আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভ্যান টেনে সংসার চালায় ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী শাকিলা



১১ বছর বয়সী শাকিলা আক্তার আটোয়ারী উপজেলার পটেশ্বরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। বাবা মনির হোসেন (৪০) পেশায় ভ্যান চালক। শাকিলা ৪ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। ছোট বোন শখি আক্তার (৬) ১ম শ্রেণীতে পড়ে। অপর ছোট বোন রূপালী বয়স ৪ আর একমাত্র আদরের ভাই নয়ন মিয়ার বয়স ২ বছর।

৬ সদস্যের পরিবারে আয়ের একমাত্র উৎস বাবার তিন চাকার যান (ভ্যান)। ভ্যানের চাকা ঘুরলে চুলোয় হাঁড়ি চড়ে। অন্যথায় উপোস থাকতে হয় পরিবারের সবাইকে। ২০ মার্চ বিকালে দেখা যায় ৪ জন যাত্রী নিয়ে হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে ভ্যান চালিয়ে আসছে ছোট্ট একটি মেয়ে। উপজেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে ভ্যান থামিয়ে কথা হয় শাকিলার সাথে।

শাকিলা জানায়, ভ্যানের যাত্রীরা আর কেউ নয়- তার মা আর ৩ ভাই-বোন। বাবা অসুস্থ হাসপাতালে চিকিৎসায় রয়েছে। কথা হয় শাকিলার মা জহুরা খাতুনের সাথে। ভাইয়ে ভাইয়ে মারামারি করে ৬/৭ দিন যাবৎ স্বামী (মনির) হাসপাতালে। ৪ শিশু সন্তান নিয়ে মহাবিপাকে।

স্বামীর ওষুধের টাকা যোগাড় করতে পারছেন না। সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেয়ার সামর্থ্য তার নেই। বাসা-বাড়িসহ মাঠে কাজ করতে চাই। কিন্তু কোলে ছোট্ট শিশু তাই কেউ কাজে নিতে চায় না। এ সময় সংসারের হাল ধরে বড় মেয়ে শাকিলা।

স্কুল ছুটির পর পিতার পড়ে থাকা ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে। দু'-একজন যাত্রী নিয়ে আশপাশে পেঁৗছে দেয়। এতে সামান্য টাকা রোজগার হয় তাই দিয়ে কোনমতে তাদের সংসার চলে যাচ্ছে। শাকিলা জানায়, ভ্যান চালানোর কোন ইচ্ছে তার নেই। কিন্তু ছোট ছোট ভাই-বোনদের মুখের দিকে চেয়ে সে অসাধ্য এই কাজটি করে যাচ্ছে।

স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরেই ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩০/৩৫ টাকা আয় হয়। সে টাকা দিয়ে কোনমতে কেজিখানেক চাল নিয়ে বাড়ি ফিরে সে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।