রাজশাহী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার দায়ে একই প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রকে বহিস্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। বহিস্কৃত ওই ছাত্রের নাম আর রাফি আহসান। সে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের কমার্স বিভাগের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র ছিলো। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জার্জিস কাদির জানান, এর আগেও রাফি প্রতিষ্ঠানের শৃংখলা ভঙ্গ করে এবং শিক্ষকদের সাথেও অসদাচরণ করে। এরই জের ধরে তাকে বুধবার স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, কলেজের কমার্স বিভাগের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র রাফি ভর্তি হওয়ার পর থেকেই উচ্ছৃংখল আচরণ করে আসছিল। এঘটনায় তাকে প্রথমে সংশোধনের চেষ্টা করেন শিক্ষকরা। তবুও রাফি না বদলালে গত ১ মাস আগে স্কুল এন্ড কলেজ শৃংখলা কমিটির সভায় তাকে বহিস্কারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি জানার পর ১মাস ধরে রাফি কলেজে আসতো না। কিন্তু বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ করে রাফি কলেজে প্রবেশ করে।
কলেজে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের অনুশীলন চলছিল। রাফি তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে কলেজের ৫ম তলার একটি কক্ষে যায় এবং সেখানে একই স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। ঐ ছাত্রী কলেজের অধ্যক্ষ জার্জিস কাদিরকে বিষয়টি জানায়। এসময় প্রিন্সিপ্যালের নির্দেশে কলেজের ৪তলার বাথরুম থেকে কর্তৃপক্ষ রাফিকে আটক করে। সেইসাথে তার পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করে কলেজে আসতে বলা হয়।
একই সাথে ছাত্রীর অভিভাবকদেরও বিষয়টি জানিয়ে কলেজে আসতে বলা হয়। পরে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে রাফিকে কলেজ থেকে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়।
এ ব্যাপারে রাজশাহী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল জার্জিস কাদির জানান, রাফি আমাদের স্কুলে নবম শ্রেনীতে ভর্তি হয়। কিন্তু কলেজে উঠার পর সে বেপরোয়া হয়ে উঠে। রাফি ক্লাসে শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণসহ ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে।
ফলে কলেজের শৃংখলা বজায় রাখতে তাকে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়েছে। সূত্র:নতুন প্রভাত
আমার মত : দারুন হইছে এরকম ভাবে ছাত্র সহ প্রাইভেট শিক্ষক, লুচ্চা শিক্ষক দেরও শাস্তি কার্যকর করতে হবে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।