আমি একজন সাধারন মানুষ।
একজন প্রবীণ নেতার মহাপ্রয়াণ
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রবীণ জননেতা খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন গত ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জীবন মানেই তার বিনাশ আছে। জন্মিলে মরিতে হবে অমর কোথা কে কবে_ এটা শাশ্বত সত্য। আমি তার বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহ যেন দয়া করে তার সব অপরাধ ক্ষমা করেন। যত ভুলত্রুটিই করুক একজন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী সব সময় মানুষের জন্য কাজ করে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত রাজনীতিবিদ দেলোয়ার হোসেন তার জীবনে যত ত্রুটি করে থাকুন না কেন অন্তত একজন মানুষের নিশ্চয়ই উপকার করতে পেরেছেন। আল্লাহতায়ালা কথা দিয়েছেন জীবনে যে একটি মানুষের উপকার করবে তাকে তিনি ক্ষমা করবেন।
দেলোয়ার হোসেনের সুদীর্ঘ বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন তুলনাহীন।
তার যত সমালোচনাই হোক অনেক বড় বড় নেতার চেয়ে তিনি রাজনীতির বহু হাট-ঘাট দেখেছেন। তিনি একসময় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনৈতিক অনুসারী ছিলেন। আমি হুজুরকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি। যদিও হুজুরের অনেক সহকর্মীই তার সঙ্গে বেঈমানি করেছে, এখনো করে। এ জন্য অনেকের প্রতি আমার ক্ষোভ আছে।
তারপরও বলছি, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর খুবই কাছের মানুষ ছিলেন। স্বাধীনতার পর তাকে সাধারণ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে দেখেছি, উকিল হিসেবে দেখেছি, সংসদে চিফ হুইপ হিসেবে দেখেছি। তাই বলছি, সত্যিই তিনি একজন প্রকৃত রাজনীতিবিদ ছিলেন।
সে কারণে রাজনীতিবিদদের প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা ছিল। মৃত্যু কত মহান।
দুইদিন আগেও যারা তার কত নাহক সমালোচনা করেছেন, কত অপমান অপদস্ত করেছেন তারাই যখন তার মরদেহে ফুলমালা দিলেন, শতকণ্ঠে প্রশংসা করলেন, তখন আমার অন্তর আত্মা কেঁপে কেঁপে উঠছিল। ভাবছিলাম নেতৃবৃন্দের কোন কথা সত্য? ফুলমালা দেওয়ার পর শতমুখে প্রশংসা, না মৃত্যুর আগের দিনগুলোতে হাজার কণ্ঠে নিন্দা-অযৌক্তিক সমালোচনা? তবে আমার খুবই ভালো লেগেছে মরদেহের পাশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভ্য ভাষণ। তার বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঙ্গে খোন্দকার দেলোয়ার রাজনীতি করেছেন। তারপরও কেন যেন দুঃখ হয়, তার জীবিতকালে চিফ হুইপ থাকতে সংসদের টাকা নিয়ে বাড়িতে বাজার করেছেন, চিকিৎসার জন্য তহবিল তছরুপ করেছেন। এসব অভিযোগ না আনলে কি হতো না? কেন জানি না আমরা রাজনীতিবিদরাই রাজনীতিবিদদের প্রধান শত্রু।
তাদের বড় বেশি অপমান-অপদস্ত করি। এক আমলা আরেক আমলাকে রক্ষা করতে কত চেষ্টাই না করে। কিন্তু এক রাজনীতিবিদ আরেক রাজনীতিবিদকে সব সময় খতম করতে চায়। অনেক মিথ্যা অভিযোগে বিরোধী রাজনীতিকদের জেলে পাঠিয়ে কি হেনস্থাই না করা হয়। অথচ স্বাধীনতার পর খান এ সবুর খান যখন বঙ্গবন্ধুকে চিঠি দিয়েছিলেন 'ভাই মজিবর, তুমি দেশ স্বাধীন করেছ, আজ তুমি প্রধানমন্ত্রী।
