এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছোট ভাই আজ আমার ইনবক্সে লিখেছে, দাদা, এভাবে মন্দির-প্রতিমা না ভেঙে, আমাদের বাড়ি-ঘর না পুড়িয়ে আমাদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে মেরে ফেলুক। তাও ভালো।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া লিখেছে, একাত্তরের পরে আর কখনোই বর্ডারে এত বেশি মানুষ ভূখন্ড পরিবর্তনের জন্য আসেনি।
এক বন্ধু জিজ্ঞাসা করলো, আমার মা-বাপি জমি কিনবে কি-না? ওর জানা তিনটা হিন্দু পরিবার জমি তিন ভাগের এক ভাগ দামে বেঁচে ইন্ডিয়া চলে যাচ্ছে।
এক বন্ধু বললো, রাজীব হায়দার কী লিখেছে বা লেখেনি তা না পড়েই সবার ধর্মানুভূতিতে এত আঘাত লাগলো।
সবাই ইসলাম বাঁচাও আন্দোলনে শরিক হলো। কিন্তু সারা দেশে যখন ভাঙা মন্দির আর মাথা ভাঙা প্রতিমা দেখাচ্ছে টিভিতে, তখন কারো ধর্মানুভূতি জাগে না? একটু খারাপ লাগে না? কই একটা কথাও তো বললেন না প্রধানমন্ত্রী! যে গণজাগরণ মঞ্চে স্লোগান দিতে দিতে গলার ভয়েসটা পাল্টে ফেলেছি, তারাও তো কর্মসূচী দিলো না। নাকি ধর্মানুভূতি শব্দটা এদেশে শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য?
ফেসবুকে পড়লাম, একটা হিন্দু ছেলে কমেন্টে লিখেছে, সংবাদপত্র এবং মিডিয়ায় কেন হাইলাইট করা হচ্ছে 'সংখ্যালঘু' দের বাড়ি-ঘর পুড়ছে বলে? কেন বলা হচ্ছে 'বিধর্মী' উপর আক্রমন করেছে জামাত-শিবির। বিধর্মী মানে কি? আমাদের ধর্ম নেই? সংখ্যায় লঘু বলে কি এদেশে থাকার পারমিশন নেই?
একজন তার কভার ফটোতে লিখে রেখেছে, 'আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। আমি এদেশের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক'।
ব্লগ-ফেসবুক-পত্রিকা-টিভি চ্যানেলে সকালে-বিকালে আমি এগুলো দেখে যাই, শুনে যাই। বন্ধু পেলে আলোচনায় বলি, 'খুব গর্হিত কাজ হচ্ছে'। বলি, 'শালারা এত মন্দির-প্যাগোডা ভাঙতে পারে, একটা চার্চ ভেঙে দেখা তো! সে সাহস নেই। আমেরিকা বুঙি বাজায় দিবে'। এবং এরও পরে হয়তো একটা ব্লগ পোষ্ট বা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতে পারি।
আর কিছুই পারি না। তবে যেভাবে এগোচ্ছে তাতে অনেকের মনোবাঞ্চা একদিন পূরণ হবে বলেই মনে হয়। একদিন দেশের সব 'সংখ্যালঘু' আর 'বিধর্মী' পাড়ি জমাবে ইন্ডিয়া-মধ্যপ্রাচ্য আর আমেরিকায়। দেশে তখন থাকবে শুধু 'সংখ্যাগুরু'রা। আহ্ִ, সেই দেশটা কী সুন্দরই না হবে! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।