মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!
সুচিত্রা সেন - লাখো বাঙালীর হৃদয়ের নায়িকা
------------------------------ ডঃ রমিত আজাদ
সুচিত্রা সেন নামটির সাথে পরিচয় খুব ছোটবেলা থেকেই। আমার ফুপু বয়সে তিনি সুচিত্রা সেনের কাছাকাছিই হবেন, অত্যন্ত সংস্কৃতিমনা। তিনি খুব বলতেন সুচিত্রা সেনের কথা। যা বুঝতাম, উনাদের সময়ের অভিনয় জগৎের জীবন্ত কিংবদন্তী ছিলেন সুচিত্রা সেন। আমার খুব ছোট বেলায় সুচিত্রা সেনের ছবি দেখার সুযোগ হয়নি, কারণ তখন দেশে একটিই টিভি চ্যানেল ছিলো - বিটিভি।
১৯৮০-৮১ সালের দিকে বিটিভির কালার ট্রান্সমিশন চালু হয় ও বিটিভি-খ নামে আরেকটি চ্যানেল চালু হয়। কিন্তু অল্প সময় পরেই আবার এরশাদের সামরিক সরকার কৃচ্ছতা সাধনের লক্ষ্যে বিটিভি-খ চ্যানেল বন্ধ করে দেয়। সেই একটি মাত্র চ্যানেলে বাংলা সিনেমা দেখানো হতো কালেভদ্রে, তাও কেবল বাংলাদেশের ছবিগুলো। এদিকে পেক্ষাগৃহেও সুচিত্রা সেনের ছবি চলেনি। আর ভিসিআর/ভিসিপি তখনও পুরোদমে আসেনি।
তাই সুচিত্রা সেনের ছবি দেখার সুযোগ তখনও হয়নি।
এর মধ্যে ১৯৮৫ সালের ৭ই ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় প্রথম সার্ক শীর্ষ সন্মেলন (South Asian Association for Regional Cooperation)। সেটা একটা বেশ উৎসবমূখর পরিবেশ ছিলো। সারা দেশেই সাজ সাজ রব। নানাবিধ আয়োজন করা হলো এই সন্মেলনকে ঘিরে।
বিটিভিও পিছিয়ে থাকলো না। সার্কভুক্ত সবগুলো দেশের একাধিক সিনেমা দেখানোর ঘোষণা হলো সপ্তাহজুড়ে। এ এক অপূর্ব সুযোগ ছিলো। এর আগে আমরা বিভিন্ন দেশের সিনেমা দেখেছিলাম বিটিভি-তে ১৯৮০ সালে, আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসব উপলক্ষে। এবারও সেই আনন্দঘন পরিবেশ।
প্রতিটি ছবিই আমরা বেশ উপভোগ করেছিলাম ঐবার। সব চাইতে বেশী উপভোগ করেছিলাম দুটি ছবি, 'পথে হলো দেরি' ও 'দ্বীপ জ্বেলে যাই'। দুটি ছবির নায়িকাই ছিলেন সুচিত্রা সেন। এর মধ্যে 'পথে হলো দেরি'-র নায়ক ছিলেন আরেক কিংবদন্তী মহানায়ক উত্তম কুমার। আমার স্পষ্ট মনে আছে যে, আমি এবং আমার বন্ধুরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখেছিলাম ঐ ছবি দুইটি।
ছবির কাহিনী, মান, উপস্থাপনা সবকিছুই ছিলো অনবদ্য। আর সব কিছু ছাপিয়ে যিনি মনে চিরস্থায়ী দাগ কেটেছিলেন, তিনি হলেন কিংবদন্তীর নায়িকা সুচিত্রা সেন।
