আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রক্তাক্ত মুরগী,বিধ্বস্ত ডিসকো বান্দর ও আফ্রিকান রমনীর লালসার ফাঁদ (মারাত্মক ১৮+)

Speak no evil, hear no evil, see no evil.

আপুরে, ইহার আগে আফ্রিকান নেংটু বাবার পোস্ট দিয়া ব্যান খাইয়াছি। এইবার না জানি কি হয়?! মডু ভাই ও আপুরা ক্ষমা করিবেন। আজ যাহা শুনাইবো তাহা সত্য তো অবশ্যই, কিন্চিত আদি রসাত্নক হইলেও ইহা একটি লালসাময়ী অভিগ্গতালব্ধ জীবন মরণ পোস্ট! আপুরে (আগে খালি "ভাইরে" লিখিয়াছি, একজন ব্লগারের কথায় ইহা আপুদের উদ্দেশ্যেই লিখিলাম!), আমার জীবন অনেক কোমল কঠিন লাজুক লাজুক ঘটনা ঘটিয়াছে। কিন্তু সুদূর আফ্রিকান জন্গলে নিজের ভুলের মাশুল দিতে যাইয়া যাহা ঘটিলো তাহা একজন পুরুষ হিসাবে লজ্জাস্করই নয় বরং আমার প্রস্ফুটিত পৌরুষের উপর একরুপ দলাই মলাই ও বটে। তখন আমি সুদূর কংগোর জন্গলে জাতিসংঘের অধীনে কাজ করিতেছি।

আমার টিম সাইটের চারিপাশে শুধুই ঘন জংগল। তাহারি মাঝে একটি মাটির রাস্তা। তাহার উপর দিয়াই মাঝে মাঝে জীপ চালাইয়া গ্রামে গ্রামে টহল দিতে যাই। হঠাৎ একদিন............. সেদিন ছুটি। আমি এবং আমার দোভাষী জীপ চালাইয়া গ্রামের রাস্তার মধ্য দিয়া যাইতেছি।

চমৎকার আবহাওয়া, নীল আকাশ মনে বেশ ফুর ফুরা মেজাজ। গাড়ীতে তখন কঠিন এক গান বাজিতেছে (সম্ভবত: কাঁটা লাগা...!)এবং আমার দোভাষী বুঝুক আর না বুঝুক মাথা ঝাঁকাইয়া ঝাঁকাইয়া গানের কথা আওড়াইতেছে। রাস্তার চারিপাশে কংগোর তন্বী তরুনীগন মাঠে কাজ করিতেছে। ইহা জানিয়া রাখা ভালো যে কংগোর জংগলে পুরুষগন কোনো কাজ করেনা, খালি বসিয়া বসিয়া খায় ও Jiggy Jiggy করে! (Jiggy Jiggy কি জিনিষ? তাহা বলিলে আবারো ব্যান খাইবো, হালকা চামে বুঝিয়া লউন!) তরুনীদলের উপর আমার দৃস্টি যাইতেছে এবং ইহার ফলে মনটা কেমন জানি উদাস হইয়া যাইতে লাগিলো। তবে ইহা মনে করিবার কোনো কারন নাই যে যত সব অশ্বরিয়া রাই গন ঐখানে একসাথে বসবাস করে।

ঐখানকার অধিকাংশ রমনী দর্শনে বাংগালী পুরুষের মনে ভীতি সন্চার হওয়াই স্বাভাবিক। তথাপিও মনে মনে পুলকিত অনুভব করিতে তো দোষের কিছু নাই। কিন্তু আপুরে, বিধি বাম। পরনারীর প্রতি দৃষ্টিপাতে উদ্ভুত পাপের ফলেই সম্ভবত ভাগ্যের শিকা ছিঁড়িল। গাড়ী চালাইতে চালাইতে যখন আমি মোহাবিস্ট তখন হঠাৎই মনে হইল আমার জীপের সামনে দিয়া কি মনে হয় দৌড় দিল।

