I am good man. Truth , knowledge and religion is my interest.
সংবিধান বর্ণিত রাষ্ট্রীয় সীমানা রক্ষা করা সাংবিধানিক দায়িত্ব হওয়া সত্ত্বেও দেশের সীমান্ত অরক্ষিত রেখে রাজনৈতিক দমন পীড়নে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিজিবি। ফলে বিএসএফ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখা অতিক্রম করে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা ও ব্যাপক নির্যাতনের ‘অধিকার’ লাভ করেছে। বাংলাদেশীদের উপর নির্যাতনের চলমান ধারায় গত সোমবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২ দিনে দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে ১০ জনের অধিক বাংলাদেশী নাগরিককে ধরে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালাচ্ছে বিএসএফ। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১২ সালে বিএসএফ’র গুলিতে ৩৮ জন নিহত হয়েছে। ২০১১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩১ জন।
সীমান্তে বিজিবি শূন্যতায় মায়ানমারের দুর্বল নাসাকা বাহিনীর হুমকির ভয়ে অনেকেই সীমান্ত এলাকায় বসবাস করতে সাহস পাচ্ছে না। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাধীনতার ৪২ বছরে কখনই সীমান্ত এত অরক্ষিত হয় নি।
বিজিবি’র মূল দায়িত্ব সীমান্ত প্রহরা এবং সীমান্তের জানমাল রক্ষা করা হলেও কার্যত বিগত কয়েক বছর ধরে অব্যাহতভাবে এর উল্টোটি হচ্ছে। সীমান্তে নির্বিচারে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশীদের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বিজিবি এর প্রতিকারে কোন ভূমিকা রেখেছে, রাখছে বা রাখবে, এ রকম মনে করার যুক্তিসঙ্গত কোন তথ্য-উপাত্ত নেই। বিদ্যমান পরিস্থিতির আলোকে যৌক্তিক প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিডিআরের সাবেক সফল মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ. ল. ম ফজলুর রহমান বলেছেন, বিএসএফ ক্রমাগতভাবে সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা ও নির্যাতন করা সত্ত্বেও বিজিবি কেন কোন প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না, তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
তিনি আরো মনে করেন, বিজিবি’র মনোবল বৃদ্ধির জন্য যে ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বর্তমান সরকারের অধীনে তা করা হচ্ছে বলে তার মনে হয়নি।
কার্যত এখন বিজিবি’র কর্ম পরিধির আওতায় তাদের যোগ্যতা-দক্ষতা পুনঃবিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। জনগণের টাকায় সীমান্ত প্রহরার জন্য যাদের লালন-পালন করা হচ্ছে, তারা সীমান্ত প্রহরার পরিবর্তে দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক দমন-পীড়নে ব্যস্ত হয়ে সাধারণ জনগণের ভোগান্তির কারণ হিসাবে চিহ্নিত হবেন- এটা কোন বিবেচনাতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সীমান্ত অরক্ষিত থাকায় সীমান্তের জনগণ বিদেশী বাহিনীর হাতে নির্যাতিত, নিহত এবং নিগৃহীত হবেন, নিজের কৃষি পর্যন্ত করতে পারবেন না, নদীতে মাছ ধরা বা গোসল করতে পারবেন না, অথচ বিজিবি নির্বিকার থাকবে - এ ধরনের বাস্তবতা সঙ্গত বা গ্রহণযোগ্য মনে করার কোন কারণ নেই। এই পরিস্থিতি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক, সন্দেহ নেই।
সূত্রঃ Click This Link page_id= 10
বাংলাদেশ কি ভারতের অঙ্গরাজ্য যে পাহাড়ার কোন প্রয়োজন নাই ?? বি এস এফ আমাদের সীমান্ত পাহাড়া দেয় আর বিজিবি দেশের ভিতরে জনগণকে গুলি করতে ব্যস্ত । কি যে বলব - বলার আর কিছূ নাই । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।