যেমন তাঁর রূপ সুষমা, তেমনি তাঁর অভিনয়শৈলী। 'পথে হলো দেরি'-র একটি সংলাপ ছিলো এমন - কেউ নায়ক (উত্তম কুমার)-কে নায়িকা (সুচিত্রা সেন) সম্পর্কে প্রশ্ন করছে, "দাদা কেমন দেখলেন?" উত্তরে নায়ক বললেন, "হু, যা দেখলাম তাতে কোলকাতার রাস্তা হলে ট্র্যালফিক জ্যাম হয়ে যেত। " ছবি দুটির আরেকটি বিষয় যা ভালো লেগেছিলো তা হলো, 'পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার মতো পরিচ্ছন্ন ছবি।
সুচিত্রা সেনের অভিনয় প্রতিভা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায়নি। যেমন ফুটিয়ে তুলতে পারেন আনন্দ-উচ্ছলতার দৃশ্য, তেমন দর্শককে বিমর্ষ করে দিতে পারেন যেকোন করুণ দৃশ্যে। 'দ্বীপ জ্বেলে যাই' ছবির শেষ দৃশ্যে যখন তিনি করুণ স্বরে বলেছিলেন, "স্যার আমি অভিনয় করিনি, আমি অভিনয় করতে পারিনা। " দর্শকদের অনেকেই অশ্রু সংবরণ করতে পারেনি। আমার মনে আছে ছবি দুইটি দেখার পর আমি ফুপুকে বলেছিলাম, "আপনার প্রিয় নায়িকা সত্যিই একজন কিংবদন্তী।
"
তার বছর খানেকের মধ্যেই দেশে ভিসিআর/ভিসিপি-র প্রচলন শুরু হয়ে যায়। আমাদের নিজেদের বাড়ীতেও কেনা হলো ভিসিআর। আর যায় কোথায় একের পর এক দেখতে থাকলাম সুচিত্রা সেনের ছবি। ‘সাগরিকা’, ‘শিল্পী’, ‘হারানো সুর’, ‘পথে হলো দেরি’, ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’, ‘সবার উপরে’, ‘গৃহ প্রবেশ’, ‘অগ্নিপরীক্ষা, 'সাত পাঁকে বাধা', 'সপ্তপদী' ইত্যাদি। আশ্চর্য্য ব্যাপার এই যে কখনো কোন ছবিতেই উনাকে খারাপ অভিনয় করতে দেখিনি।
এ এক অসাধারণ গুন।
তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়ের উপন্যাস 'সপ্তপদী' অনেক আগেই পড়েছিলাম। মুগ্ধ হয়েছিলাম ঐ উপন্যাস পড়ে। ভেবেছিলাম এই কাহিনী অবলম্বনে একটা সিনেমা হলে বেশ হতো। একবার ভিডিও লাইব্রেরীতে গিয়ে প্রশ্ন করলাম, "'সপ্তপদী' নামে কোন ছবি আছে কি?" সাথে সাথে বিক্রেতা উত্তর দিলেন, "হ্যাঁ, আছেতো, সুচিত্রা সেনের।
এই নিন। " নিয়ে এলাম বাড়ীতে। সবাইকে দেখালাম। ছবিটির নায়িকা একটি এ্যাংলো-ইন্ডিয়ান মেয়ে। ভেবেছিলাম, সুচিত্রা সেনকে কি মানাবে এই ছবিতে? পারবেন কি ফুটিয়ে তুলতে? উনার ইমেজ তো ভিন্ন! ওমা! ছবিতে দেখলাম, এ আরেক সুচিত্রা সেন! পোষাকে-আশাকে, কথায়-চলনে পুরোদস্তুর পাশ্চাত্য আধুনিকা!
