চুশীল/প্রগুদিশীল/প্রচুদিশীল ব্লগার দ্বারা সাম্প্রদায়িক ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘটনা ১
ভারতের প্রখ্যাত লেখক সালমান রুশদী ১৯৮৮ সালে তার স্যাটানিক ভার্সেস বইটি লেখেন। বইটি নিয়ে মুসলিম বিশ্বাসে আঘাতের দায়ে ভারতে নিষিদ্ধ হয়, যদিও ইহা বুকার প্রাইজ মনোনীত হয় এবং শেষে হ্যোয়াইট ব্রেড পুরস্কার জিতে নেয়। অধিকন্তু, ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ্ খোমেনী সালমান রুশদীর মৃত্যুর ফতোয়া জারি করেন। মাথার দাম সম্ভবতঃ (আমি নিশ্চিৎ নই) ধরা হয় এক কোটি ডলার।
ঘটনা ২
মকবুল ফিদা হুসেইন , প্রখ্যাত ভারতীয় চিত্রকর। শিল্পী-সাহিত্যিকরা যৌনতার ব্যাপারে একটু উদার হন। যৌনতা বা নারীর শরীরকে তারা শৈল্পিক রুপ দিতে পছন্দ করেন। প্রাচীন শিল্পকর্ম বা ভাস্কর্য দেখলে নারী'র নগ্নতার দৃশ্যই প্রতীয়মান হয়। যাইহোক, ফিদা হুসেইন সাহেব আবার এককাঠি সরেস।
খোদ দেব-দেবী'রেই ন্যাংটা করে ছেড়েছেন। তিনি হিন্দুদের দেবী দূর্গা এবং স্বরস্বতীর নগ্ন চিত্র আঁকেন এবং হিন্দু উগ্রবাদী দল "বজরং দল" (শিবসেনা ব্যাকড) কর্তৃক হামলার শিকার হন। এখন তিনি হিন্দু উগ্রবাদীদের মৃত্যু পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দুবাইতে (নাগরিকত্ব নিয়ে) অবস্থান করছেন। কিছুদিন আগের এক খবরে পড়লাম, তিনি নাকি বলিউড নায়িকা বিদ্যা ব্যালানের নগ্ন শরীরের চিত্র অঙ্কন করবেন এবং বিদ্যা ব্যালান তাতে রাজিও হয়েছেন।
ঘটনা ৩
তসলিমা নাসরিন ।
নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃত, অনেকে তাকে বিকৃত মনস্কাও বলে থাকেন। নারী নির্যাতন/অধিকারের কথা বলতে গিয়ে নারী'কে তিনি পুরুষের প্রতিপক্ষ করে তুলেছেন। ছোটবেলায় তিনি তার চারপাশের পশুরুপী পুরুষদের দ্বারা কিভাবে নির্যাতিত হয়েছেন সেই ঘটনাগুলো অবলীলায় বর্ণনা করেছেন। কিন্তু বড় হবার পর সাহিত্যে খ্যাতি পাবার আশায় কোন্ কোন্ লেখকের বিছানায় গিয়েছেন তার সবিস্তার বর্ণনা পাওয়া যায় নাই, কতিপয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আঘাত দেয়া ব্যক্তি ছাড়া। মানসিক বৈকল্যের অনেক উদাহরণও তিনি দিয়েছেন তার যৌনতা সর্বস্ব লেখনীর মাধ্যমে।
যেমনঃ (কোন এক বইতে নাকি উল্লেখ করেছেন, আমি জানি না) কোন এক রাতে একটা তেলাপোকা তার শরীরের উপর দিয়ে হাঁটছিল। সেই তেলাপোকার বিচরন ক্ষেত্র দেখে তিনি নিশ্চিৎ হয়েছিলেন যে, ওটা ছিল পুরুষ তেলাপোকা। যাইহোক, তিনি বিশেষভাবে ইসলাম-বিদ্বেষী হওয়ার কারণে ১৯৯৪ সাল থেকে নির্বাসনে আছেন।
তসলিমা নাসরিন ছাড়া উপরোল্লিখিত ২ ব্যক্তি স্ব-স্ব ক্ষেত্রে স্বনামধন্য। কিন্তু ৩ জনই বিখ্যাত হয়ে আছেন, ইতিহাসে লেখা থাকবে উনাদের নাম, যতটা না থাকত উনারা সোজাপথে (নিরপেক্ষ) থাকলে।
বিখ্যাত হওয়ার তরিকা
ইহা সহজেই অনুমেয় যে, লেখনী শক্তি যা-ই থাকুক, মোটামুটি আলোচনায় আসলেই বিখ্যাত হওয়া যায়। বিখ্যাত হওয়ার সবচেয়ে সহজ এবং একমাত্র উপায় হচ্ছে ধর্মানুভূতিতে আঘাত। আমাদের দু-একজন ব্লগার এই তরিকাটা বুঝতে পেরেছেন, যেমনঃ কয়েকখানা পা সমৃদ্ধ গাধা, আবাল চিফ, এবং তথাকথিত নাস্তিকবৃন্দ। এঁরা আসলে নাস্তিক নন, পুজার সময় এঁদেরকে ব্লগে দেখা যায় নাই। এঁদের লেখার মান বেশ নিম্নপ্রকৃতির, গো-খাদ্য বলা চলে, সবসময় ক্যাঁচাল নিয়ে পড়ে থাকেন, অযথাই বিভিন্ন ট্যাগিং করে থাকেন, গ্রুপ ব্লগিং এ অভ্যস্ত, অনেকটা ভেঁড়ার পালের মত।
কিন্তু একটা টার্গেট, কোনমতে যদি আলোচনায় আসা যায়। গতকাল আবার দেখলাম সভাদাক এর জমজ নিক (আমি বদ এর ছেলে) এক আবাল চিফ এর সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করেছেন।
কিন্তু হায়!! তাদের আশার গুড়ে বালি। ধর্ম-বিদ্বেষ করে (মূলত ইসলাম) কারো মধ্যে ঈমানী জোশ তৈরি করতে পারেননি। কেউ তাদের মাথার দাম ধার্য করে নাই।
তাই উনাদেরকে আলোচনায় আনার নিমিত্তে, বিখ্যাত করার জন্যে, দু-বেলা খেয়ে পরে বাঁচার সুযোগ করে দিতে উনাদের এই গোবর সর্বস্ব মস্তিস্ক বিক্রির টেন্ডার আহব্বান করা যাচ্ছে। সূচনামূল্য ২ টাকা। অন্যরা কিনে নেয়ার আগেই চলুন আমরাই এই অমূল্য ধন (ভিন্ন অর্থে নেবেন না প্লিজ!!) রক্ষা করি।
সাথে আমার মাথাটাও বিক্রি জন্য ওপেন রাখা হবে (তবে এর সূচনামূল্য ধরা হয়েছে ১ টাকা)। কারণ, ব্লগে অনেকেই আমাকে হিন্দু-বিদ্বেষী বলে প্রমান করার চেষ্টা করেন।
ভাগ্যক্রমে যদি কোন হিন্দু ভাইয়ের (যেমনঃ বেকুব খান্তি) ঈমানী জোশ জেগে যায় তাহলে তো আমার ভাগ্য খুলে গেল!!!
ধন্যবাদ সবাইকে।
(বিঃ দ্রঃ ইহা একটি ভার্চুয়াল রচনা, কেউ সিরিয়াসলি নেবেন না)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।