এরাও আঁকিয়েভাবছেন শিল্পের সমঝদার কেবল মানবজাতি? এ ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। সামনে রঙ-তুলি রেখে জানা গেল, ঘটে বুদ্ধি যতটুকুই থাকুক, সুযোগ পেলে বুনো প্রাণীরাও কম যায় না
স্যামি
যুক্তরাষ্ট্রের এই কুকুরটির মনিব একটি হাড়ের এক মাথায় তুলি লাগিয়ে দেওয়ার পরই তার প্রতিভা বেরিয়ে আসে। একখানা কাগজ সামনে ধরতেই রঙের উৎসবে মেতে ওঠে ও। তবে নিতান্ত কুকুরের চিত্রকর্ম বলে হেসে উড়িয়ে দেবেন না। জেনে রাখুন, আঁকার পর ছবিগুলো সোজা চলে যায় নিউইয়র্কের অভিজাত সব গ্যালারিতে।
এ পর্যন্ত স্যামির ছবির সর্বোচ্চ দাম উঠেছে এক হাজার ৭০০ ডলার।
জিয়াওকিয়াং
নাম শুনেই বোঝা যায় ইনি চৈনিক শিল্পী। তবে প্রথম পরিচয় তিনি একটি নীল তিমি। বাস করেন কিংদাও অ্যাকুরিয়ামে। প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে এমন সব ছবি আঁকেন, যা নাকি একেবারে অর্থহীন নয়।
ভালো করে দেখলে চেনা-পরিচিত কোনো বস্তু হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলা যায়।
লি
ইনিও পানির বাসিন্দা, একটি সিল মাছ। যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন কোস্ট অ্যাকুরিয়ামের প্রাণিবিদ জেন ডিগ্রুট একদিন খেলাচ্ছলে রং-তুলি দিয়ে বসেন লি'কে। কিছুক্ষণ কাগজে ঘষামাজা করার পর তা দেখে সবাই হতবাক হয়ে যায়। ছবির শিল্পমূল্য যেমনই হোক, মালিক সেগুলো বিক্রি করেন বেশ চড়ামূল্যে।
তা দিয়ে ভালোই মিটে যায় বাকি প্রাণিদের ভরণ-পোষণের খরচ।
মিশিন্দা
গণ্ডমূর্খ বলে গণ্ডারকে নিয়ে আর হাসাহাসির জো নেই। ডেনভার চিড়িয়াখানার মিশিন্দা নামের গণ্ডারটি চমৎকার সব ছবি এঁকে সে পথ বন্ধ করে দিয়েছে। স্বভাবে বেজায় শান্ত। অবসরে অলস বসে না থেকে তুলি নিয়ে বসে যায়।
তার একেকটা ছবি বিকোয় ২২০ ডলারে।
চোল্লা
তার চিত্রকর্ম দেখে তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইতালির এক প্রদর্শনীর আয়োজক। তবে উৎসবের মাঠে দুলকি চালে এক ঘোড়াকে ঢুকতে দেখে প্রথমে ভীষণ হতাশ হয়েছিলেন তারা। কিন্তু চোল্লার সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। এক হাজার ৭৭০ জন মানুষ শিল্পীর সঙ্গে পেন্সিল কামড়ে সেও আঁকতে আরম্ভ করে।
তার শিল্পী জীবনের শুরু মনিবের বেড়া রং করতে গিয়ে। রেনে চেম্বারস বালতিভর্তি রং ও ব্রাশ এনে রেখেছেন সবে। আর যায় কোথা! নির্দ্বিধায় ব্রাশ তুলে নিয়ে সেদিনই তার অঙ্কনশিক্ষার হাতেখড়ি করে ফেলে চতুর এ ঘোড়া।
থাইল্যান্ডের হাতিশালা
বিশাল বপু হাতির মাথায় যে এত সূক্ষ্ম রসবোধ থাকতে পারে, কে জানত! থাইল্যান্ডের জাতীয় হাতি সংরক্ষণশালার একটি-দুটি নয়, প্রশিক্ষণ দিয়ে দলে দলে চিত্রকর হাতি বানানো হয়েছে। হতে পারে শুঁড়ে তুলি পেঁচিয়ে আঁকতে সুবিধা বলেই তাদের সুপ্ত প্রতিভার দ্রুত বিকাশ হয়েছে।
টোয়ান
২০০৮ সালে ইন্টারনেটে টোয়ান নামটি খোঁজার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সে বার ৪১ বছর বয়সী এই ওরাংওটাংয়ের আঁকা কয়েকটি ছবি ই বে তে নিলামে তোলা হয়েছিল। অন্যদের তুলনায় তার বিশেষত্ব হলো, দাঁতের ফাঁকে ব্রাশ না ধরে অবিকল মানুষের মতো হাতে ধরেই ছবি আঁকে ও। গম্ভীর মুখে আঁকাআঁকি শেষে খাঁচার ফাঁক গলে সেটা তুলে দেয় উৎসুক দশর্নার্থীর হাতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।