আমরা না হয় ভুলই করেছি। তাই বুড়ো বয়সে জেলে থাকবো?' চিঠি পাওয়ার তিন-চার দিনের মধ্যে খান এ সবুর খানকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়েছিলেন। শাহ আজিজুর রহমান, তিনি যখন জেলে ওবায়দুর রহমান ও আমাকে দিয়ে শাহ আজিজের বাড়ির ভাড়া পাঠাতেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী যখন জেলে ছিলেন তখন তার বাড়ি থেকে খাবার পাঠাতে কোনো দিন কোনো বাধা হয়নি। আলাউদ্দিন মতিন, হক-তোয়াহা সাহেবরা যখন পালিয়ে থাকতেন তাদেরও গোপনে টাকা পাঠাতেন।
ধীরে ধীরে আজ কোথায় গেল সেসব রাজনৈতিক সহমর্মিতা। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর এত প্রশংসা যারা করলেন, তারা তার জীবিতকালে অমন সীমাহীন জঘন্য সমালোচনা না করলেই কি পারতেন না? আজ যারা গলা ফাটিয়ে কথা বলেন তারা কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনের জরুরি অবস্থার সময় ইঁদুরের গর্তে লুকিয়ে ছিলেন। সেদিন এই খোন্দকার দেলোয়ারই একজন নির্ভীক রাজনীতিবিদের মতো সিংহের তেজে মাঠে ময়দানে ছিলেন। তার নিজের দল বিএনপিতেও তিনি কম অপমানিত-লাঞ্ছিত হননি। তার অসুস্থতা নিয়ে কত কটুবাক্য উচ্চারণ করা হয়েছে।
যেমন স্বার্থান্বেষীরা আমাকে নিয়েও অহরহ করে থাকে। স্বাধীনতার প্রশ্নে আমার কথা নিয়ে ক'দিন থেকে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে বেশ আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগাররা বেজার, বিএনপি খুশি। কিন্তু আমি এখনো বুঝতে পারলাম না কি এমন নতুন বলেছি? লতিফ ভাই তো রেগে মেগে আমার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করেছেন। কিন্তু কেন তা বুঝতে পারছি না।
ভুলটা ধরতে পারলে হয়তো একটা কিছু করতে পারতাম।
১৬ মার্চ বুধবারের বজ্রকথন-এর অনেকটা জুড়েই ছিল গ্রামীণ ব্যাংক এবং অধ্যাপক ড. ইউনূস। আমি গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে অতটা ভাবি না। আমার উৎকণ্ঠা ক্ষুদ্রঋণের কর্মসূচিতে কোনো ধস নামে কিনা। আমার উদ্বেগ নোবেল পুরস্কার পেয়ে আমরা বাঙালিরা সারা পৃথিবীতে যে মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছি সেটা নষ্ট হচ্ছে কিনা।
হেলাফেলা করে আমাদের কারোরই এটাকে নষ্ট করা উচিত নয়।
ইতোমধ্যেই জাহান মণি জাহাজের একজন মহিলাসহ ২৬ জন নাবিক মুক্তি পেয়েছেন। দেশবাসীর পক্ষ থেকে তাদের আমি অভিনন্দন জানাই। অন্যদিকে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান দীর্ঘ কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ছাড়া আর কেউ মাহমুদুর রহমানের মতো মানুষের মনে আশা জাগাতে পারেননি। আশা করব যে মহান দিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি যেন মানুষের মুক্তির জন্য সোচ্চার থাকেন।
এশিয়ার সবচেয়ে উন্নত দেশ জাপান। সম্প্রতি ভূমিকম্প ও সুনামিতে তারা ক্ষত-বিক্ষত। আমরা ১৬ কোটি মানুষ জাপানের এই দুঃসময়ে তাদের পাশে আছি। জাপানই একমাত্র দেশ, স্বাধীনতার পর যে দেশ বাংলাদেশকে শুধু দিয়েছে, কিছুই নেয়নি। সেই প্রকৃত বন্ধুর দুর্দিনে আমরা সবাই আছি_ এটা আমাদের পবিত্র অঙ্গীকার।
