রংপুর কারমাইকেল কলেজে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেকে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাতজন শিবির কর্মীকে আটক করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ছাত্রশিবিরের রংপুর মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন, কর্মী মোস্তাফিজার রহমান, আবদুল্লাহ মামুন, শরীফুল ইসলাম, আবুল হোসেন, জাকারিয়া ইসলাম ও হাবীব। তাঁদের থানা হাজতে রাখা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ১৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী এবং ১০ জন শিবিরের নেতা-কর্মী। আর বাকিরা সাধারণ শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সম্মান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে জড়ো হলে একপর্যায়ে ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পরস্পরের ওপর হামলা চালায়।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রশিদুল হকের নেতৃত্বে এখন কলেজের ছাত্রাবাসগুলো তল্লাশি অভিযান চলছে। পুলিশের সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ দীপকেন্দ্র নাথসহ কলেজের অন্য শিক্ষকেরা রয়েছেন। পুলিশ লাঠিসোঁটাসহ কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। উল্লেখ্য, কারমাইকেল কলেজে সবগুলো ছাত্রাবাস শিবিরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ক্যাম্পাসে প্রচুর দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হায়দার আলী মোল্লা বলেন, ‘উত্তেজনার খবরে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। ’
কলেজের অধ্যক্ষ দীপকেন্দ্র নাথ বলেন, ‘আজ সম্মান প্রথম বর্ষের ক্লাস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছি।
’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।