আমি। কেউ না। তবে মাঝে মাঝে আমার দুষ্ট মনটা কানে কানে এসে বলে, তুমি মহাকালের উচ্ছল সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো এক কচুরিপনা । কালের ঊর্মিমালার সাথে সাথে নাচা ছাড়া তোমার আর কোন কাজই নেই.....
শুনেছি আমি সবার কাছে,
এক রক্তাক্ত অতীত আমাদের আছে।
দাদা, একি সত্যি?
এদেশে বেধেঁছিল যুদ্ধ!
দাদা, বলোনা সত্যিইতো?
এদেশ ছিল পরাধীন!
দাদা সত্যিই কী?
এদেশে উড়েছিল অসত্যের ধ্বজা!
ও দাদা বলোনা;
সেই ইতিহাস, যা রক্তে ভেজা।
আমি শুনেছি,
এই একুশেই ঝরেছিল বরকতের রক্ত!
যখন ছিল প্রদীপ্ত দুপুরের অক্ত।
সত্যিই কী দাদু?
এদেশের পরিবেশ করেছিল দূষিত,
বিষাক্ত গোলা বারূদের গন্ধ।
দাদু কেন?
তারা বেধেঁছিল ভাষা নিয়ে অহেতুক দ্বন্দ!
তারা কী ভেবেছিল? বাঙ্গালীরা নিতান্ত অন্ধ?
দাদু বলনা সত্যি করে,
চুষেছিল কী পাকিস্তানি জোঁকেরা
আমার কৃষক ভাইদের তাজা রূধির?
ও দাদু শুনেছি,
এ দিনে নাকি আমার মায়ের সম্ভ্রম নিয়ে
খেলেছিল ছিনিমিনি খেলা?
আমার দেশের তরূণ ছাত্রের রক্ত নিয়ে
খেলেছিল হলি খেলা?
হায় দাদু ,
পাকিস্তানিরা কী এত পিশাচ, রক্ত পিপাসু
কাতঁ হয়ে পড়েনিকো, দাদু
তাদের উপর এদেশের বীটপি, তরূ।
দাদুর মুখে,
শব্দের দেখা মেলে না,
মুখে হাসি মেলে না।
বিষন্ন বদনের বুকে,
রক্তেরা লুটোপুটি খেলে।
চোখের কোণে,
বিন্দু বিন্দু পানি জমে,
সাথে ঘৃণায় ভরা রক্ত কণা।
দাদু তুমি কাদঁছ কেন?
আমার অগ্রজ চায়নি তো এদেশের মানুষ কাদুঁক
তারা বয়ে দিয়েছিল শোনিত ধারা
এ বলে যে, এদেশের মানুষ আশায় বুক বাধুঁক।
দাদু শুনেছি,
এদিন ক্রন্দনের নয়, নয় মাতম ছড়াবার
এদিন ঘুরে দাড়াঁবার প্রত্যয়ে, প্রত্যয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনবার।
দাদু ভাই,
তুই কাদঁছিস কেনরে?
তুইতো জানিস, এদিন নয়
অশ্রু ঝরাবার।
এদিন প্রদীপ্ত সূর্যের ন্যায়,
শপথের ভাস্কর গড়বার।
....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।