১৯ মার্চ সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশ নিদারুণভাবে পরাজিত হয়েছে। পত্রিকায় ছবি দেখলাম, অনেকেই জুতা তুলে আমাদের সন্তানদের তিরস্কার করছে। পত্রিকায় শিরোনাম দিয়েছে বাঘ হয়ে আগমন, বিড়াল হয়ে প্রস্থান। এর কোনো কিছুই কিন্তু শুভবুদ্ধির পরিচায়ক নয়। ভালো খেললেই মাথায় তুলবেন, খেলা খারাপ হলে ছুড়ে ফেলবেন, তাহলে আমাদের সন্তানরা দাঁড়াবে কোথায়? আমি তো অনেক আগেই বলেছিলাম, অত মাথায় তোলা ঠিক হবে না।
ক'দিন আগে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করায় তাদের কেন এত মাথায় তুললেন? আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাচ্চাগুলোকে গণভবনে ডেকে কত আদর-যত্ন করলেন। টাকা-পয়সা দিলেন, নতুন গাড়ির চাবি দিলেন, বাড়ি করার জন্য নিকুঞ্জে প্লট দিলেন, তারপরও কারও মাথা ঠিক থাকে? দোষ আমাদের না ওই ছোট বাচ্চাদের? একটু ভেবে দেখা উচিত নয় কি? আমার তো মনে হয় একবার গণভবন, রাষ্ট্রপতি ভবন কিংবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেলেই মাঠে প্রখর রৌদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষমতা অর্ধেক হারিয়ে যায়। আচ্ছা, একটা নতুন গাড়ি দেওয়ার সময় ভাবলেন না নতুন গাড়ি পেলে কেমন হয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিয়ের পর কক্সবাজার আওয়ামী লীগের নেতারা মিলে যখন আমার ভগ্নীকে দুই দরজার একটা ছোট্ট মাজদা গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন, সেই গাড়িতে স্বাধীনতার পরও আমার দুলাভাই ড. ওয়াজেদ মিয়া সিট খারাপ হবে বলে বাজার করার কাজের ছেলেকে সিটে বসতে দিতেন না, নিচে বসাতেন। এ কথা তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং দুলাভাই নিজেরাই আমাকে বলেছেন। স্বাধীনতার পর আরিফ আহমেদ দুলালকে যখন ১৭৫ সিসি মোটরসাইকেল দিয়েছিলাম, সে তার জামা খুলে সেটা মুছতো।
নতুন গাড়ি পেয়ে বাচ্চাগুলোর মাথায় চাপ পড়েনি? খেলার মধ্যেও গাড়ির চিন্তা মাথায় গিজগিজ করেনি? নিকুঞ্জে প্লট বরাদ্দ পেয়ে একবারও কি বাড়ি করার কথা চিন্তা হয়নি? বিছানায় শুয়ে শুয়ে ওরা কি ভাবেনি বাড়িতে কয়টা রুম হবে, কোন ডেভেলপারকে দিয়ে বাড়ি বানাবে, কে ডিজাইন করবে, বউয়ের জন্য ড্রেসিং টেবিলটা কেমন হবে, বাচ্চা হলে তার জন্য দোলনাটা কোথায় রাখবে, কখনো কি একবারও ওসব কথা মনে হয়নি? সাকিব আল হাসান এত ভালো খেলোয়াড়, ব্যাট হাতে ওর যদি এমন কথা মনে হয়ে থাকে আর সে সময় সে বল না দেখায় তা স্ট্যাম্পে লেগে আউট হয় তাহলে দোষটা কি তার না আমাদের? একটু তলিয়ে দেখা দরকার। এখনো গ্রামের মেয়েরা হাতে তেল মেখে কাঁঠাল ভাঙে, যাতে হাতে আঠা না লাগে। তাই আমাদের দলকে কঠিন অনুশীলনের মাধ্যমে উপযুক্ত করে তুলতে হবে। তার জন্য তাদের প্রতি সহানুভূতি ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া দরকার। ওরা বিজয়ী হলে ওদের সহমর্মিতা না হলেও চলত।
বাংলাদেশের পরাজয়ে আমরা ব্যথা পেয়েছি, যারা খেলছিল তারা ব্যথা পায়নি? ওরাও পেয়েছে। পিতা-মাতা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবের মতো আমাদের খেলোয়াড়দের এখন আগলে রাখা উচিত। ওদের আগামী বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করা দরকার।
