আজ আমার মন ভাল নেই। সময় আর অসময়ের আধো আলো
ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে মোহাম্মদপর কাজী নজরুল ইসলাম রোডে এল, ১৫ নম্বর বিক্রয় করা পাঁচ তলা বাড়ির ফ্যাট দখল করেছে বাড়ির মালিক।
বাড়ি মালিকদের রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে ফ্যাট মালিকরা কোন প্রকার আইনগত সহযোগিতা না পাওয়ায় অধিকাংশরাই চলে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
বাড়ির দোতলার পূর্ব পাশের ফ্যাটের মালিক মিজানুর রহমান জানান, হুমকি ও জীবনাশের ভয়েও ফ্যাট না ছাড়ার কারনে সর্বশেষ গত ২ এপ্রিল বাড়ির মালিক মো. সেলিম ও মো. জাহিদ হোসেন গত ৫ এপ্রিল তার লোকজন নিয়ে বাড়ির দোতলার পূর্ব পাশের ফ্যাটের পানি ও ২ এপ্রিল বিদ্যুৎ সংযোগ ও কেটে দেয়।
তিনি ফ্যাটটি বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে ১৯৯৭ সালে কিস্তিতে মোট আট লাখ ৫৩ হাজার টাকায় কিনে নেন।
কিস্তির টাকা পরিশোধের পর ১৯৯৯ সালের ১ জানুয়ারি ফাট বুঝে পান।
এর আগে হুমকি ধমকির কারনে ২ এপ্রিল ফ্যাটের মালিক মিজানুর রহমান মোহাম্মদপুর থানায় সাধারন ডাযেরি করেন।
মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত দেড় বছরে সন্ত্রসী বাহিনীর মাধ্যমে নানা অত্যাচার ও জীবননাশের হুমকিতে বাড়ির পাঁচতলা বাড়ির মোট আট প্ল্যাটের পাঁচটি ইতোমধ্যে ওই মালিক দখল করে নিয়েছে।
এর আগে ২০০৯ সালের ১ জুলাই দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশের ফ্যাট দখল করে নেয় বাড়ির মালিকরা। এ ফ্যাটটি ১৯৯৭ সালে কিস্তিতে মোট আট লাখ ৮০ হাজার টাকায় কিনে নেন ইসরাত সায়লা।
কিস্তির টাকা পরিশোধের পর ১৯৯৯ সালের ১ জানুয়ারি ফাট বুঝে পান।
ফ্যাট থেকে জোড় পূর্বক বের করে দেয়ার পর মালিক ইসরাত সায়লা প্রথমে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে জিডি করে। পরে তিনি মোহাম্মদপুরে র্যাব-০২ এ লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি সম্পত্তি সম্পর্কিত হয়ওয়ায় কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
তার আগে একই বছরের ০৪ এপ্রিল বাড়ির চতুর্থ তলার মো. মশিয়ুর রহমানের ফ্যাটটি দখল করে নেয় বাড়ির মালিকরা।
তিনি জানান, কয়েক দফা হুমকি ধমকির পর মারধর করে তাকে জোড়পূর্বক বের করে দেয়।
তিনি ২০০৭ সালের ১২ মে ফ্্যাটটি আট লাখ টাকায় কিনেছিলেন।
তারাও মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। এক পর্যায়ে সব কিছু ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। সাধারন ডায়েরি করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
তার আগে বাড়ির মালিকরা একই বছরের ৩০ মার্চ আবু তাহের মোস্তফা কামালের পঞ্চম তলার পশ্চিম পাশের ফ্যাট থেকে বের করে দেয়।
তিনি ২০০৬ সালের ২৬ মে সাত লাখ ৬৬ হাজার টাকায় ফ্্যাটটি কিনেছিলেন।
এছাড়া ২০০৮ সালের ১ জুলাই পঞ্চম তলার পূর্ব পাশের ফাটের মালিক এ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন ও ২০১০ সালের ১ এপ্রিল আবদুল বাতেন হুমকি ধমুকির এক পর্যায়ে তার চতুর্থ তলার পূর্ব পাশের ফ্যাট থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়। বাড়ির অবশিষ্ট তৃতীয় তলার পূর্ব ও পশ্চিম পাশের ফ্যাটের দুই মালিকও বর্তমানে চরম চাপের মুখে আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।