সায়েন্স ফিকশনের মত শোনালেও কথা সত্যি। জেরী ইঁদুর দিয়ে এখন থেকে সন্ত্রাসী পাকড়াও করা হবে। ‘শোঁকা কুকুর’-এর চাকরী নট করে, দামী দামী সব স্ক্যানার বাতিল করে দায়িত্বে বহাল হবে ‘শোঁকা ইঁদুর’। এই ইঁদুর বাহিনীর কাজ হবে বিমানবন্দরের সন্দেহজনক বোমাবাজ সন্ত্রাসী ও ড্রাগ পাচারকারীদের চিহ্নিত করা। এই ‘শনাক্তকারী’ প্রযুক্তির আবিষ্কর্তা গবেষকদের দাবি অনুযায়ী এটি নির্ভুলতার মাপকাঠিতে কুকুর বা প্রচলিত এক্স-রে মেশিনকেও হার মানিয়ে দেবে।
ইঁদুর গুলো ব্যবহৃত হবে ‘মেটাল ডিটেক্টর’ বা ‘ফুল বডি স্ক্যানার’ মেশিনের মত দেখতে একটি যন্ত্রে। কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে যন্ত্রটির এক কোনায় লুকান প্রকোষ্ঠে থাকবে প্রশিক্ষিত ইঁদুর বাহিনী। ওদের শোঁকানর জন্য বাতাস বাইরে থেকে ভেতরে পাম্প করে ঢোকান হবে। বোমা বা ড্রাগের ক্ষুদ্রতম কণারও গন্ধ পেলে ইঁদুর গুল তাদের জায়গা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী বিশেষ প্রকোষ্ঠে রওনা দেবে। সাথে সাথে বেজে উঠবে অ্যালার্ম।
আবিষ্কর্তা ইরেন লাম্বব্রসো বলেন, ‘এটা অনেকটা যেন ইঁদুর গুল বেড়ালের গন্ধ পেয়ে পালাচ্ছে। আর আমাদের যন্ত্রটা এই দৌড়ে পালানটাই সূত্র হিসাবে ব্যাবহার করেছে। “
পরীক্ষামূলকভাবে একটি শপিং মলে ১,০০০ জন ক্রেতার উপর মেশিনটি ব্যাবহার করে মাঠ পর্যায়ে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়। ইঁদুর গুল নির্ভুল ভাবে এদের ভিতর লুকিয়ে থাকা ২২ জন নকল সন্ত্রাসীকে পকেটে রাখা বিস্ফোরকের দরুন শনাক্ত করে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ব্রুস শেনেইয়ার ‘নিউ সায়েন্টিস্ট’ পত্রিকাকে বলেন, ‘ পশুদের ঘ্রাণ ক্ষমতার ব্যাবহার সবসময়ই ভাল সমাধান, কারণ ইঁদুররাতো আর আমাদের ন্যাংটা হতে দেখেনা।
‘ এখনকার প্রচলিত মেশিন দিয়ে পোশাক না খুলেই যে কাউকে সম্পূর্ণ উদম ভাবে দেখা সম্ভব।
সূত্রঃ দি কুরিয়ার মেইল, অস্ট্রেলিয়া Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।