সুচিত্রা সেন নিজে গান গাইতে জানতেন জানি।
গান গাইয়ে মাতিয়ে রাখতেন সঙ্গীদের এমনটাই জানা গিয়েছে উনার বান্ধবীদের কাছ থেকে । তবে কোন ছবিতে তিনি গেয়েছেন কিনা জানিনা। তবে যেটা তিনি অদ্ভুত সুন্দর পেরেছেন তা হলো, গানের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে এক্সপ্রেশনে একাত্ম হয়ে যাওয়া। কখনো মনেই হয়নি যে তিনি প্রকৃত গায়িকা নন।
আমার কাছে সব সময়ই মনে হয়েছে সিনেমা একটা কঠিন টীম ওয়ার্ক।
এখানে যেমন গুরুত্বপূর্ণ কাহিনী, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ পরিচালনা, একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ অভিনয়। আমার কাছে মনে হয়েছে সুচিত্রা সেনের অভিনীত ছবিগুলোতে সব কিছু ছাপিয়ে উঠতো তাঁর অভিনয়। অবশ্য যেসব ছবিতে উত্তম কুমারের সাথে তিনি অভিনয় করতেন সেখানে সুচিত্রা সেন ও উত্তম কুমার দুজনই চমৎকার অভিনয় করতেন কারো প্রশংসা কম করতে পারবো না। স্কুল ও কলেজ জীবনে ছোট-খাটো অভিনয় করতাম বলে অভিনয় গুনের প্রতি আমার পৃথক শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। কাজটা আসলেই খুব কঠিন!
অনেকেই বলে থাকেন যে, বাংলা সিনেমার ইতিহাসে সব চাইতে ভালো জুটি - উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন জুটি।
এক সময় ভাবতাম তারা দুজন কি স্বামী-স্ত্রী? পরে জানলাম, না, তারা কেবলই জুটি। সুচিত্রা সেনের স্বামী ভিন্ন। আরো জানলাম যে, সিনেমার অভিনয় জগৎে তিনি এসেছিলেন বিবাহিতা অবস্থায়। আরো পুলকিত হয়েছিলাম এই জেনে যে, ভারতীয় বাংলা ছবিতে অভিনয় করা এই অসাধারন অভিনেত্রী আমাদের পূর্ব বাংলারই সন্তান। একমনকি উনার শ্বশুর বাড়ীও ঢাকার গেন্ডারিয়ায়।
সুচিত্রা সেনের অভিনিত ছবিতে গাওয়া কিছু গান এখনো আমার কানে বাজে, 'এ শুধু গানের দিন, এ লগনো গান শোনাবার' , 'তুমি না হয় রহিতে কাছে, কিছুক্ষণ আরো নাহয় রহিতে কাছে' , 'পলাশ আর কৃষ্ণচূড়ায় রঙে রঙে রাঙিয়ে তুলি, আমি কস্তুরী সে নিজের গন্ধে নিজেই ভুলি'। আমি নিশ্চিত যে বাংলা ছবির (ভারতীয় ও বাংলাদেশী) প্রায় সব অভিনেত্রীরই আইডল সুচিত্রা সেন। তিনি লাখো বাঙালীর হৃদয়ের রাণী।
১৯৩১ সালের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার সেনভাঙার জমিদার বাড়িতে রমা দাশগুপ্ত (পরবর্তীতে সুচিত্রা সেন নামে পরিচিত হন) জন্ম নেন। তিনি কৃষ্ণা দাশগুপ্ত হিসাবেও বন্ধুদের কাছে পরিচিত ছিলেন।
পরে পাবনা শহরের দিলালপুরের বাড়িতে কেটেছে তার শৈশব ও কৈশোর। সুচিত্রা সেন পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় পশ্চিমবঙ্গে চলে যান তারা। সুচিত্রা সেনের বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মা ইন্দিরা দাশগুপ্ত একজন গৃহবধু। তিনি বাবা-মায়ের পঞ্চম সন্তান এবং তৃতীয় কন্যা ছিলেন।
পাবনাতেই তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষাদীক্ষা শুরু হয়। স্কুল-ছাত্রী থাকাকালীন তার মধ্যে সাংস্কৃতিক কাজকর্মে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা ছিলো। তিনি ভাল গান গাইতে পারতেন, নাচতে পারতেন ও নাটকে অভিনয়ে ছিলেন সাবলীল। ১৯৪৭ সালে বাংলার বিশিষ্ট শিল্পপতি দিবানাথ সেন-এর সঙ্গে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন সুচিত্রা। ১৯৫২ সালে শেষ কোথায় ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি।
