বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকাকে সম্মান জানাতে তার নামে রাজধানীর একটি সড়কের নামকরণের পরিকল্পনা করছে সরকার।
এছাড়া সাবেক সুপ্রিম সোভিয়েতের প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান নিকোলাই ভিক্তরোভিচ পাদাগারনি ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সি নিকোলাই কোসিগিনের নামেও দুটি সড়কের নামকরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিলো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুবার এ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এর কারণে সরকার ইন্দিরা গান্ধীর নামে রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণের পরিকল্পনা নিয়েছে।
১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করার পর নিকোলাই ভিক্তরোভিচ পাদাগারনি ও অ্যালেক্সি নিকোলাই কোসিগিন উদ্বেগ প্রকাশ করে তাকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা।
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশি নাগরিকদের সম্মাননা জানাতে গঠিত জাতীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বহুসংখ্যক সদস্য শহীদ হয়েছেন। তাদের সম্মানে সেহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি আলাদা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে।
সে সময় রাশিয়ার তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে গ্রোমিকো ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার শারন সিং বাংলাদেশের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, "তাদের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হবে।
"
মুক্তিযুুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানের পেতে যাওয়া মাইন অপসারণ করতে গিয়ে রাশিয়ার বহু নৌসেনা হতাহত হয়েছিলেন। তাদের সেই অবদানেরও স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনীতিবিদ, শিল্পী, লেখক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র, সাংবাদিক, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সদস্য, প্রতিরক্ষা কর্মী এবং কূটনীতিবিদ ও নারী নেতারা বাংলাদেশের পক্ষে অবদান রেখেছিলেন তাদের তালিকা তৈরির জন্য বর্তমান সরকার এই জাতীয় কমিটি গঠন করে।
রোববার কমিটির বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, "আগামী বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্ণ হবে। তবে আমরা বিদেশি নাগরিকদের সম্মাননা জানাতে ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকা তৈরির কাজ শেষ করতে চাই।
"
মন্ত্রী জানান, আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে কমিটি আবারো বৈঠকে বসবে। ওই বৈঠকে ৫০০ বিদেশি নাগরিকদের নামের একটি তালিকা নিয়ে আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "সম্মাননা দেওয়ার জন্য এই সম্মানিত ব্যক্তিদের সব তথ্য জানা জরুরি। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হবে। "
তালিকায় কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিকের নামও থাকবে বলে দীপু মনি জানান।
তিনি বলেন, "যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কেউ কেউ বাঙালির ওপর নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।