আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
গত রবিবার সংসদে বিরতির সময় অধিবেশন কক্ষে নিজ আসনে দাঁড়িয়ে কয়েকজন সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমদ সম্পর্কে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের চিঠি এবং এবিষয়ে বিরতির আগে ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেননের দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে কথা বলছিলেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সামনে যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রথম আলোর মতিউর রহমান একজন ভালো লোকঃ’। সঙ্গেসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বললেন ‘এই মতিউর রহমান, এই মতিউর রহমান সেই আইয়ূব খানের আমল থেকে আইএসএসআই থেকে টাকা খাওয়ার লোক’।
প্রধানমন্ত্রী ও যোগাযোগ মন্ত্রীর এই মন্তব্য উপরে সাংবাদিক গ্যালারি থেকেও স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল।
এছাড়াও তখন প্রধানমন্ত্রীর আশপাশে উপস্থিত ছিলেন রাশেদ খান মেনন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের আব্দুল মতিন খসরু ও হুইপ আ.স.ম ফিরোজসহ কয়েকজন।
প্রসঙ্গত, মেনন তার বক্তব্যে ‘৬১ ভাগ সড়কই নাজুক’ শিরোনামে গত ৫ ফ্রেব্রুয়ারি প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন ও কার্টুনেরও উদ্ধৃতি দেন।
রিপোর্টারঃ শামছুদ্দীন আহমেদ
http://www.nybangla.com/2011/News/02.htm
*****************************************************
প্র-আলো সম্পাদক মতিউর রহমান নিঃসন্দেহে সুবিধাবাদী লোক। যে দিকে হাওয়া সেই দিকেই পাল তোলেন। ২০০৭ সালে তথা ১/১১ ঘটনার পর তিনি প্রকাশ্যেই বলেন দুই নেত্রীর রাজনীতি হতে বিদায় নেওয়া উচিত।
সে যাই হৌক ১/১১ ফখরু-মঈনের ফসল মহাজোট সরকার দেশকে বর্তমানে র্দূবিষহ, বিপর্যস্ত অবস্থায় নিয়ে এসেছেন এটা আলীগের বিবেকবান সমর্থকগণও স্বীকার করছেন। সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক এবিএম মুসা উনারা জোড়াল এবং অন্ধ আগাচৌ পর্যন্ত আমতা আমতা হলেও বর্তমান অবস্থাকে অশনি সংকেত হিসেবেই দেখছেন। সর্বশেষ আড়িয়াল বিলে বঙ্গবন্ধু তথা শেখ মুজিবের নামে বিমান বন্দর নিয়ে প্র-আলোতে সাংবাদিক টিপু সুলতানের অত্যন্ত উপযোগী আর্টিকেল এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের র্দূনীতি ও অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট হলে হাসিনা এই দৈনিকটির বিরুদ্ধে চরম খেপেছেন। প্র-আলো ধর্মনিরপেক্ষ, ভারত ঘেষা, পার্বত্য চট্টগ্রামের তথাকথিত দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তির সমর্থক ইত্যাদি আওয়ামী আদর্শের পক্ষের হয়েও আজকে তার সম্পাদক মতিউর রহমানকে পাকিস্তানী ISI এর অর্থ প্রাপ্ত ব্যাক্তি হিসেবে চিহ্নিত হতে হচ্ছে। সেদিন বোধ হয় আর বেশী দেড়ী নেই বিচারপতি হাবিবুর রহমান, মুসা সাহেব সহ বিবেকবান আওয়ামী সমর্থকদের ন্যায্য সমালোচনার জন্য রাষ্ট্রদ্রেহী অথবা পাকিস্তানী চর, রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হতে হবে।
কিন্তু অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না। হাজার ও লক্ষ চক্রান্তের বুলি আউড়িয়েও আড়িয়াল বিল হতে হাসিনা বিবির পিছু হটতে হয়েছে। এভাবে দেশের বারোটা বাজিয়ে পাকি ও রাজাকার ঢোল পিটিয়ে আর পার পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের জনগণ অত্ত বেকুব নয়। সময় মত তারাও আড়িয়াল বিল অধিবাসীদের মত ঐক্যবদ্ধ হতে জানে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।