গত রোববার এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রিন ব্যাংকিং অ্যান্ড সিএসআর বিভাগ। তাতে দেশে কার্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিং নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
তিন ধাপে ২০১৫ সালের জুন নাগাদ এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নীতিমালায় প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে পানি, বিদ্যুৎ, কাগজ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে বলা হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, পানি শোধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জৈব-গ্যাস, জৈব সার প্রভৃতি পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি বা প্রকল্পে অর্থায়নে নজর বাড়াতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক৷
এছাড়া বন্যা, খরা ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য নিয়মিত সুদের হারেই অর্থায়নের কথা বলা হয়েছে৷
জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য একটি জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলও গঠন করতে বলা হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা এখন একটি বড় ইস্যু। দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে পরিবেশবান্ধব অর্থায়নের অংশ হিসেবে পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিং পরিবেশ রক্ষায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে।
এতে আরো বলা হয়, পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখালে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজেদের মানও উন্নত হবে। ব্যবসার পাশাপাশি সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্বশীলতাও প্রকাশ পাবে।
১১ পৃষ্ঠার এই নীতিমালায় বলা হয়, পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিং নীতিমালা বাস্তবায়ন হবে তিন ধাপে। প্রথম ধাপে ২০১৪ সালের জুন নাগাদ নিজেদের প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিবেশসম্মত একটি নীতিমালা তৈরি করবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
দ্বিতীয় ধাপে খাতভিত্তিক অর্থায়ন, সবুজ শাখা স্থাপন, প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নসহ বেশ কিছু কাজ করবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এই ধাপের কার্যক্রম ২০১৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হবে।
তৃতীয় ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবেশবান্ধব অর্থায়নের জন্য অভিনব সেবা-পণ্য উদ্ভাবন করবে।
২০১৫ সালের জুন মাস নাগাদ এই ধাপের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিন মাস অন্তর পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিংয়ের অগ্রগতি প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রিন ব্যাংকিং অ্যান্ড সিএসআর ডিপার্টমেন্টে পাঠাতে হবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
প্রতিবেদনের জন্য একটি বিশেষ ফরমও তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা এই নীতিমালার সঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়েছে।
আগামী সেপ্টেম্বরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নীতিমালা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে প্রথম প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।