আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নস্টালজিক

তারা ভরা রাতের নিষাচর...

সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এমন সময় অতীত স্মৃতিগুলো বড্ড জালাতে থাকে। নাইট ডিউটি করে এসে ঘুম ঘুম চোখে কেন যে ঘুম আসে না । আর তখনি কোথা হতে যেন অতীত স্মৃতিগুলো মনে পড়তে থাকে। চার বছর আগে সেই মিষ্টি দিন গুলোর কথা।

আমি বন্ধের দিনে শুয়ে আছি আমার মেসের বিছানাতে। বু্যা ব্যস্ত সকালের রান্না বান্নায়। এমন সময় দরজায় টক টক..। তারপর মেয়ে কন্ঠের আওয়াজ আর আমার রুমে হন্তদন্ত প্রবেশ। আমি অনেকটা ঘোরলাগার মত উঠে দাড়ালাম।

খুব সুন্দরী একজন অষ্টাদশী যদি আপনার মেসরুমে হটাৎ ঢুকে পড়ে তাহলে হতচকিৎ হতে হয় বৈকি। 'সরি সরি..' অষ্টাদশীর মুখ লজ্জায় লাল। এরপর যেভাবে হন্তদন্ত প্রবেশ সেভাবেই হন্তদন্ত প্রস্থান। আমি আনেকটাই হতভম্ব। বুয়া আমাকে হুজুর বলেই ডাকত আমি শশ্রুমন্ডিত হবার কারনে।

আমার নাম ছিল ছোট হুজুর আর চারুকলার শিহাব ভাই ছিলেন বড় হুজুর( দাড়ির লেন্গথ অনুসারে}। বুয়া বলল, কি হুজুর লজ্জা পাইছেন উনি নীচতলার আপু। আমি তখন সকাল সন্ধ্য অফিসেই কাটাতাম আর বন্ধের দিন ছাড়া দিনে মেসে থাকা হতো কম। তাই নীচে কোন সুন্দরী আছে তা জানা ছিল না। মেসের ছোট ভাইরা ধরলো খাওয়াতে হবে, উনি ভুল করে আপনার রুমে গেছে আপনাকে খাওয়াতে হবে।

বুঝলাম আজকে খসাবে, বিধাতা যে কোন কুক্ষনে ও মেয়েকে আমার রুমর পাঠালো...এখন বলির পাঠা হওয়া ছাড়া উপায় নাই। তো বন্ধের দিনে মুরগী কিনা হলো, পোলাওয়ের চাল ... বেশ উৎসব ভাব। বুয়া অবশ্য অনেক আগেই প্রস্থান করেছে তাই সব রন্না বান্না আমদের হাতেই। দুপুরে রান্না শেষ হতেই শিহাব ভাই বললেন যার উপলক্ষ্যে এতো আয়োজন তাকে তো আনতে হবে। কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে? উপায়তো একটা বের হবে যেখনে এতগুলো অলস মস্তিস্ক.. তো ডাকা হলো তাকে বিশেষ উপায়ে তা আর বললাম না তবে ছোট ভাইসহ দাওয়াতে এসে একটু কম পড়ে গেল কারো কারো ভাগে, তবে খাওয়া শেষে সাথে করে নিয়ে আসা আচারটা বোনাস... স্বাদ লেগে আছে এখনো জিবে।

সেই দুর্ঘটনার পর নীচেরতলার সাথে একটা মধুর সম্পর্ক হয়ে গেছিল বলাই বাহুল্য। চাকরির প্রয়োজনে হটাৎ চলে আসা সেই মজার মেস ছেড়ে তবে স্মৃতিগুলো অম্লান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।