কাপুরুষের শেষ আশ্রয় হল দেশপ্রেম
১১ মার্চ মোহালিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ডের। দল খুব চাঙা, শুধু ঢাকার ঘটনাটাই তাদের মনে হানা দিচ্ছে বারবার। ঢাকাকে ভুলতে পারছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতে ফিরেও তারা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম থেকে হোটেলে ফেরার পথে তাদের টিম বাসে ঢিল পড়ার কথা মনে পড়ছে। এ ঘটনা নিয়ে এখনো টুইট করে যাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়েরা। স্পিনার সুলিমান বেন লিখেছেন, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে বাংলদেশ ছাড়তে পেরেছি।’
পত্রিকার পাতায় আজকে এই বাক্যগুলো পড়তেই মেজাজ খিঁচড়ে উঠল!
কি ভাবছে ালারা আমাদের?
আমরা কি ওদের চেয়ে অসভ্য জাতি নাকি?
ওরা আমাদের চেয়ে কোন দিক থেকে উন্নত?
না হয় বাসে ঢিল ছুঁড়েছে, তাতে কি মহাভারত অশুদ্ধ হইছে!
ক্রিকেট নিয়ে এর চেয়ে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এই উপমহাদেশেই ঘটেছে!
৯৬ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া টিম শ্রীলঙ্কায় খেলতে যায়নি স্রেফ নিরাপত্তা অজুহাতে!
ঐ বিশ্বকাপেই ভারত-শ্রীলঙ্কা খেলায় দর্শকদের গন্ডগোলে খেলা ভন্ডুল হয়েছে!
ইডেনে দর্শকের হাঙ্গামায় গ্যালারি দর্শকশূন্য করে খেলতে হয়েছে।
পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কা দলের উপর জঙ্গী হামলা হইছে!
এই বিশ্বকাপেই পাকিস্তান খেলা আয়োজনের সুযোগ হারাইছে শুধু নিরাপত্তার অভাবের কারণে!
তাতে ঐ দেশগুলোর কি কোন সমস্যা হয়েছে?
নাকি হাঁটুগেড়ে কারো কাছে ক্ষমা চাইতে হইছে?
বাংলাদেশে ইদানিং একদল উজবুক পোলাপাইনের উদয় ঘটছে।
ফেসবুকে আর মোবাইলে মেয়েদের ইনিয়ে বিনিয়ে প্রপোজ করতে করতে এদের মেরুদন্ড বাঁকা হয়া গেছে!
ালারা সকাল না হইতেই হিজড়ার মত হোটেলের সামনে মাফ চাইতে গেছে, এয়াপোর্টে মাফ চাইতে গেছে, ফুল দিতে গেছে!!!
এদের এইসব ছাগলামির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান প্লেয়াররা আমাদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার সুযোগ পাইছে!
আমরা বাংলাদেশীরা মাথা গরম জাতি, আমরা খুশীতে বুকে টেনে নিই আবার কষ্টে ছুঁড়ে ফেলে দেই! আমাদের এই তেজ আছে বলেই আমাদের ইতিহাসে বিজয় শব্দটা বার বার এসেছে!
আমরা ঘুরে দাঁড়াবো সাহসীর বেশে, মেরুদন্ড সোজা করে! ঐসব তথাকথিত দুইচারটা সুশীল আমাদের প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করে না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।