১৯৫৩ সালে তার প্রথম মুক্তি প্রাপ্ত বাংলা ছবি ‘সাত নম্বর কয়েদি’। ঐ বছরেই উত্তম কুমারের সঙ্গে তার প্রথম মুক্তি প্রাপ্ত ছবি ‘সাড়ে চুয়াত্তর’। ছবিটি বক্স-অফিসে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করে। তারপর থেকে আর সুচিত্রা সেনকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলা ছবির এক অবিসংবাদিত জুটি হিসেবে পরবর্তী ২০ বছরে উত্তম-সুচিত্রা ছিলেন আইকন স্বরূপ।
১৯৫৫ সালে হিন্দি ভাষায় ‘দেবদাস’ ছবিতে অভিনয় করেন সুচিত্রা সেন। ১৯৭৪ সালে ‘আঁধি’ আমে আরেকটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। এই ছবিতে একজন রাজনীতিকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সুচিত্রাকে। উত্তমকুমারের সঙ্গে তার শেষ অভিনীত ছবি হীরেন নাগ পরিচালিত ‘প্রিয়বান্ধবী’, সেটি মুক্তি পায় ১৯৭৫ সালে। সুচিত্রা সেনের শেষ অভিনীত ছবি ‘প্রণয় পাশা’ ১৯৭৮ সালে মুক্তি পেলেও তেমন চলেনি।
১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসরগ্রহণ করেন।
‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে তিনি প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে ১৯৬৩ সালে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। ভারত সরকার তাকে ১৯৭২ সালে " পদ্মশ্রী " পুরস্কারে ভূষিত করেন এবং ২০০৫ সালে তাকে " দাদা সাহেব ফালকে " পুরুস্কারে ভূষিত করেন কিন্তু তিনি তাহা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন । চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে বঙ্গবিভূষণ পুরস্কারে ভূষিত করেছিল। সেসময় মেয়ে মুনমুন সেন তার মায়ের হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন।
মহানায়ক উত্তম কুমার এর মৃত্যুর পরে তিনি তাকে ফুল দিতে যান, তারপর একবারে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান ।
আজ শুক্রবার ১৭ই জানুয়ারী ২০১৪ সালে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তম নায়িকা সুচিত্রা সেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ সকাল ৮.২৫ মিনিটে মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল (বেল ভিউ ক্লিনিক)-এ শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। ফুসফুসে সংক্রমণজনিত কারণে গত ২৪ ডিসেম্বর এই হাসপাতালে ভর্তি হন সুচিত্রা সেন।
মৃত্যুকালে রেখে গেলেন কন্যা মুনমুন সেন এবং দুই নাতনি রাইমা ও রিয়া সেনকে।
'সুচিত্রা সেনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই চলচ্চিত্র জগতে নেমে আসে শোকের ছায়া' - এমনটি লেখা হয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, কিন্তু আমি মনে করি কেবল চলচ্চিত্র নয়, সংস্কৃতিমনা প্রতিটি বাঙালীর হৃদয়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাই তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে শিল্পী, কলাকুশলী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষজন। মানুষের জীবন অনন্ত নয় জানি, তার পরেও মনে হয় তিনি যদি আরো কিছুদিন বেঁচে থাকতেন!
-----------------------------
তুমি না হয় রহিতে কাছে,
কিছুক্ষণ আরো নাহয় রহিতে কাছে,
আরো কিছু কথা নাহয় বলিতে মোরে
এই মধুক্ষণ মধুময় হয়ে নাহয় উঠিত ভরে। ।
সুরে সুরভীতে নাহয় ভরিত বেলা
মোর এলো চুল লয়ে বাতাস করিত খেলা।
ব্যাকুল কত না বকুলের কুড়ি রয়ে রয়ে যেত ঝরে,
ওগো নাহয় রহিতে কাছে। ।
কিছু দিয়ে নিয়ে ওগো মোর মনময়
সুন্দরতর হতো নাকি বলো
একটু ছোঁয়ার পরিচয় ভাবের লীলায় না হয় ভাবিতো আঁখি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।