আমি মানুষ
অবশেষে তুরাগ নদীর সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে সীমানা পিলার স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
ঢাকা শহরের চতুর্দিকের নদীসহ দেশের অন্যান্য নদ-নদী রক্ষাকল্পে গৃহীত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে টঙ্গীতে তুরাগ নদীর সীমানা পিলার স্থাপন এবং নদী দখল ও দূষণ রোধকল্পে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে টঙ্গী টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) মাঠে নদী দখল ও নদী দূষণ রোধকল্পে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা সভা ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে।
উলেস্নখ্য, রাজধানীর চারপাশের নদী রক্ষা এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করে।
টাস্কফোর্স নদীর সীমানা নির্ধারণ করে পিলার স্থাপন এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।
টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, তুরাগ, বালু এবং ধলেশ্বরী নদীর সীমানা পিলার স্থাপন কাজের জন্য ২৫ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ঢাকা জেলার ১১৬ কিলোমিটার, নারায়ণগঞ্জ ৬০ কিলোমিটার, গাজীপুরের ১৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার ২৫ কিলোমিটার এলাকায় নদীর সীমানা নির্ধারণী পিলার স্থাপন করা হবে।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন সংশিস্নষ্ট জেলার গণপূর্ত অধিদফতরের (পিডবিস্নউডি) মাধ্যমে পিলার নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। সীমানা পিলার স্থাপনের মাধ্যমে নদীর বেদখল জমি ফিরে পাওয়া যাবে।
স্থায়িভাবে সীমানা নির্ধারণের ফলে নদী দখলের প্রবণতা কমে আসব
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।