আমি বাংলার...।
বর্তমান মন্ত্রিসভার ২/১ জন ছাড়া বাকিদের দলের এমনকি সাধারণ মানুষও চেনে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুল জলিল। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স' অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, মন্ত্রিসভায় একটু আধটু রদবদলের দরকার আছে। এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আব্দুল জলিল মহাজোট সরকারের গত দুই বছরের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, "গতবার কেবিনেটে অভিজ্ঞ রাজনীতি সচেতন মানুষ ছিল।
এইবার যারা কেবিনেটে এসেছেন ২/১ জন বাদে কেউ কিন্তু ওইভাবে দেশব্যাপী বা কর্মীদের মধ্যেতো নয়ই, মানুষের মধ্যেও পরিচিত নয়। এই অভাবটা কাটিয়ে উঠতে আমাদের একটা সময় দরকার। এটা আমার পক্ষে বলা কঠিন। বললেই বলবে নিজে মন্ত্রী হতে পারে নাই তাই মন্ত্রী হওয়ার জন্য বলছে। কথা হচ্ছে, কিছু একটা নড়াচড়া করা দরকার।
"
জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে তিনি বাণিজ্যমন্ত্রীকে ব্যবসায়ীদের হুমকি না দেয়ার পরার্মশ দেন।
সাবেক এ বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, "ধমক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ব্যবসায়ীদের কনফিডেন্স অর্জন করতে হবে। অনেক সময় ধমক দেয়া হচ্ছে, অনেক সময় নিয়ে গিয়ে বাধ্য করার চেষ্টা হচ্ছে, কিন্তু সেটা তো ক্ষণস্থায়ী। সেটার তো পারমানেন্ট কোনো ইফেক্ট আসছে না।
"
এছাড়া ১/১১ পরবর্তী সময়ে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইর কর্মকাণ্ড তদন্তের দাবি জানান আব্দুল জলিল।
তিনি বলেন, "পার্লামেন্টে সংসদীয় কমিটি করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, এটা গৃহীত হয়নি। তারপর আমি পার্লামেন্টে কথা বলি নাই। এক কথা বলার পরে যে অবস্থা, আরেক কথা বলার পরে হয়তো দল থেকে বের হয়ে যেতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, এর তদন্ত হওয়া দরকার ভবিষ্যতে দেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে।
"
শিক্ষা এবং কৃষি খাতে সাফল্য থাকলেও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে সরকার এখনো ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়া বিশ্বাসের অভাবে ১৪ দল ও মহাজোটের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক।
সুত্র: http://www.ukbdnews.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।