আমি মনে করি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মানে স্বাধীনতা। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক নন, স্বাধীনতার জনক।
এখানে দোষের কি হলো? সেদিন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। জিয়াউর রহমানও দিয়েছেন। সামরিক ব্যক্তি ছিলেন বলে জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে স্বাধীনতার আহ্বান মানুষকে অনেক বেশি উজ্জীবিত করেছে। এটাই সত্য। আমি তো জিয়াউর রহমানকে চিনতামও না, তার ঘোষণায় যুদ্ধেও যাইনি।
অনেক আগে থেকেই যুদ্ধ প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলাম। কিন্তু সেদিন জিয়াউর রহমানের ঘোষণায় কমবেশি আমিও উজ্জীবিত হয়েছিলাম। শুধু আমি কেন, আমাদের অনেক বড় নেতাও সে সময় খুশি হয়েছিলেন। তানাহলে কলকাতার বালিগঞ্জের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে কেন জিয়াউর রহমানের ঘোষণা পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময় নিয়মিতভাবে প্রচার করা হতো। এমআর আখতার মুকুলের কণ্ঠে চরমপত্রে কাদেরিয়া বাহিনীর গাবুর মাইর আর জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে 'I Major Zia do hear by declare independence of Bangladesh on behalf of our great national leader Bangobandhu Sheikh Mujibur Rahman প্রতিদিন কেন বাজানো হতো।
জিয়াউর রহমানের সেই ঘোষণা 'our great national leader' না বলে শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বা বঙ্গবন্ধু বললে কিংবা শেখ মুজিবুর রহমান বললে কোনো ক্ষতি হতো না। অশুদ্ধ হতো না। কিন্তু সেদিন বঙ্গবন্ধুর উচ্চতা কতখানি ছিল তার সেদিনের সেই হাইট বুঝা যায় জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে Our great national leader বলায়। এখানে গ্রেট না বলে শুধু ন্যাশনাল বললে বাক্যের কোনো ক্ষতি হতো না। কিন্তু সত্যিকার অর্থে সে সময় বঙ্গবন্ধু যা ছিলেন জিয়াউর রহমান তাই বলেছেন।
কোনো কমবেশি করেননি। করার উপায়ও ছিল না। যারা এখনো স্বাধীনতাকে স্বীকার করতে চান না তাদের কাউকেও যদি ওই সময় বেতার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হতো তাহলে তিনিও জিয়াউর রহমানের মতো একই কথা বলতেন। একসময় নবাব সিরাজ উদদৌলা তার ভাঁড় গোলাম হোসেনকে বলেছিলেন, 'তুমি মনে করো নবাবের বান্দা যা বুঝে আমি নবাব হয়ে তাও বুঝি না? কিন্তু কি করবো গোলাম হোসেন? কোনো উপায় নেই, উপায় নেই গোলাম হোসেন। ' সত্যিকার অর্থে আজ যে যাই বলুক, '৭১-এ বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া আমাদের কারোরই কিছু বলার বা করার উপায় ছিল না।
জিয়াউর রহমানের ঘোষণা কেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রচার করা হতো? জিয়াউর রহমানের তো স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের উপর কোনো প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণ ছিল না। বেতার কেন্দ্রটি ছিল সরকারের নিয়ন্ত্রণে। আর সেটা পরিচালনা করতেন আমাদের টাঙ্গাইলের জননেতা আব্দুল মান্নান এমএনএ। স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে আমি তো এত মাতামাতির কোনো কারণ দেখি না। জিয়াউর রহমানের ঘোষণার রেকর্ড সবতো আর মুছে ফেলা যায়নি, এখনো তা রয়েছে।
