সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে দেশে কার্যরত ২৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “প্রত্যেকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ন্যূনতম দুই কোটি এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) তহবিল থেকে পাঁচ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করতে হবে।”
ঈদের ছুটির পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করবে বলে জানান তিনি।
পরিবেশবান্ধব শিল্পে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব ২০০ কোটি টাকা ও এডিবির ৪০০ কোটি টাকার তহবিল রয়েছে, যা পাঁচ শতাংশ সুদে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ তহবিল থেকে এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) স্থাপন, বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সোলার প্যানেল ও পরিবেশ বান্ধব ইট-ভাটা স্থাপনে বিনিয়োগ করা যাবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ফাইন্যান্সের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা লিংকন মণ্ডল সাংবাদিকদের জানান, পুনঃঅর্থায়ন তহবিল ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
তবে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয় পরিবেশবান্ধব প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ করতে চায় না অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা জানান, পরিবেশবান্ধব প্রকল্পগুলোর অধিকাংশ শহরের বাইরে বা গ্রামাঞ্চলে হওয়ায় তাদের পক্ষে সব প্রকল্পে ঋণ দেয়া সম্ভব নয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।