রবিউল আউয়াল মাসে জন্মগ্রহণ করেন মানবতার মুক্তিদূত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তার জন্ম তারিখ ১২ রবিউল আউয়ালকে আমাদের দেশে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হয় সর্বকালের সেরা মানুষ। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বিশ্বখ্যাত দার্শনিক জর্জ বার্নার্ড শ ইসলামের মহানবীকে মানবতার ত্রাণকর্তা বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, ইসলামের দ্বারাই কেবল শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়া সম্ভব। জর্জ বার্নার্ড শ'র মূল্যায়ন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মতো কোনো ব্যক্তিত্ব যদি আধুনিক বিশ্বের একনায়কত্ব গ্রহণ করতেন, তাহলে তিনি বিদ্যমান সমস্যাবলীর সমাধানে সফল হতেন। পৃথিবীতে শান্তি ও সুখময় পরিবেশ নিশ্চিত হতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় যে রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলেন সেখানে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর সহাবস্থান নিশ্চিত করেন। এ উদ্দেশে তিনি যে ঐতিহাসিক মদিনা সনদ গ্রহণ করেন তাতে মুসলমানদের পাশাপাশি ইহুদিদের জন্যও সমঅধিকার নিশ্চিত করা হয়। তিনি সব নাগরিকের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মপ্রবর্তক। তিনি তাঁর অনুসারীদের ওপর যতটা প্রভাব বিস্তার করেছেন, তা অন্য কোনো নবী-রাসূল বা ধর্মপ্রবর্তক পারেননি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। আল্লাহ তাঁকে আমাদের মাঝে পাঠিয়েছেন রহমত হিসেবে। পবিত্র কোরআনের সূরা আল-আম্বিয়ার ১০৭ নম্বর আয়াতে এ সম্পর্কে ইরশাদ করা হয়েছে, 'আমি আপনাকে জগৎ সংসারের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি।' রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানব সমাজকে সঠিক পথের দিশা দিতে পৃথিবীতে আবিভর্ূত হন। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় শান্তি-শৃঙ্খলার যে সূত্র তিনি দান করেছেন, তার কোনো তুলনা নেই। মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্বের পরিবেশ গড়ে তুলেছিলেন আল্লাহর নবী। নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় তিনি অনন্য অবদান রেখেছেন। মানুষে মানুষে বৈষম্যের অবসান ঘটিয়েছেন তিনি। অনুসারীদের ওপর তিনি যে প্রভাব রেখে গেছেন তা অতুলনীয়।
লেখক : ইসলামী গবেষক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।