মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই প্রকল্পসহ চার হাজার ৭৯৬ কোটি টাকার ১৫ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে রংপুর বিভাগের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য।
‘রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ নামের এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা।
প্রকল্পের আওতায় রংপুর বিভাগে ৭৪২ কিলোমিটার উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, ১৩০০ মিটার ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, ৪৩০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রশস্তকরণ এবং ২০টি হাট বাজার উন্নয়ন করা হবে।
এছাড়া গ্রামীণ দুস্থ মহিলাদের দিয়ে দশ হাজার ৮০০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
আগামী ৫ বছরে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। এর ফলে উপজেলা হেডকোয়ার্টার ও গ্রোথ সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার জন্য তিস্তা নদীর উপর প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণে অপর একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।
সেতুটি হলে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী, উলিপুর, রাজারহাট ও সদর উপজেলার প্রায় ১০ লাখ লোক বিভাগীয় শহর রংপুর না ঘুরে (৮০ কিলোমিটার পথ না ঘুরে) সরাসরি ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবে।
সৌদি উন্নয়ন ফান্ডের (এসএফডি) ৫২৩ কোটি টাকাসহ চার বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩০ কোটি টাকা।
এছাড়া সভায় দেশের টেকনিক্যাল ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার মানোন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৮৫০ কোটি টাকার ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট’ প্রকল্প এবং দেশের বিদ্যমান দশ হাজার ৬২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদারকরণ এবং আরো ৩ হাজার ১৩৮টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের লক্ষ্যে ‘রিভাইটালাইজেশন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্প দু’টির সংশোধনী অনুমোদন করা হয়।
সভাশেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ভূইয়া শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অনুমোদিত ১৫ প্রকল্পের চার হাজার ৭৯৬ কোটি টাকার মধ্যে তিন হাজার ৪১৭ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং অবশিষ্ট এক হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য (বিদেশী সাহায্য) থেকে মেটানো হবে।
সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- গৌরনদী টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প (৬২ কোটি টাকা), গোপালগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন (৯৮ কোটি টাকা), ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিকেল সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প (৫৭ কোটি টাকা), জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্প (৫৩ কোটি টাকা), চন্দনা-বারাসিয়া নদী খনন প্রকল্প (৫৯ কোটি টাকা), মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন (৮৪ কোটি টাকা), বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং (২য় সংশোধিত) প্রকল্প (১৬৫ কোটি টাকা টাকা), বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলে লঞ্চঘাট এবং ওয়েসাইট ঘাট উন্নয়ন প্রকল্প (৮৬ কোটি টাকা)।
রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ অন্যান্য মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।