আই এম নো বডি...
আর কতকাল চুপচাপ বেধে রাখা যায় বেড়ালগুলো? বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছেঃ
১. আমার পশ্চিম থেকে পুবে যাওয়া দরকার। গোলাবারুদ লোক লশ্কর নিয়ে। তুই মাঝখানে কে রে? সরে দাড়া। রাস্তা দে আমায়। টাকা নাই।
আচ্ছা, আমি দেবো। আমার ইচ্ছায় খরচ করবি। শুধু বছরশেষে কিস্তিটা দিবি। পোর্টটাও আমার খুব দরকার।
২. পূবের স্টেটগুলায় ওরা আজাদী আন্দোলন করে।
পালিয়ে এসে তোদের দেশে থাকে। আমার যখন ইচ্ছা, ধরে নিয়ে যাবো। আবার কিসের অনুমতি- তুই কে রে? আমি না তোকে জন্ম দিলাম!
৩. তোর সেনাবাহিনী আমাকে শত্রু জ্ঞান করে। তাই এটাকে আমার বাগে আনতে তোর সেনাপতি কব্জায় আনলাম, ওর দাদা টিপুকে আর্মিতে টাটা গাড়ির ব্যবসাটা দিয়ে। তোর বিডিআর আমার বাহিনীকে খুব পেরেশান করেছে।
ওটাও খেয়ে ফেলাই সিদ্ধান্ত।
৪. কি একটা বানিয়েছিস, ডিজিএফআই। আমার বহুত সমস্যা করে। আমার ওপরে ব্যবহার হবে এমন দশ ট্রাক সমরাস্ত্রের ট্রেডের সাথে ওরা জড়িত। কি আর করা- ওটাকে দিয়েই ওদের শায়েস্তা।
৫. তোদের ওখানে ব্যবসা, খনিজ, গার্মেন্টস, স্টক মার্কেট এগুলো আমরাই করবো, তোর মানুস কেবল খাটবে। আশেপাশের ষ্টেটগুলার মালামাল তোর কাছেই বিক্রি করার ইচ্ছা আমার। বর্ডারে ব্যবসাটা খুব জরুরী। ফারাক্কা আছে; টিপাইমুখ, ফুলেরটাল এসবও হবে। কোনো কথা নয়- একদম না।
৬. মার্কিনীদের সেই কবে থেকে গেলাচ্ছি, তোরা জঙ্গী বানাস- সেটা আমার স্বার্থের বিরুদ্ধে এবং তাদেরও। তাই মুল পরিকল্পনাটায় ওদের পুরো সাঁয়।
৭. জঙ্গী গভর্মেন্টের শেষ বছরে তান্ডব লাগিয়ে গদি দখলের চেষ্টা। কিন্তু, ব্যাটে-বলে হলো না। পরের বছর শুরুতেই এলো- সেই মহেন্দ্রক্ষণ।
ব্যস, মইন একে একে সবকিছু এগিয়ে নিলো। প্রথমেই, একাত্তরের দাসখতের কথা স্বীকার, পরে দু’দেশের মধ্যে মেলবন্ধন তেরী। লোকটা ভালো, কিন্তু জাতে মোসলেম- তাই পুরো বিশ্বাস করা কঠিন।
৮. ব্যাটাসহ খালেদা খুবই বিপজ্জনক। আপাতত আমার ফায়দাগুলো উঠিযে নেয়া পর্যন্ত ওদের গদির বাইরে রাখাটা খুবই জরুরী, অন্তত আরেকটা বার।
সমন্বিত প্রচারে ওরা এখন “দুর্নতিবাজ”। আরো কিছুদিন খাওয়ানো যাবে গীতটা। আরেকবার সবগুলাকে গারদ করতে পারলে বাকীটা শোধ করা যাবে।
৯. উনত্রিশ তারিখের এলেকশনের রেজাল্টটা খুব যত্নে তৈরী। তবে আগে “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী” ষ্টেট ডিপার্টমেন্টে দু’দফা হলফ করে আসলো।
আর কত লাগবে সীট তোর? নে। এবারে লিখে দে সব কিছু।
১০. বাঙ্গালী মোচলমানরা নির্বোধের জাত- একটা মূলা ঝুলিয়ে দিলেই হলো। এই নে- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।