কসিলাম কঠিন ব্রেক। গাড়ী প্রচন্ড শব্দে ধুলা উড়াইয়া থামিয়া গেলো। ধুলা মিশাইতে না মিশাইতে প্রচন্ড হট্টগোল শুনিতে পাইলাম। নিমিষের মধ্যেই গাড়ীর চারপাশে শ'খানেক নগ্ন অর্ধনগ্ন কংগোলীজ নারী পুরুষ আমাদের ঘিরিয়া ফেলিল। ইহার মধ্যে অতি উৎসাহী কয়জন জীপের ছাদে উঠিয়া এমনভাবে লাফাইতে লাগিলো মনে হইলো যে এখুনি ছাদ ভাংগীয়া তাহারা আমাদের উপর পড়িবে।

দুইপাশ হইতে কমপক্ষে জনা বিশেক নারী (যাহাদের লইয়া কিছুক্ষন পুর্বেই সুখস্বপ্ন রচনা করিয়াছি) গাড়ী খানি নৌকার মতো দুলাইতে লাগিলো। ভিতরে আমি ও আমার দোভাষি বাংলা, ইংরেজী, ফ্রেন্চ ও লিংগালা ভাষায় জীবন মরন চিল্লাইতে লাগিলাম। আমি - বাবারে, মা রে। Help! Help! দোভাষী - O Papa O Mama! Aidez-moi ! Aidez-moi ! ! ! আমি- ওরে ভাইরে, বাঁচা রে। দোভাষী - Don' ; mise à mort de t ! Arrêtez svp ! ! ! (মাইরেন না, ভাইরে মাইরেন না, থামেন থামেন!!) কিছুক্ষণের মধ্যে দুলুনি থামিলো।

ভাবিলাম, যাক এযাত্রা বাঁচা গেলো বুঝি! আপুরে, কি বলিবো। হঠাৎ বাংলা সিনেমার ভিলেনের মতো ভীড়ের মধ্যে হইতে আবির্ভুত হইলেন উনি। উনি! উনি আমাদের কংগো জংগলের মা মা (MaMa)। এই মা মা আপনার মাতার ভ্রাতা নহেন, ইনি ঐ গ্রামের রাণী মাতা! কমপক্ষে সাড়ে ছয় ফিট লম্বা এবং ততোধিক চওড়া ও কয়লার চাইতেও অধিক কৃষ্নকায় । তাহার মাথায় চুল বলিয়া কিছু নাই।

তবে সম্ভবত তেল মাখানোর জন্য তাহা চকচক করিতেছে। তাহার নাকের ফুটা ওয়াসার পাইপের পানির মতো গোল এবং উনার নিশ্বাষে প্রশ্বাসে যে শব্দ হইতেছে তাহাতে মা মা যে ভীষন ক্ষুন্ন তাহা অন্তত: বুঝিলাম। তাহার ঠোঁট দুই খানী হাতির ঠোটের মতো ঝুলিতেছে। তাহার পরিধানের কাপড়ের দৈর্ঘ্য আমেরিকায় শুধুমাত্র সমুদ্র সৈকতের জন্যই উপযোগী। মা মা হেচকা টান দিয়া গাড়ীর দরজা খুলিয়া আমাকে নামাইলেন।

কলার ধরিয়া মুখের কাছে মুখ আনিয়া চিৎকার করিয়া কি জানি বলিলেন। তার মুখের বোঁটকা গন্ধে আমার প্রান পগার পার হইবার জোগাড়। দোভাষীর দিকে কোনোমতে তাকাইলাম। উহাকেও আরেকজন ছোটোখাট মা মা ধরিয়া ঝাঁকাইতেছে। ইহার মধ্যেও সে চিৎকার করিয়া যাহা বলিলো তাহা শুনিয়া আমি প্রায় মরিলাম।

