আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাবতে পারছেন না জিমি...

পুরো ব্যাপারটিই রাসেল মাহমুদ জিমির কাছে অভাবনীয়। শহিদুল্লাহ দোলনকে সেই ছোটবেলা থেকে চেনেন জাতীয় হকি দলের এই তারকা। দোলন তাঁকে মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাঠিয়ে হুমকি দিতে পারেন, সেটা কস্মিনকালেও মাথায় আনা সম্ভব ছিল না তাঁর। যাকে ‘আঙ্কেল’ হিসেবে সম্বোধন করেন, যিনি তাঁর বাবার বন্ধু-স্থানীয়, আবাহনীতে খেলার সময় যিনি ছিলেন অভিভাবকতুল্য, সেই দোলন এমন কাণ্ড করতে পারেন, সেটা রীতিমতো অচিন্ত্যনীয়ই জিমির কাছে।
প্রথম আলো ডটকমের সঙ্গে আলাপকালেও সেই বিস্ময়ই ঝরেছে জিমির কণ্ঠে, ‘আমি ভাবতেও পারি না, দোলন সাহেব আমাকে মুঠোফোনে হুমকি দিতে পারেন।

তিনি তো আমার পিতৃতুল্য। আমি তাঁকে অনেক ছোটবেলা থেকে চিনি। তাঁকে আঙ্কেল বলেও ডাকি। ’
চলমান ঘটনাপ্রবাহে হতভম্ব জিমি পুরো বিষয়টিই ছেড়ে দিতে চান হকি ফেডারেশনের ওপর। শহিদুল্লাহ দোলনকে গ্রেপ্তার করা হবে, না কী করা হবে, সেটা নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না এই হকি তারকা, তবে এই হুমকি দেওয়ার ব্যাপারটি যে হকির জন্য খুব খারাপ একটা উদাহরণ হয়ে থাকল।

সেটা তিনি জানিয়েছেন সোজা-সাপ্টাই, ‘আমার কোনো দাবি নেই। শহিদুল্লাহ দোলনকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না, আমি জানি না। বিষয়টি ফেডারেশনই ভালো বুঝবে। তবে এটা হকির জন্য একটা খারাপ উদাহরণ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। ভবিষ্যতে কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে মতের অমিল হলে তাঁকে কেউ তুলে নিয়ে গেলে কিছুই বলার থাকবে না।


হকির একজন সংগঠক কিংবা একজন সাবেক খেলোয়াড় কীভাবে আরেকজন খেলোয়াড়কে মুঠোফোনে জীবননাশের হুমকি দিতে পারেন, সেটাই মাথায় ঢুকছে না জিমির, ‘অন্য কেউ হুমকি দিলে আমার কোনো কিছু বলার থাকত না। এমন হুমকি অনেকেই তাঁরা মুঠোফোনে পান। কিন্তু, একজন সংগঠক যখন একজন খেলোয়াড়কে হুমকি দেন, সেটা তো ভয়াবহ একটা ব্যাপার। এতে আমাদের দেশের হকির অবস্থা খুব সহজেই অনুমান করা যায়। তাহলে কি হকির লোকজনই হকির ভালো চায় না?’
জিমির এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য কেউ কী আছেন?।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.