আমার যতই ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কথা বলি না কেন তার পর ও আমরা ভারতীয়(হিন্দি)ছবি দেখি,গান শুনি। তাদের কিছু কিছু ছবির গান এত অসাধারন যা শুনলে আমারা মুগ্ধ হই। আমি নিজেও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গাই।
সেদিন বাংলা নাটক দেখার সময় ব্যাকগ্রাউন্ড মিজিকটা শুনে মেজাজ খারাপ হলো। এভাবে আমরা যদি ক্রিয়েটিভ ভারতীয় ছবির গান নকল করে নাটকের ব্যাকগ্রান্ডে বাজাই,তাদের কে যথাযথ মর্যাদা না দিয়ে,তাহলে সেটা চুরি ছাড়া আর কিছুই না।
মিউজিকটা ছিলো হিন্দি 'মান' ছবির 'কালি নাগীন..'আমার খুব পছন্দের মিউজিক। হঠাৎ কি মনে হতে আমার নতুন HTC DESIRE ফোনের Sound Hound Apps চালিয়ে দিলাম..Apps টি যে কোন গান/মিউজিক শোনে তার আরিজিন,লিরিকস সব বের করে ফেলে। অবাক হয়ে দেখলাম সে সার্চ রেজাল্টে দেখাচ্ছে গান টি 'রাশিদ তাহা',লিরিকস 'ইয়া রেহা',এলবাম 'দিওয়ান'। আমিত সেই কলেজ লাইফ থেকেই এ গানটা জানি,হিন্দি মান ছবির 'কালে নাগিন'। Youtube এ সার্চ দিয়ে বুঝলাম ঘটনা সত্য,সাক্ষী সবল।
এটা আরবী মিউজিক,ভারতীয়রা চুরি করেছে। একে একে আরও ভিডিও বের হতে থাকলো। আরে আরে এই ত..আতিফ আসলামের গাওয়া রেইস ছবির পেহলি নাজার..এটা পুরা নকল সাউথ কোরিয়ান মিউজিক-সারাং হাইচু- কিম হায়ক সুক...আর বুঝতে বাকি নাই মাইলসের জ্বালা জ্বালা গান মার্ডার ছবিতে ধরা খাওয়ার পর বেচারা পাকিস্তানী গায়কে কেনো দায়ী করেছিলো। ছি ছি..আমি এতদিন এই চোরদের গান এত মুগ্ধ হয়ে শোনেছি..আর মুগ্ধ হয়ে হলিউডের ছবির চুরি করা হিন্দি ভার্সন দেখে ভারতীয় ছবির ভক্ত ছিলাম। আমাদের রুনা লায়লার গান নকল করে (মেরা বাবু চাল চাবিলি) কোন কৃতগ্যতা স্বীকার না করে চালিয়েছে।
জয় ইন্টারনেট জয় Youtube,Android Smart phone,আর চুরির মাল গিলাতে পারবে না..চোরে আখড়া Bollywood.
সোর্স Youtube Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
http://www.youtube.com/watch?v=c_6Rh2BlTl
Click This Link
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।