আমি নাকি গাড়ীর নীচে কাকে ফালাইয়া হত্যা করিয়াছি! আমি আর নাই, আপুরে। হত্যার দায়ে ইহারা আমাকে মারিয়া ফেলিবে তো অবশ্যই তাহার আগে এই লাজুক বাংলাদেশী বাবুকে লইয়া একটু যৌবন আকাংখা যে মিটাইবে না তাহা হলফ করিয়া বলিতে পারিলাম না। আমার হাত পা তখন কাঁপিতেছে। মা মা কাকে কি ইশারা করিলেন। এক লোক গাড়ীর তলায় যাইয়া কি যেনো বাহির করিয়া আনিলো।

আমার ততক্ষনে কবর খোঁড়া হইয়া গিয়াছে। লোকটির হাতে রক্ত মাখানো একখানি মাংশপিন্ড! হাতের রক্তমাখা জিনিষখানি লইয়া মা মা আমার মুখের উপর অসুরের মতো চিৎকার করিলেন। অগ্গান হইবার আগে ভালো করিয়া দেখিলাম আমি কি হত্যা করিয়াছি। ওমা! ইহা আর কিছুই নহে, একখানি বড়সড় পাহাড়ী মুরগী। কিছুটা সম্বিত ফিরিয়া পাইলাম।

দোভাষীর সাহায্যে মা মা র সাথে আমার যে কথাপোকথন হইলো উহা নিম্নরূপ: আমি- মা মা, আমি দুঃখিত, মাফ করেন মা মা মাফ করেন। মা মা - না না না! তুই হত্যা করিয়াছিস। আমার মোরগ হত্যা করিয়াছিস! তোকে আমি খুন করিব। আমি প্রমাদ গুনিলাম এবং বুঝিলাম উহা মুরগী নহে, মোরগ, যাহার দ্বারা মা মা তাহার মুরগীগুলার সাথে Jiggy Jiggy করাইয়া বাচ্চা ফুটাইতো। আমি - মা মা, আমি পয়সা দিবো।

৫ ডলার। মা মা আমারে ছাড়েন মা মা। মা মা - ৫ ডলার! তুই ইয়ার্কি করিস? এই বলিয়া সে শিষ দিলো এবং এক লোক কোথা হইতে একখানি মুরগী নিয়া আসিলো। মা মা - তুই মোরগ বানাইয়া দে। পাশের তাঁবুতে যা।

মোরগ বানাইয়া দে। Jiggy Jiggy মোরগ দে! আমি কিছু না বুঝিয়া দোভাষির দিকে তাকাইলাম। অনেকগুলা জিঘাংসা টাইপ নারী পরিবেস্টিত হইয়া সে বেচারা সম্ভবত ইতিমধ্যেই কাপড় ভিজাইয়া ফেলিয়াছে। আমার চাহনী দেখিয়া সে যাহা অনুবাদ করিলো তাহা ডলার দিয়া ক্যানো, কোনো কল্প কাহিনীতেও সম্ভব নহে। মা মা চাহেন আমি পাশের তাঁবুতে ঐ মুরগী নিয়া গিয়া Jiggy Jiggy করিয়া একটি মোরগ ফুটাইয়া লইয়া আসি!! আমি কিছুক্ষনের জন্য হইলেও ভিমরী খাইলাম।

মানুষ+মুরগী = মোরগ কিভাবে সম্ভব? মা মা কি ডিসকো মোরগ চাহিতেছেন না কি আমাকে পাইয়া ফাইজলামি করিতেছেন তাহা বুঝিলাম না। তবে বুঝিলাম এই যাত্রায় আর আমি নাই। আমি - মা মা, আমি আরো ডলার দিবো। ১০ ডলার। আমি Jiggy Jiggy জানি না! আশেপাশের সকল নারীগন উচ্চস্বরে হাসিয়া উঠিলো।

