তারাঁদের ইসকুলে আমি এক লবন চাষীর ছেলে,ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ! সে আমার মা...
ঢাকা: বিরোধী দলীয় নেত্রী ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সৌদি আরব থেকে ফেরা উপলক্ষে বড় শো-ডাউন করেছে বিএনপি। তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর শেষে দেশে ফেরা উপলক্ষে প্রধান বিরোধী দল আজ রোববার সকাল থেকেই ঢাকা জুড়ে তোড়-জোড় শুরু করে।
আগে থেকেই দলীয় নেত্রীকে বড় ধরনের সংবর্ধনা দেওয়ার মাধ্যমে সারপ্রাইজ দেওয়ার ঘোষনা দিয়ে রেখে ছিলেন দলের চীফ হুইফ।
হয়েছেও তাই। তবে এ শো-ডাউনে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তারপরই এগিয়ে ছিলেন ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা।
সকাল থেকেই মির্জা আব্বাসের সর্মথকরা ব্যানার, ফেস্টুন, ধানের শিষ ও ফুল নিয়ে অবস্থান নিতে থাকে বিমান বন্দর সড়কের হোটেল রেডিসন থেকে খিলক্ষেত ওভারব্রিজ পর্যন্ত এলাকা। বেলা ১টার মধ্যে এ এলাকা বিএনপি সর্মথকদের সমাবেশস্থলে পরিনত হয়।
সাদেক হোসেন খোকা, গয়েশ্বও চন্দ্র রায়, আমান উল্লাহ আমানের সমর্থকরা অবস্থান নেয় রেডিশন থেকে স্টাফ রোড পর্যন্ত এলাকায়। এছাড়া বিমান বন্দরের ভিআইপি টার্মিনাল পর্যন্ত পুরোটাই ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতাকর্মীতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে দেড়টার মধ্যেই।
এ সময় বিএনপি ও তার অঙ্গ সঙ্গঠনের লাখো নেতা-কর্মী বিমান বন্দর থেকে স্টাফ রোড় পর্যন্ত সড়কের এক পাশ পুরোটাই দখল নিয়ে মিছিল দিতে থাকে। এতে উত্তরবঙ্গসহ এ রাস্তা ব্যবহারকারী হাজার হাজার গাড়ি আটকা পড়ে। লাখো যাত্রী ও অসহনীয় গরমের মধ্যে অসহায় হয়ে পড়েন।
কেবল তাই কেনো প্রগতি স্মরনী ও স্টাফ রোড হয়ে বনানী, কাকলী, মহাখালীতে দেখা গেছে হাজার হাজার যাত্রী ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তার পাশে অপেক্ষা করছেন গাড়ির জন্য।
বেলা ২ টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী সেদি এয়ার লাইন্সের বিমানটি অবতরন করে হযরত শাহাজালাল বিমান বন্দরের রানওয়েতে।
এর বিশ মিনিট পর ৩টা ১০ মিনিটে নিরাপত্তা রক্ষীদের কড়া নিরাপত্তায় খালেদা জিয়ার গাড়ি ভিআইপি টার্মিনাল থেকে বের হয়ে আসে।
এরপর শুরু হয় দলের সিনিয়র নেতাদের ফুল দেওয়ার হাড্ডাহাড্ডি লাড়াই। নেতার গাড়ি বহর ৩ টা ১৫ মিনিটে বিমান বন্দর এলাকা ত্যাগ করে কচ্ছপ গতিতে। খালেদার গাড়িকে ঘিরে চলতে থাকে নেতা-কর্মীদের মিছিল। এ মিছিল ৪টা ১৫ মিনিটে এসে পৌছায় কুড়িল বিশ্ব রোডের মুখে।
রা¯তায় লাখো মানুষের এ মিছিল সমাবেশ এবং খালেদা জিয়ার সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে তিন ঘন্টার সড়ক বন্ধ রাখার এ ঘটনায় কেউই সামান্য দু:খিত হননি। বরং গাড়ির জানালা দিয়ে স্বভাব সুলভ হাত নাড়িয়ে সমর্থকদের শুভেচ্ছার জবাব দিয়েছেন।
কিন্তু রাস্তায় আটকা পড়া এম্বুলেন্সের ক্রমাগত ভেঁপুও যে এক সময় হাল ছেড়ে বন্ধ হয়েছে কিংবা স্কুল ফেরত সন্তান যে রাস্তার পাশে মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়েছে আমাদের সংবর্ধনা সংস্কৃতিতে সেদিকে কারোই যেনো খেয়াল নেই।
এ ঘটনা কি শুধু এবারই ঘটল! তা কেনো। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং পাতি নেতাদের দেওয়া এ সংবর্ধনা আচারে প্রায়ই এভাবে অচল হয়ে পড়ে বিমান বন্দও সড়ক।
রাস্তায় অপেক্ষা করা এসব মানুষের দাবি জনগনের নেতারা যেনো একটু হলেও জনগনের কথা ভেবে এ প্রচলিত সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।