মন্ত্রিসভায় আজ বৃহস্পতিবার গ্রামীণ ব্যাংক আইন ২০১৩ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। আইনটিতে বেশকিছু সংশোধনী আনা হয়। এটিসহ সভায় আজ ১৪টি বিবেচিত বিষয়ের (এজেন্ডা) অনুমোদন দেওয়া হয়।
আজ প্রায় চার ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। বৈঠকে গ্রামীণ ব্যাংক আইনের খসড়ায় অনুমোদিত মূলধন বাড়ানো হয়েছে।
আগে এই মূলধনের পরিমাণ ছিল ৩৫০ কোটি টাকা। সেটা বাড়িয়ে এক হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিশোধিত মূলধন ছিল ৫০ কোটি টাকা। এটা বেড়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। আগে আইনে পরিচালকের কার্যকাল ছিল না।
অন্য আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে পরিচালকের কার্যকাল ৩ বছর করা হয়েছে। খসড়া অনুমোদনে আরও বলা হয়, ব্যাংকের রিটার্ন প্রতিবেদন ও বিবরণী সরকারের কাছে ও গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে দিতে হবে। এ ছাড়া ওই আইনে শাস্তিও বাড়ানো হয়। ঋণ পাওয়ার জন্য মিথ্যা তথ্য দিলে এক বছর পর্যন্ত সাজা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগে সাজার মেয়াদ ছিল এক বছর ও জরিমানা ছিল দুই হাজার টাকা।
গ্রামীণ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো বিজ্ঞাপনে বা প্রসপেক্টাসে কেউ নাম ব্যবহার করলে এক বছর সাজা ও এক লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আগে এই অপরাধের শাস্তির মেয়াদ ছিল ছয় মাস আর এক হাজার টাকা জরিমানা। তবে অনুমোদিত আইনে আগের মতই আয়কর অব্যহতির সুবিধা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সংশোধিত আইনটি ইংরেজী থেকে বাংলা করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল সংশোধনী আনার পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা বাড়ানো হল কিনা? এর উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে সুনির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পুরোটা নয়।
মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আজ মোট ১৪টি বিবেচিত বিষয়ের (এজেন্ডা) অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে ইমারত নির্মাণের নকশা অনুমোদন বিষয়ক প্রস্তাবে সংশোধনী আনার প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া ২০১৪ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন করা হয়। ২০১৪ সালে ১৪দিন সাধারণ ছুটি ও আট দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি রাখা হয়েছে।
মোট ২২ দিন ছুটি থাকবে। প্রকৃত ছুটি পাওয়া যাবে ১৬ দিন। মন্ত্রিসভায় ভোজ্য তেলের ভিটামিন এ সমৃদ্ধকরণ আইন ও যশোরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা কমিশন আইন ২০১৩ এর অনুমোদনও করা হয় সভায়। এ ছাড়া আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০১৩ ও ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ এর অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে টিসিবির খসড়ার নীতিগত অনুমোদনও দেওয়া হয়। টিসিবিকে শক্তিশালী করতে অনুমোদিত মূলধন ৫ কোটি টাকা থেকে ১০০ কোটি করা হয়েছে। জাতীয় রপ্তানি ট্রফি নীতিমালার খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।