আমার পৌরুষ লইয়া এমন অশ্লীল অংগভংগী করিলো যাহা লিখিলো সামু হইতে ডিসকো বান্দর কনফার্ম ব্যান। মা মা - তুই মুরগী বানা। তুই Jiggy Jiggy কর। আমি - মা মা । দয়া করেন মা মা।

২০ ডলার! (২০ ডলার দিয়া ২০ টা মোরগ কেনা যায়। কিন্তু সেই মুহুর্তে আমার যৌবনের দাম তাহা হইতেও বেশী মনে হইলো) মা মা ভীড়ের দিকে তাকাইয়া বলিলো "তোরা কি বলিস?" সব্বাই তখন তারস্বরে চিৎকার করিতে লাগিলো Jiggy Jiggy poulet, Jiggy Jiggy poulet! (অর্থাৎ তাহারা মুরগীর সহিত Jiggy Jiggy চাহে)। হঠাৎ না বুঝিয়া শুনিয়া মাটিতে পড়িয়া মা মা র পা জড়াইয়া ধরিলাম। আর ছাড়ি না। কান্নার ভান করিয়া চিৎকার করিতে লাগিলাম "মা মা, মা মা"।

মনে হ্য় কাজ হইলো। ভীড়ের চিৎকার থামিয়া গেলো। মা মা কল্পনাও করে নাই একজন বিদেশী তাহার পা ধরিবে। মা মা র মায়ার শরীর। মনে হয় তাহার মন একটু গলিলো।

আমার চুল ধরিয়া উঠাইলো। বলিলো: মা মা - দে! আমি - মা মা সব দিবো মা মা। কতো দিবো!?? মা মা - ২০০ ডলার দে! ২০০ ডলার!!!! ভাইরে, নিজের জীবন ও যৌবন অনেক দামী। পকেট হইতে খুচরা খাচরী যাহা ছিলো তাহাতে ১৯২ ডলার হইলো। সব বিনা শর্তে দিয়া দিলাম।

মা মা মুচকি হাসিলেন। এবং ইহার পর যাহা করিলেন তাহা আমার জীবনে কোনোকাল ঘটিবে তাহা ভাবি নাই। আমার মাথা দুই হাত দিয়া ধরিয়া তাহার হাতির মতো ঝুলানো ও ফাটা আফ্রিকান ঠোঁট দিয়া আমার বাংলাদেশী ঠোঁট খানি চাপিয়া ধরিলেন। তাহার মুখগহবর এর মধ্যে আমার ঠোট হারাইয়া গেলো। তাহার মুখের ভিতরে জ্বলন্ত লাভা।

তাহার দাঁত ঠোঁট হইতেও চালু। ঠোট, দাঁত ও জিহবার এমন লেলিহান খেলা উনি কিভাবে রপ্ত করিলেন তাহা জানিলাম না। তবে আমার ঠোঁট খানি প্রায় ১ মিনিটকাল লইয়া যেভাবে মনোদৈহিক লালসা মিটাইলেন তাহার পর আমার আর পৃথিবীর যে কোনো নারীর প্রতি কামস্পৃহা লোপ পাইলো। ভীড় চরম উত্তেজিত হইয়া গেলো। চিৎকার করিতে লাগিলো "মা মা, মা মা"।

অট্টহাসির রোল পড়িয়া গেলো। ইহার পর শুধু এইটুকুই মনে আছে যে মা মা বীরদর্পে হাতে ১৯২ ডলার নাচাইতে নাচাইতে আমাদের গাড়ী খানি ঠেলিয়া বিদায় দিয়াছিলেন। দোভাষীকে ২০ ডলার ঘুষ দিলাম যাহাতে এই কথা আমার টিমের কেউ না জানে। পরে বুঝিয়াছি সে তাহার কথা রাখিতে পারে নাই। এখনো সিনেমা নাটকে চুম্বন দৃশ্য দেখিয়া গা ও ঠোট গুলাইয়া যায়।

মাথা বন বন করিতে থাকে। - আপনাদের ডিসকো বান্দর

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।