বাজিয়ে শুনুন না। তাতেই প্রমাণ হয়ে যাবে। আমি তাকে ঘোষক বললেই জিয়াউর রহমান ঘোষক হবেন, আমি না বললে হবেন না_ তা কি করে হয়? দেশের জনকের পক্ষে বা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে একটা ঘোষণা যে উচ্চারিত হয়েছিল যা বারবার প্রচার হয়েছে তা কালের সাক্ষী হয়ে আমিও শুনেছি। সেটা চোখ কান বন্ধ করে অস্বীকার করি কি করে? আজ কোনো স্বার্থের কারণে অস্বীকার করলে পরম প্রভু দয়ালু আল্লাহ তো আমাকে ক্ষমা করবে না।
আমি যেখানে বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশ মনে করি, স্বাধীনতা মনে করি, স্বাধীনতা ঘোষণার জনক মনে করি, সেখানে তাকে স্বাধীনতার ঘোষক বলি কি করে? আমি অত পণ্ডিত না হলেও সাদামাঠাভাবে বুঝি, একজন মানুষ একই সঙ্গে নারী এবং পুরুষ হতে পারে না।
হয় নারী হবে না হয় পুরুষ। তাকে দুটির একটা হতে হবে। একত্রে তো দুটি হওয়া যাবে না। তাহলে বর্তমান বঙ্গবন্ধুপ্রেমিকরা আমাকে কি করতে বলেন? তাহলে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশ বলি, তাকে স্বাধীনতা বলি, স্বাধীনতার জনক বলি! বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষক হয়ে যাক। পত্রিকায় দেখলাম বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক বলায়, বাংলাদেশ বলায়, স্বাধীনতা বলায় তিনি কোনোমতেই স্বাধীনতার ঘোষক নন বলায় কেউ কেউ আমাকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন।
ক্ষমা চাওয়া কি অতই সোজা? কোনো আত্মমর্যাদাবান মানুষের জন্য কোনো অন্যায় করা যেমন কঠিন, তেমনি কোনো অন্যায় না করে ফ্যাৎ কাঁদুনের মতো ক্ষমা চাওয়াও কঠিন। কেন ক্ষমা চাইতে হবে? মুক্তিযুদ্ধ করে বড় বেশি অন্যায় করে ফেলেছি? স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে জনকের পায়ের কাছে সব অস্ত্র জমা দিয়ে ভুল করেছি? বঙ্গবন্ধুর লাশ যখন ধানমন্ডি ৩২-এর বাড়ির সিঁড়িতে পড়েছিল, তখন জীবন-যৌবন বিসর্জন দিয়ে মা-বাবা, ভাই-বোনের কথা চিন্তা না করে তাদের বন্দুকের নলের মুখে ফেলে সেই হত্যার প্রতিবাদ করে ১৬ বছর নির্বাসনে থেকে এখনো বেঁচে থেকে কি খুব অপরাধ করেছি? মাফ চাইতে বলছেন। আমার নামে অভিযোগটা কি? জাতির সামনে অভিযোগ আনেন। জাতি বিচার করুক তখন দেখা যাবে কাদের মাফ চাইতে হয়। বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে যারা ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছে, জুতা বানাতে চেয়েছে, বঙ্গবন্ধুকে যারা ফেরাউন বলেছে, যারা খুনি মোস্তাকের মুখ্য সচিব ছিল তাদের বগলতলে নিয়ে অত বড় বড় কথা শোভা পায় না।
আমি অবশ্যই বলেছি বঙ্গবন্ধু কখনো স্বাধীনতার ঘোষক নন। তার স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার কোনো প্রয়োজনই ছিল না। তার অনেক ঘোষক ছিল। আমরা থাকতে তার কি দরকার ছিল? আজ রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব কার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়? সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব ও নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতির নামে পরিচালিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রায় সব কয়টি কেবিনেট মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেন তার বর্তমান প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ।
