আগের পোস্ট
Click This Link
এদিকে ইফার প্রেস বিভাগের আর্টিস্ট পদে নিযুক্ত জসিম উদ্দীন কে অন্য পদে সরিয়ে খালি পদে নিযুক্ত করা হয় ডিজি আফজালের আত্মীয় পারভীনাকে। বেপর্দা ও অশালীন পোষাকে পারভীনাকে দিয়ে ইমামদের পেইন্টিং এ্যান্ড ডিজাইনের ক্লাস নেয়া হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীর উপপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান " ইমাম প্রশিক্ষণের সিলেবাসে পেন্টিং এ্যান্ড ডিজাইন নেই। "। যা সিলেবাসে নেই তা আবার বেপর্দা, অশালীন পোষাকের নারী দিয়ে ক্লাস করানো সহ একের পর এক ইসলামবিরোধী মন্তব্য, বিতর্কিত অসংখ্য কর্মকান্ডে, খোদ ফাউন্ডেশন সহ সারাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
বিভিন্য ইসলামী সংগঠনের বিবৃতিতে ইফা ডিজির পদ থেকে তাকে পদত্যাগের দাবী জানান। শির্ষস্থানীয় আলেম উলামা, পীর মাশায়েখগণ তাকে একজন বেদ'য়াতী, মার্কিনী দালাল আখ্যা দেন। কারণ মাজার পূজারীদের সাথে তার প্রত্যক্ষ শখ্যতা লক্ষ্য করা যায়। মাজার পূজারীরাই ইসলামের নামে নাচগান প্রচলনকারী। সে বিতর্কিত আটরশীর ভক্ত খতীব সালাহ উদ্দীনের সাথে শখ্যতা থাকায় ৪৫ টাকার ফিৎরাকে ১০০ টাকা ঘোষণা করেন।
এর আগে একবার ইফার ডিজি আফজাল খৃষ্টান প্রফেসর হ্যান্সের সাথে সুর মিলিয়ে বলেছিলেন " হিন্দু ধর্মে সন্ত্রাস নেই তাই হিন্দুরা সন্ত্রাসী নয়। ইহুদী ধর্মে সন্ত্রাস নেই তাই ইহুদীরা সন্ত্রাসী নয়। খৃষ্টান ধর্মে সন্ত্রাস নেই তাই খৃষ্টানরা সন্ত্রাসী নয়। শুধু ইসলাম ধর্মে সন্ত্রাস আছে তাই মুসলমানরা সন্ত্রাসী "।
☼ ডিজি আফজালের কথামত মুসলমানরাই যদি সন্ত্রাসী হয়ে থাকে তাহলে সে নিজেও সন্ত্রাসী।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন যদি ইসলামিক হয় তাহলে এতবড় সন্ত্রাসী প্রতিষ্ঠানের সে জেনারেল ডাইরেক্টর (ডিজি)। নিজেই একজন সন্ত্রাসী নেতা। আর যদি সে মুসলমান না হয় তাহলে একজন মার্কিনী দালাল। যার কথা-কাজ মার্কিনী দালাল হওয়ার স্পষ্ট প্রমান।
☼ গত ১০ /১২ '১১ তারিখে ইফার এক অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতি মন্ত্রী শাহ জাহান মিঁয়া বলেছেন " আমাদের নবী (ﷺ ) মসজিদের অর্ধেক হিন্দুদের পূজার জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন "।
আর ইফার ডিজি আফজাল বলেছেন " আমাদের নবী (ﷺ ) মসজিদের অর্ধেক ইহুদীদের ইবাদতের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন আমরা সেই নবীর (ﷺ ) উম্মত "। যার ধর্মীয় জ্ঞান নেই। সে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ডিজির পদে থাকেন কিভাবে? তাকে ডিজির পদে রাখার কারণ একটাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধ্বংসের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা। যে ইফা থেকে বের হত ইসলামের সার্বিক বিষয়ের বই পত্র। সেখান থেকে বের হচ্ছে সরকার দলীয় গুনকিত্তনের বই, শির্ক বেদ'য়াত, মাজার পূজকদের ঈমান বিধ্বংসী বই পত্র।
তাফসির কিতাবে যেখানে কাফের মুশরিকদের ব্যাপারে আলোচনা ছিল সেই আলোচনা লিখা হচ্ছে মুসলমানদের ব্যাপারে। তাহলে মহানবী (ﷺ ) ও ইসলামের অবমাননাকারীদের খুঁটির জোর অনেকাংশে কোথায়? চলবে>>>> ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।