আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাইকোর্টের নির্দেশ : ইভটিজিংকে যৌন হয়রানি বলতে হবে

জিবন টা ভালই

ইভটিজিংকে যৌন হয়রানি হিসাবে বিবেচনা করে এ অপরাধের বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিনের এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি ইমান আলী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে গত বছরের ২ নভেম্বর এ রিট আবেদন করা হয়েছিল। হাইকোর্টের রায়ের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, ইভটিজিং শব্দটি অপরাধের মাত্রা হালকা করে দেয়, তাই এর পরিবর্তে সর্বস্তরে যৌন হয়রানি শব্দটি ব্যবহার করতে হবে। এসএমএস, এমএমএস, ই-মেইল ও ফোন-মোবাইলের মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করাকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইনে এ বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত করা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ তদারকি করতে প্রতি থানায় সেল গঠন করে কমিটিকে প্রতি মাসে একবার জেলা উন্নয়ন কমিটিতে এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি ও সাক্ষীর নিরাপত্তা বিধানে সরকারকে আইন প্রণয়নের নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেছেন, এটি না হওয়া পর্যন্ত সংবিধানের ১১১ নম্বর অনুচ্ছেদকে আইন হিসেবে গণ্য করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর প্রস্তাবিত সংশোধনীতে যৌন নির্যাতনের স্থান হিসাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রকে সীমাবদ্ধ না রেখে সব সরকারি ও বেসরকারি স্থানকে আইনে অন্তর্ভুক্ত করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সব সাইবার ক্যাফের নিবন্ধন ও ব্যবহারকারীর পরিচয় সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছেন আদালত। আদালতের রায়ের ব্যাপারে রিটকারী অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন সাংবাদিকদের বলেন, এ রায়ের ফলে ইভটিজিংয়ের শিকার নারীরা আইনের সুরক্ষা পেল। বিষয়টিকে ইভটিজিং বলে হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

এটিকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে দেখতে হবে। আদালতে সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। সুএ: আমারদেশ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.