরে ভাই, এই পর্যায়ে এসে টেকনিক ঠিক করতে হলে তো সেলিম মালিক বা বীরেন্দর শেবাগ খেলতেই পারতেন না। টেকনিকের প্রবল ঘাটতি নিয়েই তো তাঁরা বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করেছেন, করছেন।
আমাদের বোধহয় মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীকেই বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে প্রয়োজন, তাই না? যে লোককে ক্রিকেটের কথা বলতে গেলে বলবে, কয় বলে এক ওভার হয়, সে কিনা.....
যাকগে, বিদেশী কোচদের নিয়ে সমস্যা? হে হে..... আমাদের দেশে একটা হুজুগ রয়েছে। নির্দ্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড়কে দলে চাই'ই চাই। নইলে কোচ বাদ। মনে পড়ে, ফুটবলের এডসন সিলভা ডিডো'র কথা? এখনও সিংহভাগ মানুষ মনে করেন, বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতির জন্য তাঁকে দরকার ছিলো। সত্যিই তো।
কিন্তু উনাকে চলে যেতে হলো কেন? কারণ, উনি বাংলাদেশের জাতীয় দলের দলীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করে ৮ জন খেলোয়াড়কে বাদ দিয়েছিলেন। উনি ব্যক্তিস্বার্থের কথা চিন্তা করেননি। সেইটাই সইলো না! উনাকে তাড়িয়ে দেওয়া হলো। যাওয়ার আগে তিনি বলে গিয়েছিলেন, বাংলাদেশের ফুটবল দলের জন্য কেউ ভাবে না। সবাই ভাবে ব্যক্তিস্বার্থের কথা।
হায়! উনি যদি দেখতেন বাংলাদেশের সবকিছুই এমন!! ক্রিকেট দলেও একই অবস্থা।
এক আশরাফুল ছাড়া চলবে না বাংলাদেশ দল? ওর মত অধারাবাহিক খেলোয়াড়ের দরকার কি? অলক কাপালীর মত একজন ধারাবাহিক খেলোয়াড়কে বাইরে রেখে আশরাফুলের মত একজন বুড়ো শিক্ষানবীশকে দলে রাখার মানে কি?
ফারুকীর কথা অনুযায়ী, টেকনিক প্রবল ঘাটতি নিয়েই বিরেন্দর শেবাগরা বিশ্ব শাসন করেছেন। বাহ! ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। খেলোয়াড়কে ঠিক করার দায় কোচদের। এবং জেমি সিডন্স একজন বিশ্বমানের কোচ।
সিডন্স একজন পেশাদার কোচ। উনি ছিলেন এককালের অপ্রতিরোধ্য অষ্ট্রেলিয়া দলের কোচ জন বুকাননের সহকারী। সেই অপ্রতিরোধ্য অষ্ট্রেলিয়া দলের কথা আশা করি মনে করাতে হবে না? জেমি সিডন্সের ক্যারিয়ার আছে। উনি নিজের স্বার্থেই চাইবেন দলের উন্নতি করানোর জন্য। সেটাই আমাদের মত ব্যক্তিস্বার্থের খোঁজ করা মানুষদের সহ্য হবে না।
এবার আসি অতি সম্প্রতিকালের একটি কথায়। আশরাফুল গতকালই জেমি সিডন্সের কথা সত্য বলে প্রমাণ করেছে। সত্যিই সে ০ রানে আউট হয়েছে। সে কেমন মানের খেলোয়াড়? সে অন্ততঃ ১ রানও তো করে কোচের ০ রানের কথা মিথ্যে বলে প্রমাণ করতে পারতো! সে কোচের কথা যে মিথ্যা বলে প্রমাণ করতে পারলো না, সেটাতেই কি তার সামর্থ্য এবং জেমি সিডন্সের কথা প্রমাণ হলো না? সিডন্স হলেন শিক্ষক। তিনি জানেন, তাঁর ছাত্রের দুর্বলতা কোথায়।
সেটাই তিনি বলায় মিডিয়া তাঁর পেছনে উঠে-পড়ে লেগেছিলো। এখন হয়তো অনেকে বলতে পারেন, সিডন্সের সেই কথাটির জন্যেই আশরাফুল ০ রানে আউট হয়েছে। কিন্তু কথাটি কি গ্রহণযোগ্য হবে? আশরাফুল যদি সামান্য এই একটি কথার চাপই সামলাতে না পারে, তাহলে তার জাতীয় দলে থাকার কোন যোগ্যতাই যে নেই, সেটাই আবারও প্রমাণ হলো। জাতীয় দলের চাপ প্রচুর। এটা পাড়ার ক্রিকেট নয়।
জেমি সিডন্স একটি অভিযোগ করেছেন। বোর্ড সাংবাদিকদের টাকা দেয় নাকি, আশরাফুলের পক্ষে লেখার জন্য। কথাটি চরম যুক্তিযুক্ত।
মিডিয়ার শক্তি আমরা সবাই জানি। ব্রিটিশ মিডিয়ার দিকে একবার দৃষ্টিপাত করুন।
ওরা যেমন উঁচু নাক নিয়ে থাকে, তেমনিভাবে দেখুন। কেউ কোন ম্যাচে খারাপ খেললে তাকে মাটিতে নামিয়ে পুঁতে ফেলার ব্যবস্থা করে। একটা উদাহরণ দিই। কেভিন পিটারসেন। ইংল্যান্ড দলের একজন অতি নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়।
সে এখন তার ক্যারিয়ারের খারাপ সময় পার করছে। একটা সময় যেকোন খেলোয়াড়ের ফর্ম খারাপ থাকে। পিটারসেনের এখন ঠিক তাই'ই। তাতেই দেখুন, আগে ওকে নিয়ে যেমন মাতামাতি করতো, এখনও কি করছে? ওকে পারলে ধ্বংস করে ফেলে, এমন অবস্থা।
সিডন্সের সেরকম কথা বলার কারণ হলো, খেলোয়াড়রা মিডিয়া থেকেও শিক্ষা নেয়।
আশরাফুল বরাবরই অধারাবাহিক। মিডিয়ায় যদি কেউ নিজের সুনাম দেখে, তবে কেউই উন্নতি করার আগ্রহ পাবে না। মনে করবে, আমি তো উঁচুতেই আছি। আমার সবকিছুই ঠিক আছে। এই ঘটনাই ঘটেছে আশরাফুলের ক্ষেত্রে।
মিডিয়ায় সমালোচনা হলে খেলোয়াড়রা ভালো কিছু একটা করার জন্যে জেদি হয়ে উঠে। সেই জন্যেই সিডন্স যদি খেপে গিয়ে এ কথা বলে থাকেন, সেক্ষেত্রে দোষের কিছু দেখি না। উনি বাস্তবটাই বলেছেন।
খেলোয়াড়দের ধারাবাহিকতার পার্থক্য খুঁজতে এখন আর আমাদের অন্যান্য দলের সাথে তুলনায় যেতে হয় না। পার্থক্য আমাদের বাংলাদেশ দলেই রয়েছে।
আশা করি, সেগুলো সবারই চোখে পড়ে?
কেউ যদি শিক্ষকের কথা না মানে, তবে তার ভবিষ্যত সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। বেশিকিছু বলার নেই।
পোষ্টটি খুব বেশিই বড় হয়ে গেলো জন্যে দুঃখিত। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।