এটাই নিয়ম, এটাই পদ্ধতি। সেদিনও এমন নিয়ম, পদ্ধতি ছিল। এক পণ্ডিতকে দেখলাম আমার লেখা 'স্বাধীনতা '৭১'-এর উদ্ধৃতি থেকে লিখেছেন, বঙ্গবন্ধুর সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের উপর ভিত্তি করে আমি নাকি বঙ্গবন্ধুকে ওই বইয়ে স্বাধীনতার ঘোষক বলেছি। ওটা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, তার নির্দেশ বা হুকুম। অন্যরা যখন ওটা উচ্চারণ করেছেন তখন তিনি ঘোষক হয়েছিলেন।
কেউ বঙ্গবন্ধু হননি। এখন যদি বঙ্গবন্ধুর বর্তমান অতিভক্তরা তাকে জনক থেকে নামিয়ে ঘোষক বানাতে চান নিশ্চয়ই বানাতে পারেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে জিয়াউর রহমানের ঘোষণার কোনো অর্থ হতো না যদি বঙ্গবন্ধুর অনুমোদন না থাকত। দেশে যত বড় বড় কাজ হয় সবকিছুর অর্ডার ইস্যু করেন সহকারী সচিবরা। কিন্তু তার জন্য তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
সব আদেশেই থাকে আদিষ্ট হইয়া। তেমনি জিয়াউর রহমানের ঘোষণায়ও ছিল 'on behalf of our great national leader Bangobandhu Sheikh Mujibur Rahman তাই তিনি এই অর্থে যথার্থই স্বাধীনতার ঘোষক। এ জন্য আমাকে জেল দেবেন, ফাঁসি দেবেন? সংবিধান আমাকে আমার বক্তব্য পেশের অধিকার দিয়েছে। আমার চিন্তা-চেতনা মুক্তভাবে পেশ করার অধিকার দিয়েছে। স্বাধীন দেশে তাও হরণ করতে চান? আমি তো এখন আর আওয়ামী লীগ করি না যে লেজ টেনে ধরবেন।
বহিষ্কার করবেন। আল্লাহর দয়ায় জনগণের সমর্থনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে রাজনৈতিক দল করেছি। আপনাদের মতো অতো বড় হয়নি। মুক্তিযুদ্ধও কিন্তু আমি এক সময় দু'জন নিয়েই শুরু করেছিলাম। আল্লাহর যদি দয়া হয় আর সাধারণ মানুষ যদি সহযোগিতা করে আমি বেঁচে থাকতে না হোক পরবর্তী কোনো সময় দেশের সেবায় দলটি কাজে লাগতে পারে।
তাই দয়া করে ভয় দেখাবেন না। ভয় দেখিয়ে চিৎপাত করতে পারবেন না।
এবার মাননীয় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বড়ভাই আপনাকে বলি, আপনার কালিহাতী এবং এলেঙ্গায় আমার বক্তব্যের প্রতিবাদ হয়েছে। আপনার চেলারা করেছে। আমার ধৈর্য সম্পর্কে আপনি জানেন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ৫ অথবা ৬ জানুয়ারি টাঙ্গাইল নিরালার মোড়ে আপনি উম্মাদের মতো আমাকে যে গালাগালি করেছিলেন তা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। বড়ভাই বলে, পিতৃতুল্য বলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিলাম। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে কাদেরিয়া বাহিনীর প্রায় একশ' চৌকস যোদ্ধা অস্ত্র নামিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল। সেদিন আপনি ছাড়া আর কেউ কাদের সিদ্দিকীর মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারতো না, গালি দেওয়া তো দূরের কথা, কাদের সিদ্দিকীর গায়ে সেদিন কোনো মশা বসার সুযোগ ছিল না। কিন্তু আপনি বড়ভাই বলে নির্বিবাদে গালি দিয়ে অন্যকে গালি দেওয়ায় সাহসী করেছিলেন।
