আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের চেনা কন্ডিশন আমাদের পারফরম্যান্সও ভালো, কাজেই..



বিশ্বকাপে মাঠে খেলবে ১৫ ক্রিকেটার, কিন্তু সঙ্গে থাকব আমরা সবাই। সবার সেই শুভ কামনাটাই আমরা পৌঁছে দিতে চাই সাকিবদের কাছে। তাই আজ থেকে শুরু কালের কণ্ঠের আরেকটি বিশেষ বিশ্বকাপ আয়োজন। বাংলাদেশের সব সাবেক অধিনায়ক ধারাবাহিকভাবে শুভেচ্ছা জানাবেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলকে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য শুভ কামনা। এটা শুধু আমার একার কথা নয়, দেশের সব সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে পুরো দেশের মানুষই তাদের সঙ্গে।

তা-ই নিয়ে বাংলাদেশ ঝাঁপাবে বিশ্বকাপে এবং এ উদ্দীপনায় সামর্থ্যরে সবটা ঢেলে দিলে সম্ভব দারুণ কিছু করে ফেলা। বর্তমান ক্রিকেটের মানদণ্ড ও পারফরম্যান্স বিচারে কাউকে ফেভারিট হিসেবে এগিয়ে রাখা কঠিন। এই যখন চিত্র, তখন বাংলাদেশকে কোনোভাবে খাটো করে দেখার উপায় নেই। আমি সে সুযোগও দেখছি না। কারণ নিউজিল্যান্ডকে এই সেদিন হোয়াইটওয়াশ করা বাংলাদেশ ভালো পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতার মধ্যেই আছে।

সুতরাং নিজেদের কন্ডিশনে যেকোনো কিছু ঘটিয়ে ফেলার সামর্থ্য দেখছি। বাংলাদেশ প্রত্যাশারও বেশি করে ফেললে খুশির সীমা থাকবে না। বাংলাদেশকে খাটো করে দেখলে কেন ভুল হবে, সে প্রসঙ্গে যাই। এবারের বিশ্বকাপ গ্রুপিংটা আগের সব বিশ্বকাপের চেয়ে আলাদা রকম হয়েছে। দুটি গ্রুপ, সাতটি করে দল।

প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দলের ছয়টি করে ম্যাচ। চারটি করে দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। তিনটি ম্যাচ জিতলেই পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনাটা থাকবে উজ্জ্বল। আগের মতো কয়েকটা গ্রুপ থাকছে না। তাই সিঁড়িও যাচ্ছে কমে।

আমার চোখে তাই এ বিশ্বকাপটাকে মনে হচ্ছে সবার জন্য উন্মুক্ত এক আসর। বাংলাদেশের জন্য যেটা বড় সুবিধা। বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাটা দেখুন। জিম্বাবুয়েকে সিরিজ হারানোর আগে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছে। এর আগে হারিয়েছে ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও সিরিজ জিতেছে। এ ধারাবাহিকতা বিশ্বকাপেও বাংলাদেশকে ধরে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে ভাগ্যবিধাতার একটু সহায়তাও দরকার। এ দুই সেতুবন্ধন হয়ে গেলে এবং প্রত্যেক খেলোয়াড় তার সেরাটা দেশকে দিতে পারলে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় রাউন্ডে দেখা খুবই সম্ভব। এ স্বপ্নটা আমি দেখছি।

তবে এটা যেহেতু উন্মুক্ত বিশ্বকাপ, তাই আমাদের দল আমার প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাক, সেটাই আমার প্রার্থনা। বাংলাদেশের এবার অনেক দূর যাওয়ার সুযোগ আছে। তবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি পরিকল্পনায় কিছুটা ঘাটতি রয়ে গেল। এ ক্ষেত্রে ক্রিকেট বোর্ড বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারেনি। অন্য দলগুলো যেখানে প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ খেলে যাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ দল প্রায় দুই মাস হলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বাইরে বসে।

বিরাট এ আসরের আগে মাত্র দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে দল। তার পরও বাংলাদেশ দারুণ কিছু করবে বলেই আমার বিশ্বাস। আর ভালো খেলেও যদি শেষমেশ আমাদের দল প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়, তবু হতাশ হব না মোটে। জয়তু বাংলাদেশ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.