আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিধর্মী কর্তৃক ইসলাম অবমাননা এবং আমাদের ইসলামপ্রীতির বাস্তবতা (4)। আশেকে রাসূল সমাচার

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাঃ কে নিয়ে অবমাননাকর চলচিত্র নির্মানের সংবাদ প্রচার হওয়ার পর থেকেই সারা বিশ্বের মুসলমান আন্দোলনমুখী হয়ে উঠেছে। এদিকে ইসলাম নিয়ে উস্কানীমুলক ঘটনা একের পর এক নাস্তিক্যবাদী, ইহুদিবাদী ইসলামবিরোধী বিধর্মীরা চক্রান্তের ধারাবাহিকতায় ঘটিয়েই চলছে। যার ফলে কিছু মুসলিম সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে। এই সুযোগে মুসলমানদের কোন দাঙ্গা হাঙ্গামায় জড়িয়ে দিয়ে নাটের গুরুরা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করে যাচ্ছে। সাম্প্রতি রামু'র ঘটনা তার প্রমান।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সারা বিশ্বের ইসলামী সংগঠন গুলো সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ মিছিল, বক্তৃতার মাধ্যমে নিন্দা জানিয়ে চলেছে। অবমাননা মুলক চলচিত্রনির্মাতা নকুলা বাসিলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে। সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশের ইসলামী সংগঠন গুলোও সভা সমাবেশ, অব্যহত রেখেছে। কিন্তু আমাদের দেশের কথিত আশেকে রাসুল নামধারী কিছু মুসলমানরা নিজনিজ দর্গা, দরবারিয় পূজা-পার্বন নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে প্রিয় নবীর অবমাননায় তারা অন্তরের ব্যাথা প্রকাশের জন্য আহ শব্দ বের করার ফুরছত পাচ্ছেনা। আর তাদের থেকে এমনটা আশা করাও যায়না।

তবে আমি আশা রাখি এজন্য যে, যেহেতু তারা আশেকে রাসূলের খাতায় নাম লিখাতে মাঝে মধ্যে ব্যানারে পোস্টারে আশেকে রাসুল অর্থাৎ রাসুলের জন্য পাগল লিখে থাকে। আশেকে রাসূল হওয়ার জন্য যদিও লোক দেখানো সাইনবোর্ড, ব্যানার, দেয়াল লিখন, মাইকিং ইত্যাদীর দরকার হয়না। তবে এদের বেলায় কেন দরকার হয়, সচেতন মুসলমান ভালভাবে জানে। মুসলমান বলতেই নবীপ্রেমিক। যে ব্যক্তি তার জান-মাল, ধন সম্পদ, পরিবার পরিজন থেকেও নবী সাঃ কে বেশি ভাল না বাসবে সে পূর্ণ ঈমানদার নয়।

তাই সাহাবায়ে কেরাম রাঃ থেকে শুরু করে যুগে যুগে নবী প্রেমিকগণ কিভাবে জান কোরবান দিয়ে গেছেন তার বর্ণনা ইতিহাসের পাতায় পাতায় একেকজন কালের সাক্ষী হয়ে আছেন। কিন্তু আমাদের দেশের সেই সাইনবোর্ডওয়ালা আশেকে রাসুলরা কোথাই গেল? বাংলাদেশের নামকরা সাইনবোর্ড ওয়ালা আশেকে রাসূলের দল (?) হল দেওয়ানবাগী পীরের মুরিদান। দেওয়ানবাগী পীরের মিলাদীয় পুজায় নাকি আল্লাহ, ফেরেস্তা, সমস্ত নবী-রাসুল আঃ ওলী আওলিয়াগণ হাজির হন। এরকম আকর্ষণীয় ডিজিটাল বয়ানে সাধারণ বে এলম মুসলমানদেরকে দলে ভিড়ায়। আটরশী দরবারের মত তাদের গরু-ছাগল, মহিষের একটা বার্ষিক ভোজানুষ্ঠান হয়।

যার নাম আটরশী বা ভান্ডারীয় তরিকায় ওরস শরিফ। আর দেওয়ানবাগীয় তরিকায় নাম দিয়েছে আশেকে রাসূল সম্মেলন। রাস্তাঘাট, দেয়াল, ল্যাট্টিন, টয়লেট কোন কিছুই বাদ দেয়না যেখানে বড়বড় লাল অক্ষরে লেখা থাকে " আশেকে রাসূল সম্মেলন"। তাদের লিখা একটি পুস্তিকায় তার পীরত্ব লাভের এক মহা ফিরিস্তি দিয়েছে যে, আল্লাহ, রাসূল সাঃ সমস্ত ফেরেস্তা, ওলী আওলিয়া ও তার চন্দ্রপাড়ার মুর্শিদ কেবলা মিলে তাকে পীরত্ব দান করেছে। তার ধর্মের নাম মুহাম্মদী ইসলাম।

বাকি দুনিয়ার সব ইসলাম হল এজিদী ইসলাম। কোরান-কিতাব, হাদিস-তাফসির পড়ে কোন লাভ নেই একমাত্র তার কথিত মুহাম্মদী ধর্মের মাধ্যমে আল্লাহ পাওয়া সম্ভব। শুধু পাওয়া না দেখাও সম্ভব। তাকে পীরত্ব দানের পর সবাইকে নিয়ে আল্লাহ এক বিশাল মিছিল বের করেন। ¤ আল্লাহ, ¤ রাসূল সাঃ, ¤ দেওয়ানবাগী পীর, ¤ ও চন্দ্রপুরী পীর।

এ চারজনের হাতে মুহাম্মদী ইসলামের পতাকা ছিল। মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছে আল্লাহ, দেওয়ানবাগী পীর ও তার মোর্শেদ। তারা তিনজন সামনে। আর হুজুর সাঃ সহ বাকি সবাই পিছনে.........। নাউজু বিল্লাহ মিন জালিক।

নাউজু বিল্লাহ মিন জালিক। নাউজু বিল্লাহ মিন জালিক। তাওহীদ রেসালতে বিশেষ-অজ্ঞ জেনারেল শিক্ষিত, আধা শিক্ষিত, কূশিক্ষিত আর অশিক্ষিতদের জন্য এ ধরণের আরো লোভনীয় শয়তানী কূমন্ত্রণা পাওয়া যাবে, * রাসুল কি সত্যিই গরীব ছিলেন? * আল্লাহকে সত্যিই কি দেখা যায়না? ইত্যাদী তাদের লিখিত পুস্তিকায়। দেওয়ানবাগী পীর নাকি খুব স্বপ্নবিলাসী। স্বপ্নপ্রতিযোগিতা দিলে দেওয়ানবাগী পীরই সব মার্ক নিয়ে ফেলবে।

তার জঘন্যতম স্বপ্নের একটি হলঃ ---- চলবে>>  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.