আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উন্নয়নে চাই ধারাবাহিকতা: প্রধানমন্ত্রী

রোবাবার রাজধানীর কুড়িল উড়ালসেতু উদ্বোধন করে তিনি বলেন, “আজ আমরা যে পরিকল্পনাগুলো হাতে নিয়েছি সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে। এর জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। ” আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিশদ বিবরণও প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে তুলে ধরেনে। তিনি বলেন, “আমি জানি না বাংলাদেশে জনগণ আবার কি সেই অন্ধাকার যুগে ফিরে যেতে চায়। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস কালো টাকা, দুর্নীতি- সেখানেই ফিরে যেতে চায়।

“সেই অন্ধাকার যুগেই আমরা ফিরে যাব? নাকি আলোকিত পথে আমরা এগিয়ে যাব? আমরা বাংলাদেশেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, যেন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারি। ” বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি ইংগিত করে শেখ হাসিনা বলেন, “বিরোধী দলীয়  নেতা বলেছেন উনি নাকি নতুনভাবে দেশ পরিচালনা করবেন। অর্থাৎ নতুনভাবে দুর্নীতি করার নতুন কোনো পদ্ধতি তিরি আবিষ্কার করবেন। ” বর্তমান সরকারের সময়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা ক্ষমতায় থেকেও অনেকগুলোতে হেরে গেছি। জনগণ যাকে ভোট দেবে আমরা তাকেই মেনে নেব।

“সৎ ব্যক্তিকে রেখে সন্ত্রাসী ও দুর্নীতবাজদের বেছে নিলে আমাদের কিছুই বলার নেই। তবে জনগণকে আমি সতর্ক করে বলতে চাই যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তাদের যেন ভোট দেয়। ” সরকার গঠনের পর এমন কোনো খাত নেই- যেখানে উন্নয়ন হয়নি দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এরই অংশ কুড়িল ফ্লাইওভার। দেশের প্রতি কর্তব্যবোধ ছিল বলে এই সেতুর কাজ দ্রুত শেষ হয়েছে। ” গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে ডাক ও টোলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, স্থানীয় সাংসদ এ কে এম রহমত উল্লাহ ও রাউজক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমামসহ মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কুড়িল মোড় থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত তিন দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘কুড়িল উড়ালসেতু’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরপরই সেটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এই ফ্লাইওভার ব্যবহার করে উত্তরা ও বনানী থেকে সহজেই প্রগতি সরণি হয়ে রামপুরার দিকে যাওয়া যাবে। এর ফলে কুড়িল বিশ্বরোড ক্রসিং এলাকার যানজট অনেকটা দূর হবে বলে আশা করছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান।

২০১০ সালের ২ মে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। প্রথমে এর নির্মাণ ব্যয় ২৫৪ কোটি টাকা ধরা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ৩০৬ কোটি টাকা করা হয়। প্রকল্পের পুরো অর্থ রাজউকের নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হয়েছে। রাজউক জানায়, এই উড়ালসেতুর উচ্চতা ৪৭ দশমিক ৫৭ ফুট, প্রস্থ ৩০ দশমিক ১৮ ফুট। এতে পাইল রয়েছে ২৯২টি, পাইল ক্যাপ ৬৮টি এবং পিয়ার রয়েছে ৬৭টি।

এটি নির্মাণ করেছে প্রজেক্ট বিল্ডার্স লিমিটেড।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.