উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় উন্নত দেশগুলোতে মাথাপিছু কার্বন উৎপাদনের মাত্রা বহুগুণ বেশি। যার অন্যতম কারণ যান্ত্রিক যানবাহনের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি। বিশ্বে নগরসমূহে গড়ে প্রায় ৭৭% কার্বন সৃষ্টি হয় যান্ত্রিক যানবাহন থেকে আর যান্ত্রিক যানবাহনের মধ্যে প্রাইভেটকার প্রায় ৯০% কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী। বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্বনের প্রভাবে এই শতাব্দীতে তাপমাত্রা বাড়বে ১.৪ থেকে ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন পৃথিবীর অনেক দেশকেই হুমকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে ঝড়, বন্যা, খরা ও শীত যার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো মানুষের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ছে। কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পাবলিক পরিবহণের সেবামান বৃদ্ধি করা; রেল ও নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব প্রদান করা; সাইকেলের জন্য পৃথক লেন ও পর্যাপ্ত সাইকেল স্ট্যান্ড তৈরি করা; প্রাইভেট গাড়ির কর ও পার্কিং ফি বৃদ্ধি এবং লাইসেন্স প্রদানে নিয়ন্ত্রণ করা; ছায়াযুক্ত, প্রশসত্দ ও সমতল ফুটপাত তৈরি এবং রাসত্দায় সমতলে পর্যাপ্ত ক্রসিং সুবিধা রাখা; রিকশার জন্য পৃথক লেন; চালকদের প্রশিক্ষণ ও রিকশার কাঠামোগত উন্নয়ন করা প্রয়োজন। সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাসে আনত্দজর্াতিক সমপ্রদায়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার পাশাপাশি দেশে পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হোক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।