কোন কুকুর যদি আপনাকে অকারণে কামড়ায়,আপনিও কী কুকুরকে কামড়াবেন?
সাধারণ উত্তর হল, "না"। কিন্তু আমি বলব, হ্যাঁ আমিও কুকুরকে কামড়াব । কারণ হল কুকুরটাকে বুঝিয়ে দিতে হবে যে কমড়ে কত জ্বালা। হয়তো এজন্য আমার ক্ষতিটা একটু বেশী-ই হবে কিন্তু কুকুরটা এই জ্বালা বুঝার পর অকারণে কাউকে কামড়াবে বলে মনে হয় না।
সমাজে যেখানে অবিচার,শোষণ দেখবেন সেখানেই রুখে দাঁড়াবেন, প্রতিবাদ করবেন ।
হয়তো আপনি নিজেকে বড়ই একা ভাবছেন। কিন্তু বিশ্বাস করুন আপনার মত আরো অনেকেই নিজেকে একা ভাবছেন। কাজেই একবার প্রতিবাদ করে দেখুন, আপনি অবাক হয়ে আবিষ্কার করবেন আপনার সাথে আরো
কত প্রাণ একত্রিত হয়েছে! আপনার আজকের এই প্রতিবাদ-ই পারে সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ গড়তে।
আপনার-আমার মত তরুণ-যুবক যদি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়াই, তাহলে আর কে রুখে দাঁড়াবে এই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ? আমি বিশ্বাস করি আজও বাংলাদেশে লক্ষ-লক্ষ প্রাণ আছে যারা সত্যি এই দেশটাকে ভালোবাসে। আমি তাদের কথা ভেবে স্বস্তির পরিবর্তে পাই একরাশ কষ্ট।
কারণটা হল এই সত্যিকারে দেশপ্রেমিক সত্যি অনেক কষ্টে আছে দেশের এই দূরাবস্থা দেখে। এই সত্যিকারের দেশপ্রেমিকগুলো আছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে, তাই তারা নিজেকে
বড়ই একা ভাবে। আমি স্বপ্ন দেখি একদিন এইসব দেশপ্রেমিক একত্রিত হবে, সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। শান্তি বিরাজ করবে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। এক অকৃত্রিম ভালোবাসা থাকবে সবার মন জুড়ে।
"'আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র'- এটা আজ শুধু সংবিধানেই সত্য, বাস্তবে তা কোনভাবেই বলা যায় না। আপনি সত্যি কথা বলে কত সময় এই পৃথিবীর বুকে টিকে থাকবেন আমি জানি না। আজ যদি আপনার রাজনৈতিক কোন ক্ষমতা না থাকে তাহলে ভুলক্রমেও দেশের কথা ভাবতে যাবেন না। এটা ঢের অন্যায় !!"
এটাই কী স্বাধীনতা? বাংলার সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধারা কী এমন স্বাধীনতা চেয়েছিলেন, যেখানে সাধারণ জনগণ নীরব দর্শক ( কখনও কখনও গিনিপিগ!)।
"আসুন আমরা সবাই এক হই,
রুখে দাঁড়াই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে।
আমরাই দেশপ্রেমিক,আমরাই জাতির গর্ব
আমরাই সোনার বাংলাদেশ গড়ব। "
ফেসবুকে আমি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।