আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভ্যান ভ্যান পোস্ট

"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার

অনেকদিন পর সামুতে আসলাম, নিজেকে নতুন লাগছে। প্রথমদিকের কয়েকটা নাম ছাড়া আর কাউকে তেমন চিনতে পারছি না। গতবার যখন এসেছিলাম তখন আমার একখানা পোস্টে একজন আমাকে নতুন একজন প্লাসের লোভ দেখিয়েছিল, সেই দুঃখে লজ্জায় অভিমানে আমি সামু ছেড়েছিলাম আগে আমার স্মৃতিশক্তি প্রখর ছিল একবার শুনে অনেক নাম, নাম্বারসহ সবকিছু মনে রাখতে পারতাম। আমার বড়বোন না বুঝে মুখস্ত করায় একজন এক্সপার্ট ছিল ছোটবেলায়। সে পড়তো আর পড়া আমার মুখস্ত হতো আজ এসব বললে হয়তো অনেকেরই মনে হতে পারে আমি ঢোল পিটাচ্ছি, আমি অস্বীকার করবো না।

তবে এটাও সত্যি যে এখন বয়স হয়েছে, এই বৃদ্ধ বয়সে আর স্মৃতি শক্তি তেমন ভাল সাপোর্ট দেয় না। সামুর ইমো গুলো্র কোডগুলোও ভুলতে বসেছি। তবে কিছু স্মৃতি আজকাল বড়ই যন্ত্রণা দিচ্ছে, হনলুলু কে দেখলাম আমার পেইজ লাস্ট ভিজিটরদের লিস্টে, এই ভদ্রলোক অনেক ব্যস্ত মানুষ আমি শুনেছি যতদূর, তারমত একজন মানুষ আমার পেইজে এসেছেন আমি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ উনার পোস্টে যেয়ে বড়ই বিরক্ত হলাম। আমি বেশ কিছুদিন ধরেই যে বিষয় গুলো নিয়ে ভাবছি উনি তা নিয়ে ২মাস আগেই পোস্ট দিয়েছেন। উনি কি কি মিস করেন তাই লিখেছেন, আমিও লিখতে বসলাম কি কি আজকাল যন্ত্রণা দেয়br /> সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে গন্ডারের কথা।

উনি প্রথম দিকে আমাকে বড়ই অপছন্দ করতেন এবং যতটা কথা শোনা আমার প্রাপ্য ছিল উনি তার থেকে বেশি শোনাতেন কারণ উনার জামাতি বিষয়ে এ্যালার্জি ছিল আর উনি আমার মত একজন নিরপেক্ষ মানুষকে জামাতি ব্লগারের নিক ভেবেছিলেন। পরে উনার ভুল ভাঙ্গে বহুদিন পরে। উনার কমেন্টগুলো অনেক মজার ছিল, উনি পোস্ট দিতেন না। মাঝে উনি আবার রেগুলার হয়েছিলেন তখন আমি উনার কমেন্ট ফলো করতাম, কোন পোস্টে কি কমেন্ট করলেন, বড়ই মজা পেতাম। ব্লগের রেডিও আড্ডা নিয়ে উনি নিবিড়কে কটূ কথা শোনাতে যেয়ে ব্যান হয়েছিলেন শেষবার, শোনা কথা সঠিক তথ্য জানি না।

তবে এ ঘটনা সত্যি হলে নিবিড়কে কোনদিনই ক্ষমা করতে পারবো না অলস নামে একজন ব্লগার ছিলেন, উনি আসলেই অলস ছিলেন পোস্ট লিখতেন না , ছোট্ট কমেন্ট দিতেন। হাসি পেলে চেয়ার উল্টানো হাসি দিতেন। উনি ইমো দিতে পারতেন না, একবার উনাকে ইমো দেয়া শেখাতে গেলেন ব্লগার রাশেদ ওরফে রাশু ভাই আর গন্ডার। রাশু ভাই শেখানোর পর গন্ডার শেখাতে গেল। তখন ইমো দেয়া হতো হাসি দিতে গেলে ব্রাকেট এ হাসি লিখে।

অলস এই ইমো টা দিতো ব্রাকেট এর মধ্যে লেখার কথা ধরাখাইছি লিখলেন চোখ টিপি গান বাজনা শুনতে পারি না আজকাল, পিসি টা বোবা হয়ে গেছে কেন জানি। একসময় চেনা অচেনা এত গান শুনতে পেতাম এর জন্য অনেকেরই কথা বলা যেতে পারে তবে একজনের নাম না বললেই চলে না, বন্ধু বিমা ওরফে বিষাক্ত মানুষের কথা। একজন ভাল কবিও উনি। তবে উনি লিখেন না। কি বলিতে গেছিলাম কি লেখা শুরু করলাম, বলতে গেছিলাম যে আমার স্মুতিশক্তি কমে যাচ্ছে তাই প্লাসের লোভ দেখানোর দুঃখ এত জলদি ভুলে আবার ও একটা পোস্ট লিখে ফেললাম।

সবাইকে সালাম

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।