ড. মুহাম্মদ ইউনুস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইন্ধন রয়েছে। গত ১২ তারিখ ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এই মন্তব্য করা হয়েছে। ড. ইউনুস এবং গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৬ সালে ক্ষুদ্র ঋণের ধারণা ও সাফল্যের জন্য নোবেল পাওয়ায় এবং ২০০৭ সালে রাজনীতিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা তাকে প্রতিপক্ষ মনে করে আসছেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরভিসন্ধি রয়েছে। ড. মুহম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে যেসব ভিত্তিহীন দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে তার পেছনে শেখ হাসিনা ইন্ধন দিয়ে চলেছেন।
প্রতিবেদনে দারিদ্র্য বিমোচনের এই সামাজিক উদ্যোগটি গরীবের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার এক স্থূল প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ব্যক্তি অত্যন্ত বিরল যারা দারিদ্র্য দূর করতে এবং বিশ্বের দরিদ্রতমদের জন্য স্থায়ী পরিবর্তন আনতে ড. ইউনূসের চেয়ে বেশি কিছু করতে পেরেছেন। এই যুগান্তকারী কীর্তি সৃষ্টি করতে প্রয়োজন হয়েছে সারা জীবনের সাধনা। এই অর্জন মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ধ্বংস করা সম্ভব। এজন্য বিশ্বের খ্যাতনামা ব্যক্তিরা ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়ানোকে কর্তব্য বলে মনে করছেন।
আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং জাতিসংঘের সাবেক মানবাধিকার কমিশনার মেরি রবিনসনের সভাপতিত্বে ‘ফ্রেন্ডস অব গ্রামীণ’ গঠিত হয়েছে। এরই মধ্যে এই সংগঠনের সঙ্গে বিশ্বের খ্যাতনামা সামাজিক উদ্যোক্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং কর্পোরেশন যুক্ত হয়েছে। তারা সবাই মিলে ড. মুহম্মদ ইউনূসের সমর্থনে কাজ করবে। একইসঙ্গে ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চলছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখবে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলা হয়, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এই আক্রমণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সরকারের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, ড. ইউনূসের সম্মান ভূলুণ্ঠিত না করা পর্যন্ত সরকার ক্ষান্ত হবে না।
ইউনূসের প্রতি আক্রমণের কারণ ঈর্ষা, ব্যক্তিগত লাভ, ভীতি, ঘৃণা যাই হোক না কেন, তাকে যদি ফেলে দেয়া যায়, আর গ্রামীণ ব্যাংক সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, তাহলে বড় ক্ষতি হবে বাংলাদেশের গরীব মানুষের আর বিশ্বজুড়ে ক্ষুদ্রঋণ আন্দোলনের।
Source
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।