বাংলার জনগন
বাহরাইনে সরকারবিরোধীদের হামলায় দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন আবদুল হান্নান ও এখলাছুর রহমান (৩৭)। দুজনেরই বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায়।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে কাজ শেষে ফেরার সময় বিক্ষোভকারীরা গাড়ি চাপা দিয়ে তাঁদের হত্যা করে। একই ঘটনায় বাহরাইনের এক পুলিশ কর্মকর্তা মারা যান বলেও জানা গেছে।
বাহরাইন থেকে সিলেটের বশির আহমেদ আজ সকালে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, সিতরা এলাকায় বিক্ষোভকারীরা ওই দুই বাংলাদেশির ওপর গাড়ি তুলে দিলে তাঁরা মারা যান। এ ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার রাতে ও আজ সারা দিন রাজধানী মানামার বিভিন্ন স্থানে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। জিডহাস এলাকায় বাংলাদেশিদের ক্যাম্পে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালানোর চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন বাহরাইন থেকে কুমিল্লার শাহিন।
বাহরাইনের বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মুহাম্মদ ইবরাহিম মুঠোফোনে আজ বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, বিক্ষোভকারীদের হামলায় হান্নান ও এখলাছ নামের দুই বাংলাদেশি মারা গেছেন। ওই দুজনের লাশ শিগগিরই দেশে পাঠানোর চেষ্টা করা হবে।
ওই দুজন আল বিদায়ী নামের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তাঁরা ১৪-১৫ বছর ধরে বাহরাইনে আছেন। কাজ শেষে ক্যাম্পে ফেরার সময় তাঁদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেয়। তাঁদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁদের কোম্পানিও দুঃখ প্রকাশ করেছে।
অন্য বাংলাদেশিদের অবস্থা কী, জানতে চাইলে মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, বাহরাইনে কারফিউ চলছে।
ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন স্থানে গোলাগুলির শব্দ। অনেক বাংলাদেশি মোবাইলে জানাচ্ছেন, তাঁদের ক্যাম্পে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালানোর চেষ্টা করছেন। আর তাঁরা বাহারাইনের পুলিশকে ঘটনা জানাচ্ছে।
এর আগে গত রোববার বিক্ষোভকারীদের হামলায় আবদুল মালিক (৩০) নামের এক পাকিস্তানি মারা যান।
সেদিন সরকারবিরোধীদের হামলায় ২০ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন চিকিত্সাধীন। এ ছাড়া বাংলাদেশি মালিকানাধীন অন্তত ৫০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। রোববারের ভাঙচুর ও লুটপাটের পর প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিছুটা আতঙ্কে রয়েছেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, দেশটিতে এক লাখ ৪০ হাজারের মতো বাংলাদেশি আছেন।
বাহারাইনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের হামলায় এ পর্যন্ত ১৭ জন বিদেশি শ্রমিক আহত হয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন তাদের নাগরিকদের দ্রুত বাহরাইন ছাড়তে বলেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।