Never Ever Give Up..... Revenge is Sweet........
সাখাওয়াত হুসেন সেলিম, নিউ ইয়র্ক থেকে
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা কোর্টে একটি মামলার আর্জি দাখিল করা হয়েছে। জরুরি অবস্থার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নির্যাতনের অভিযোগ এনে আর্জিটি দাখিল করেন বৃটিশ নাগরিক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা ব্যারিস্টার মুফাসসিল ইসলাম মাজহার। গত ১১ই মার্চ তিনি মামলার আর্জিটি নর্থ ক্যারোলিনার ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে দাখিল করেন বলে জানান।
রালেহ নর্থ ক্যারোলিনার বাসিন্দা ব্যারিস্টার মাজহার অভিযোগ করে বলেন, জরুরি অবস্থার সময় জেনারেল মইনের সেনাবাহিনীর হাতে আমি ও আমার পরিবার চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছি। যার প্রেক্ষিতে চরম মানসিক চাপে আমি এখন বিপর্যস্ত।
আমার জীবনাচার পাল্টে দিয়েছে মইনের অত্যাচার আর নিপীড়ন। এর প্রত্যক্ষ প্রমাণ রয়েছে। তিনি বলেন, মইনের লোকজন এখনও নানাভাবে আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ কারণে আমি বাংলাদেশে যেতে সাহস পাচ্ছি না। এটা বাংলাদেশী হিসেবে সাংবিধানিক অধিকার ভঙ্গের শামিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে আদালতে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জয়েন্ট টাস্কফোর্সের হাতে নির্যাতিত হওয়ার অভিযোগ এনে এটাকে অমানবিক, অমানুষিক এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে অভিযোগ করেছেন তিনি। একই সময় জেনারেল মইনের এজেন্ট কর্তৃক তার স্ত্রীকে ধরে নিয়ে আটকাদেশ এবং অত্যাচার-নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি তার মামলার আর্জিতে। অত্যাচার-নির্যাতনের কারণে নিজ শিশু সন্তানের অসুস্থতা এবং স্ত্রীর মানসিক ভারসাম্যহীনতা, অফিস তল্লাশি, ভাঙচুর বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেছেন। ব্যারিস্টার মাজহার তার আর্জিতে বলেন, বাংলাদেশের সিভিল কোর্টে এর বিচার চাইতে গেলে তারা আমার অভিযোগ গ্রহণ করেনি। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সেনা সদস্যদের বিচার সিভিলিয়ান কোর্টে করা সম্ভব নয়।
কোর্টে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ব্যারিস্টার মাজহার ও তার পরিবারের বর্তমান ও অতীত সব চিকিৎসা খরচ এবং সম্পদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। ব্যারিস্টার মাজহার বলেন, আমি যখন পুরো পরিবার-পরিজন সহ অসুস্থ তখন জেনারেল মইনের বিলাসী আমেরিকা ভ্রমণ আমাদের আরও বেশি অসুস্থ করে তুলছে। এর বিচার হতে হবে। তিনি বলেন, আমার পুরো বিষয়টি এখন কোর্ট বিবেচনা করবে বলে আশা করছি। আবেদনটি গ্রাহ্য হলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব চূড়ান্ত করবে আদালত।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মাজহার বলেন, ২০০৭ সালের ১২ই মার্চ মধ্যরাতে আমার স্ত্রী আফরোজা ইসলামকে ঢাকার শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় জয়েন্ট টাস্কফোর্স। এ সময় তিনি বিশ্বব্যাংকে চাকরি করতেন। আমার শিশু সন্তানটি ব্রেস্ট ফিডিং হওয়া সত্ত্বেও কোন অনুনয় বিনয় মইন বাহিনীর পাষাণ হৃদয়ে ন্যূনতম করুণার উদ্রেক করতে পারেনি। ব্যারিস্টার মাজহার বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান আমার ক্লাসমেট। শাহীন স্কুল থেকে আমরা একসঙ্গে লেখাপড়া করেছি।
আর আমার শ্বশুর বেগম খালেদা জিয়ার খালাতো ভাই আবদুল ওয়াদুদ হিটো। যিনি বাংলাদেশের একজন শিল্পপতি। ১৯৯২ সালে আইন বিষয়ে অধ্যয়ন করতে আমি ইংল্যান্ড যাই। ১৯৯৭ সালে দেশে ফিরে ল’ প্র্যাকটিস শুরু করি। ২০০৪ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন ইকুয়েডরে কন্স্যুলেট খোলার ঘোষণা দেয়া হয়।
সেখানে নিয়োগ করা হয় মকবুল আহমদ নামে একজনকে অনারারি কন্সাল হিসেবে। তারা বিভিন্ন পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন দেয়া শুরু করলেন ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে সেদেশে মানুষ নেয়ার। এসময় আমি ইকুয়েডর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে তারা এবিষয়ে নিজেদের অজ্ঞতা প্রকাশ করে। এর প্রেক্ষিতে আমি মকবুল সাহেবের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করার প্রস্তুতি নেই। এ সময় তিনি ভয়ভীতি দেখানো শুরু করলেন।
এরপর বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকির কারণে আমি দেশ ছাড়তে বাধ্য হই। জয়েন্ট টাস্কফোর্স আমার অবর্তমানে অফিস ভেঙে ৩৯টি কম্পিউটার নিয়ে যায় এবং অফিস ভাঙচুর করে। আমার স্ত্রীকে বাসা থেকে নিয়ে গিয়েছিল আমিন আহমেদ নামের একজন মেজর। এবিষয়ে আমি সবার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করলে পরবর্তীতে তৎকালীন বৃটিশ এমপি জর্জ গ্যালওয়েল একটি চিঠি দেন। ২০০৭ সালের ১৩ই মার্চ তিনি আমার স্ত্রীকে গ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করে যে চিঠি দিয়েছিলেন তার কপি আমার কাছে রয়েছে।
সূত্র : Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।