জন্মের প্রয়োজনে ছোট ছিলাম এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি
বয়স তখন আমার কত বলিতে পারিনা। তবে কিছুটা জ্ঞান হইবার পর থেকেই শুনিয়া আসিয়াছি চাঁদের বুড়ির কথা। বুড়ি নাকি সেইখানে চরকা কাটে। চাঁদের বুড়ির চরকা কাটার কতনা ছবি দেখিয়াছি। সেই চরকা কাটার গান শুনিয়া কতকাল ঘুমাইতে গিয়াছি তাহা গুনিয়া বলিতে পারিবনা।
তখন হইতেই শখ ছিল একদিন বড় হইলে বুড়িমার সাথে দেখা করিব। তার পাশে বসিয়া দেখিব কিভাবে চরকা কাটে। সুযোগ পাইলে তার সাথে চরকাও কাটিব।
বয়স বাড়িতে লাগিল। বোধ আর বুদ্ধিও বাড়িল খানিকটা।
বুঝিলাম, চাঁদে যাইবার যে স্বপ্ন আমি ইত্যকাল ধরিয়া দেখিয়া আসিয়াছিলাম তাহা বাস্তবায়ন এত সহজসাধ্য নহে। তাহার জন্য নভোচারী হইতে হইবে, এক খানা নভোযানও জোগার করিতে হইবে। ইহা মেলা খরচান্ত বেপার। এত টাকা কোথায় পাইব!! রনেভঙ্গ দিলাম বলা চলে একরকম।
কিন্তু আচমকাই গতকাল খবর পাইলাম আমাদের প্রানাধিক প্রিয় দেলোয়ার হোসেন সাঈদী চাঁদে গিয়াছেন।
প্রানাধিক প্রিয় এইজন্যেই বলিলাম তাহার প্রান বাচাইবার জন্য অদ্যবধি প্রায় শতাধিক লোক প্রান বিসর্জন করিয়াছেন। কি কারনে এই বিসর্জন তাহা ভাবিয়া অবশ্য কোন কুল-কিনারা করিতে পারি নাই।
যাই হোক, সেই খবরে প্রথমে খানিকটা আনন্দিত হইলাম। তাহা হইলে নভোচারী না হইয়াও, নভোযান না লইয়াও চাঁদে যাওয়া যাইবে। তাহার প্রমান তো মিলিল এক্ষনে।
কিন্তু পরক্ষনেই শিহরন জাগিল বুকে। দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ওরফে দেইল্লা রাজাকার কি একলা গিয়াছে নাকি সঙ্গে তাহার সাঙ্গ-পাঙ্গও রহিয়াছে। যদি একলাও গিয়া থাকে তবে আবার সেই প্রিয়া চাঁদের বুড়িমা কেমন আছে? বুড়ি মা তো একলা থাকেন, সারাদিন আপন মনে চরকা কাটেন। দেইল্লা রাজাকার কি তাহাকে একলা পাইয়া শান্তিতে থাকিতে দিবে নাকি ভানু সাহা কিংবা শেফালী ঘোরামীর মত বুড়িমার অবস্থাও হইবে। বুড়ি মা তো কোথাও পালাইতেও পারিবেনা।
আমার সেই প্রিয় বুড়ি মা কে বাঁচানোর জন্য আরেকখানা গন-জাগরন মঞ্চ কি চাঁদে পাঠানো যায়? কেউ কি বলবেন কিভাবে এই রাজাকারের হাত থেকে বাঁচাবো আমার চরকা কাটা বুড়িমা কে ??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।