অন্তহীন পথে আমার নিরন্তর ছুটে চলা......
ছোটবেলায় আমরা সবাই পড়েছি "জীবে দয়া করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর"।
আমাদের সবাই কে এসব নীতিবাক্য(!) পড়ানোর উদ্দেশ্য ছিল মহৎ। আর তা হলো আমাদের মধ্যে ন্যায় নীতিবোধ আর মনুষ্যত্ব নামক দুইটি গুণকে জাগিয়ে তোলা, যা আজকের সমাজে প্রায় নেই বললেই চলে। আমাদের আশেপাশে তাকালেই আমরা দেখতে পাবো আমাদের এই অবনতির করুণ চিত্র। অথচ এর জন্যই কি আমরা সৃষ্টির সেরা জীব বলে গর্বে বুক ফুলাই!!!!!!!!!???????
মানুষ এখন পশুর চেয়েও হিংস্র, অবিবেচক, ন্যায় নীতিবোধহীন।
মানুষ তার নিজ স্বার্থে বা প্রয়োজন সবই করতে পারে। কোনো কাজ করতেই তাদের এখন আর বিবেকে বাধে না। বাধবে কি করে, বিবেক নামক এই জিনিসটাও যে ডায়নোসরের মত বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাইতো আজকাল পত্রিকার পাতায় পাতায় আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন অভিনব কায়দায় খুন, হত্যাসহ আরো নানা অপরাধ।
ব্যক্তিগত একটি ঘটনা বলি।
গত তিন বছর ধরে সিলেটে আছি। এখানকার
মানুষদের হাবভাব দেখলে মনে হয় তারা উন্নত ও উৎকৃষ্ট প্রজাতির মনুষ্য।
তাছারা তাদের মধ্যে ধর্মানুভূতিও প্রবল। নিজেদের তারা খুব সাহসী পরিচয় দিতে ভালবাসে। কিন্তু তাদের সবকিছুই কপট, লোকদেখানো।
গত ২৪ মার্চ রাতেই তা বুঝেছি। আমার এক বড় ভাই কে অনেকজন মিলে কাপুরুষের মত আঘাতের পর আঘাত করত থাকে। তখন সময় ছিল রাত ৯টা আর স্থান ছিল অন্যতম ব্যস্ত এলাকা মদিনা মার্কেট। আশেপাশে প্রচুর মানুষ ছিল কিন্তু কেউ সাহায্য করতে আসেনি। তাদের কাছে কোনো আগ্নেয়াস্ত্রও ছিলনা, ছিল শুধু লোহার রড।
মানলাম যে এগিয়ে যাওয়া খুব রিস্কি ছিল, কিন্তু হামলাকারীরা যখন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায় তখনো কি এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিলনা? রাস্তায় মরা লাশ হয়ে পড়েছিল আধাঘণ্টা। এর মাঝে তাকে পাশ কাটিয়ে গিয়েছিল অসংখ্য রিকশা, সি.এন.জি, কার। কারো কি একবারো মনে হয়নি যে এটা কোন কুকুর বিড়াল না, বরং মনুষ্য সন্তানের নিথর দেহ??????????
না........এটা তাদের মনে হয়নি। হলেতো আর এভাবে ফেলে যেতনা। কোথায় গেলো এই ধার্মিক সিলেটীরা, ধর্ম কি তাদের এই শিক্ষাই দিয়েছে???????????? কোথায় গেল তাদের নাক উচা করা কথাবার্তা???????? কোথায় গেল তাদের তথাকথিত সেই সাহস???????????
এই ভাবে চলতে থাকলে সবকিছুই চলে যাবে নিয়ন্ত্রনের বাহিরে।
সত্যিই সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ!!!!!!!!!!!!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।