তারপরও আমি মাথা নিচু করেছিলাম। বাবা নেই তাই এখনো আপনার সামনে মাথা নিচু করে থাকি। আমি সম্রাট শাহজাহানের পুত্র আওরঙ্গজেব হতে চাইনি। '৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি হাঁটু গেড়ে বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে অস্ত্র জমা দিয়েছিলাম। সটান তার সামনে দাঁড়িয়েও অস্ত্র দিতে পারতাম।
আমি বুঝে শুনে চিন্তা-ভাবনা করে হাঁটু গেড়ে তার পায়ের কাছে অস্ত্র দিয়েছিলাম। শুধু এটা বুঝাতেই যে, অস্ত্র কোনো শক্তি নয়, অস্ত্রধারীরা কোনো শক্তি নয়। শক্তি হলো অস্ত্রকে যারা চালায় তারা এবং তাদের যিনি পরিচালনা করেন তিনি। আমার এই চিন্তা ও চৈতন্য হয়তো কোনো কাজে লাগেনি। সবাই নেতার পায়ের কাছে অস্ত্র দেয়নি।
তার বুকেও অস্ত্র ধরেছে। মাননীয় মন্ত্রী বুকে হাত দিয়ে বলুন তো সেদিন আপনার ভাই বজ না হয়ে অন্য কেউ টাঙ্গাইলে মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার হলে তাকে ওভাবে গালাগাল করতে পারতেন? মোটেই পারতেন না। স্বাধীনতার আজ চলি্লশ বছর। আপনি কি কাদের সিদ্দিকীর ভাই? কেউ আপনাকে এ প্রশ্ন করলে এই চলি্লশ বছরে কম করে হলেও চলি্লশ হাজার ভদ্রলোককে অপ্রয়োজনীয় কুকুর বিড়ালের মতো গালাগালি করেছেন শুধু আপনাকে লতিফ সিদ্দিকী না বলে আমার ভাই বলার কারণে। কেউ আপনাকে আমার ভাই বললে সবসময় বলেছেন, 'আমি ওর ভাই হবো কেন? আমি লতিফ সিদ্দিকী, আমার কোনো পরিচয় নেই?' মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহুবার বলেছেন, 'বজ আমাকেই মানে না, আর আপনাকে মানবে?' আপনাদের মানি কি মানি না এটা বুঝলেন কিভাবে? না মানলে তো '৭২-এই গুলি দিয়ে উড়িয়ে দিতাম।
মানি বলেই তো গালি দেন। তবে আপনার চেলাদের অভিযোগ কি_ এটা আমাকে খোলাসা করতে হবে। অনেকদিন চুপ করেছিলাম। আর ক'দিনই বাঁচব। তাই আর চুপ করে থাকছি না।
মেরে ফেলবেন, অপমান করবেন? আপনাদের জমানায় সবাই তো অপমানিত। জননেত্রী শেখ হাসিনার কেবিনেটে আপনি একজন সিনিয়র মন্ত্রী। টাঙ্গাইল পৌরসভা নতুন ভবন উদ্বোধনের আপনার নাম ফলক তুলে ফেলে দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনি কি লজ্জিত? আচ্ছা, আপনি তো একজন বিদ্বান মানুষ, মেরে কেটে কি আইয়ুব-ইয়াহিয়া আমাদের জাত করতে পেরেছে? আপনার লোকজন বলছে আমি বিএনপি জোটে যাচ্ছি। আচ্ছা আমি যদি কোনো জোটে যাই আপনার দল কি করবে? আমি তো আর আওয়ামী লীগ করি না।
বেশি সুখে থাকলে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে পায়খানা করার ইচ্ছা করে। দেশের যে অবস্থা, মধ্যপ্রাচ্যের যে অবস্থা তাতে আপনারা কিন্তু খুব বেশি সুখে নেই। চুলকিয়ে আর ঘা করবেন না।
এই ক'দিন আগে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মরদেহে আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি, স্পিকার, চিফ হুইপ ফুলমালা দিলেন। আপনাদের সোনার ছেলেরা আমাকে যদি আগামীকাল মেরে ফেলে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনারা ফুলমালা দিতে যাবেন না? জননেত্রী হাসিনার মন্ত্রী বলে এক মায়ের পেটের ভাইকে কবর দিবেন না? আর কেউ না জানলেও আপনি আমাকে ভালো করে জানেন এবং চিনেন।
