রাজনীতির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষের ঈদের খুশি। ঈদের পরে দুই দিন হরতালের ডাক দেওয়ায় ঈদের ছুটি শেষে লাখ লাখ মানুষের নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। ঈদ উৎসবকে বলা হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রদত্ত উপহার। সিয়াম সাধনা শেষে মুমিনদের আল্লাহ এ উপহার দেন। হাইকোর্টের রায়ে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দলটির পক্ষ থেকে ঈদের পরপর দুই দিন হরতাল আহ্বান করে একদিকে যেমন আল্লাহ প্রদত্ত ঈদ উৎসব পালনে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হচ্ছে, তেমনি আদালতের রায়কেও আইনি পথের বদলে অনৈতিক পথে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। আমরা এ কলামে অতীতে বার বার হরতালের রাজনীতির বিরোধিতা করেছি এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে আমাদের দেশে যেভাবে ফ্যাসিবাদী কায়দায় হরতাল পালন হয় তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। জামায়াতে ইসলামীর আহূত ১২ ও ১৩ আগস্টের হরতালও কোনো বিচারে গণতান্ত্রিক অধিকারের পর্যায়ে পড়ে না। দলটি হরতাল আহ্বান করে ভীতি সৃষ্টির জন্য জ্বালাও-পোড়াও এবং ভাঙচুরের যে তাণ্ডব দেখিয়েছে তার সঙ্গে গণতান্ত্রিক অধিকারের দূরতম সম্পর্কও নেই। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল আহ্বান সভ্য সমাজে একটি অকল্পনীয় বিষয়। জামায়াতে ইসলামী নিজেদের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বলে দাবি করে। তারা তাদের কার্যক্রমকে ইসলামী আন্দোলনের অংশ বলে মনে করে। ইসলাম জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কোনো কার্যক্রম সমর্থন করে না। আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া উপহার ঈদ পালনে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামী চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমাদের বিশ্বাস, লাখ লাখ মানুষের ঈদ উৎসবকে নির্বিঘ্ন
করতে জামায়াতে ইসলামী তাদের আহূত হরতাল প্রত্যাহার করবে। নিজেদের প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি বজায় রাখতে হলেও এ
ক্ষেত্রে যৌক্তিক পথ বেছে নিতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।