রাতের আকাশের নগ্নতা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি কিন্তু পারি না মনের আকাশ দেখতে।
তখন সকাল ৭ টা। চিংড়ি ঘের দেখতে যাব। কিন্তু আগেই জানলাম এখন কোন ঘেরে চিংড়ি নেই। এখন মাটি শুকান হচ্ছে।
তবে কিছু কিছু ঘেরে পানি রেখে অন্য মাছ ছাড়া আছে। দেশী প্রজাতির মাছ, যখন তখন বাজারে না গিয়ে জাল দিয়ে ধরার জন্যে। যা হোক মেইন রোড থেকে মাইল খানেক হাটলাম। প্রথমেই সাঁকোটা চোখে পড়ল। অনেক দিন পর দেখলাম এমন একটা সাঁকো।
১.
আরও হাপ মাইল হাটার পর চোখের সামনে শুধুই ধু ধু প্রান্তর চোখে পড়ল। মাঝে মাঝে ছোট ছোট খুপরি (খড়ের কুঁড়ে ঘর) ছাড়া আর উঁচু কিছু চোখে পড়ে না। ছবিতে সে রকম একটা কুঁড়ে ঘর। রাতে পাহারা দেবার লোকজন এখানে থাকে।
২.
মুখে ঝাপটা লাগা ঠান্ডা নির্মল বাতাস।
আর পানিতে স্রোতের সাথে সূর্যের আলোর খেলা। অসম্ভব ভাললাগা নিয়ে দেখতে দেখতে খেয়াল করলাম , দূরের খাল দিয়ে এসব ঘেরে লোনা পানি ঢোকার ব্যবস্থা করেছে।
৩.
ঘেরের ভেতর এখন হাঁটু পানি। অসম্ভব লবনাক্ত। কিছু দেশী প্রজাতি আর সামুদ্রিক মাছ ছাড়া কিছুই বাঁচে না।
জাল ফেলে মাছ ধরার জন্যে আগে বাঁশের কঞ্চি এভাবে পরিষ্কার করতে হয়।
৪.
আরও একটা ছবি ঘেরের তলা পরিষ্কার করার।
৫.
প্রথম খেপ মারা (জাল ফেলা) 'র পর আইলের কাছে জাল টেনে দেখা হচ্ছে।
৬.
আমার কাছে সেরা একটি ছবি এটা মনে হয়েছে। আপনাদের কেমন লাগছে জানি না।
৭.
এবার দেখেন মাছের ছবি। চ্যাপ্টামত বড় মাছটির নাম ভেটকি। আর জালে জড়ান মাছটির নাম ভাঙড়া। অসম্ভব সুস্বাদু মাছ। জ্বিবায় এখনও লেগে আছে।
একেতো টাটকা মাছ, তার উপর সামুদ্রিক। এরা ঘেরে পানি ঢোকানোর সময় ঢুকে পড়ে। কোন ক্ষতি করে না। তবে ভাঙড়া মাছ খুবই বিপজ্জনক। এরা ঘের চাষীদের পা কেটে ফেলে।
আর জাল তো কাটেই। এদের চোয়ালে ব্লেড থাকে এক্সট্রা। পোচ দিলেই কাম। এই একটি মাছ ধরতে আমাদের ৬ বার চেষ্টা করতে হয়েছে। তার ভেতর চার বার জাল কেটে পালিয়েছে।
৮.
এবার একটা মা চিংড়ির ছবি.........
৯.
এবার আমাদের ঘরে ফেরা..............ছবিটি দেখে আমার কেবলই মনে পড়ে, বাবার ঘাড়ে চড়ে আমিও একসময় ঘুরতাম.......
১০.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।