Speak no evil, hear no evil, see no evil.
আমদের প্রায় সব্বারই গাড়ীর প্রতি একধরনের মোহ আছে। রাস্তায়, ছবিতে, মুভি তে অনেক রকমের নতুন নতুন গাড়ী দেখে মুগ্ধ হন না এমন বোধহয় খুব কম ই আছেন।
গাড়ীর অনেক প্রকার ভেদ আছে যা অনেকেই হয়ত জানেন। আমার এ ব্যাপারে জানার ইচ্ছা থেকেই এই পোস্ট।
কনভার্টিবল - এই গাড়ীগুলো সাধারনত স্পোর্টস কারের মত দেখতে হয়।
দু দরজা এবং দু সিট এর কনভার্টিবল সচরাচর দেখা গেলেও চার দরজা এবং চার সিটের কনভার্টিবল ও পাওয়া যায়। এদের মূল বৈশিস্ট্য হোলো এদের ছাদ খোলা বন্ধ করা যায়। যেমন ফোর্ড মুসট্যাং, পন্টিয়াক সানফায়ার।
কুপ - সাধারনত: ছোট দু দরজার ছোট গাড়ী যার ছাদ টা পেছনের দিকে ঢালু থাকে। যেমন আ্যসটন মার্টিন ডি বি এস, বেন্টলে কন্টিনেন্টাল জি টি।
হ্যাচব্যাক - এ গাড়ীগুলোর পেছন টা সাধারনত ভার্টিক্যাল বা খাঁড়া থাকে এবং এতে অনেক মালপত্র নেয়া যায়। যেমন অডি এস ৩, ডজ ক্যালিবার।
সিডান - বাংলাদেশের রাস্তায় যে গাড়িগুলো সাধারনত দেখা যায় তা সবই প্রায় সিডান ধরনের। এগুলো মুলত ফ্যামিলি কার এবং ভেতরে বসার বেশ বড় জায়গা থাকে। যেমন টয়োটা করোলা, টয়োটা এক্স।
মিনিভ্যান - সিডানের চেয়ে একটু বড় এ গাড়ীগুলোয় বেশী যাত্রী এবং মালামাল নেয়া যায়। যেমন ডজ গ্র্যান্ড ক্যারাভান, কিয়া কার্নিভ্যাল।
স্পোর্টস কার - দেখতে বেশ ফাটাফাটি এই গাড়ীগুলো সাধারনত এরোডায়নামিক ডিজাইনে তৈরী এবং এদের ইন্জিন বেশ শক্তিশালী। সাধারনত দু' সিটের ও দু' দরজার হয় এবং এরা অত্যন্ত গতি সম্পন্ন! যেমন হাইউন্ডাই জেনেসিস, ডজ ভাইপার ইত্যাদি।
স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল বা SUV - রাস্তার ওপরে বা বাইরে (regular roads এবং off-road) চলার জন্য এই গাড়ীগুলো ব্যবহার হয়।
এদের চাকার আকার বড়, মাটি থেকে অনেক উঁচূ, সাধারনত ফোর হুইল ড্রাইভ এবং গঠন টা অনেক শক্তিশালী বা rugged। এরা বেশ তেল খায় বলে এদের মেইনটেইন করা বেশ ব্যয়বহুল। যেমন টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, বি এম ডব্লু - এক্স ৫।
স্টেশন ওয়াগন - এগুলো চার দরজার প্যাসেন্জার কার। এতে অনেক যাত্রী ও মালামাল নেয়া যায়।
হ্যাচব্যাক এর বড় ভাই বলতে পারেন! যেমন সুবারু স্যাটার্ন, টয়োটা স্টেশন ওয়াগন।
এখন মনের সুখে গাড়ী চড়ে বেড়ান!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।