বেশি জ্বালাতন করলে কবর দেওয়ার রাস্তাও আপনাদের বন্ধ করে দেব। মা'র মৃত্যুর পর জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব এনেছিলাম। আমার মা কোনো অনুষ্ঠানে নাচানাচি করেনি, গান গায়নি, বেপর্দা হয়ে বাইরে ঘোরেনি, তিনি কোনো নারী নেত্রী নন বলে তার নামে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। সেই কারণে আমি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদকে চিঠি দিয়েছি যে সংসদে সমাজকর্মী বা নেত্রী নয় বলে আমার মায়ের নামে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি, সেই সংসদ আমার নামে শোক প্রস্তাব নিতে পারবে না। ইদানীং মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর তথাকথিত রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়।
সেখানেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিখিত দিয়েছি জীবিতকালে যে মুক্তিযোদ্ধারা কোনো সম্মান পায় না তাদেরকে মৃত্যুর পরে তথাকথিত পুলিশি স্যালুটের মাধ্যমে সম্মান জানানো এক নিদারুণ মশ্কারী। তাই আমার মরদেহ নিয়ে যেন অমন মশ্কারী না করা হয়। দেশে তো এখন আর আইন-কানুন নেই। ভদ্রতা-সভ্যতা লেশমাত্র নেই। তাই আপনারা রাষ্ট্রীয় জোর করতেই পারেন।
কিন্তু আমার অন্তিম ইচ্ছার বিরুদ্ধে তা হবে সম্পূর্ণ শরীয়তবিরোধী। এমন দলিল যেন করে যেতে না হয় যে মৃত্যুর পর কোনো বর্তমান আওয়ামী লীগপন্থীরা আমার মুখ দেখার সুযোগ পাবে না।
শান্তভাবে ব্যাপারগুলো ভেবে দেখবেন। বড়ভাই হিসেবে পরিবারের জন্য কতটা করেছেন, আর ছোটভাই হিসেবে আমি কতটা করেছি। এই দেশে হাজার হাজার সন্তান আমার যত্নে আমার অর্থে প্রতিপালিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
অনেকে আজ দেশে-বিদেশে বড় বড় নেতা। শুধু আর্থিক কারণে আমার একমাত্র ছেলের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বন্ধ হয়ে গেছে। আপনারা আওয়ামী লীগের, আপনারা দেশের নন, আপনি মন্ত্রী হওয়ার পর দু'তিন বার আপনার কাছে গেছি। আপনার দলের চেলারা নানা কথা বলেছে। মনে হয় আপনিও অস্বস্তিবোধ করেছেন।
তাই গত এক বছর আপনার কাছে যাইনি। দু'একটি মৃত্যু সংবাদ ছাড়া ফোন করিনি। কি হবে দেখা করে, ফোন করে? আপনারা তো দেশের মন্ত্রী নন, আপনারা শুধু আওয়ামী লীগের মন্ত্রী। আওয়ামী লীগের বাইরে আর সবাই আপনাদের দুশমন। এটা কোনো রাষ্ট্রের নীতি হতে পারে না।
আজ কথাগুলো এই জন্য লিখলাম, আর বাঁশি যদি না বাজে, হাত যদি আর না চলে। তাই অনুরোধ করি দেশকে বাঁচান, নিজেও বাঁচুন। জনকণ্ঠে আপনার লেখা পড়েছি। আমাকে উপলক্ষ করে হলেও লিখুন। আপনি ভালো লিখতে পারেন।
ইদানীং আওয়ামী ঘরানা থেকে আমার বিরুদ্ধে আবার দুর্বার সমালোচনা শুরু হয়েছে এটা কি জিয়াকে ঘিরে? না নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের জন্য? আমি যেমন জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অতিরিক্ত কিছু বলিনি, অধ্যাপক ইউনূস সম্পর্কেও একবিন্দু অসত্য বলিনি। আমি যে দেশের জন্ম দিয়েছি, যে দেশের জন্য রক্ত ঝরিয়েছি সেই দেশের মর্যাদা রক্ষায় আমি নিবেদিত হব না তাহলে কে হবে?
লেখক : রাজনীতিক।
সূত্র...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।