নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই
রাজশাহী। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তর-পশ্চিমে পদ্মার তীর ঘেষে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় এক নগরী। ৮টি জেলা(পূর্বের ১৬টি) নিয়ে গড়ে উঠেছে রাজশাহী বিভাগ। রাজশাহীকে বলা হয় শান্তির নগরী, শিক্ষাগরগরী এবং রেশমনগরী। রাজশাহীর রসময় আমের কথা না বলা হলে রাজশাহীর প্রতি অবিচার করা হবে।
যেভাবে যাবেন-
আকাশপথ(বর্তমানে বন্ধ), রেলপথ, সড়কপথ এবং জলপথে রাজশাহীতে যেতে পারেন।
আকাশপথ: শাহমুখদুম বিমানবন্দর। রাজশাহী শহরের নিকটবর্তী নওহাটায় অবস্থিত বিমান বন্দরটি রাজধানী ঢাকার সাথে রাজশাহীকে আকাশ পথে যুক্ত করেছে।
সড়কপথ: রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় প্রতি আধা ঘন্টায় একটি করে বাস ছাড়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে। রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বাস সার্ভিসগুলোর অন্যতম:
১. গ্রীন লাইন
২. ন্যাশনাল ট্রাভেলস
৩. মডার্ন এন্টারপ্রাইজ
৪. শ্যামলী পরিবহন
৫. হানিফ এন্টারপ্রাইজ
রেলপথ: সিল্কসিটি এক্সপ্রেস।
রেলপথে ঢাকা থেকে রাজশাহী যাবার অন্যতম আধুনিক আন্ত:নগর রেল ব্যবস্থা। এছাড়াও আরো কয়েকটি আন্ত: নগর রেল রয়েছে। সিল্কসিটি ঢাকা থেকে দুপুর ২.৪০ মি. এ ছেড়ে যায়। এবং রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে সকাল ৭.৩৫ মি. এ।
স্থানীয় যোগাযোগ: শহরের মধ্যে ঘুরতে হলে সর্বোত্তম বাহন হলো রিকশা।
এছাড়াও ব্যাটারী চালিত অটো-রিক্সা সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী।
যেখানে বেড়াবেন:
পদ্মার তীর: শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা। যে সময়ই হোক না কেন, পদ্মার তীর আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এখানে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃদুমন্দ বাতাসের সাথে ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
হযরত শাহমুখদুম(র.) মাজার: রাজশাহীর পদ্মার তীরঘেষে গড়ে ওঠা দরগাপাড়ায় অবস্থিত মাজারটি রাজশাহীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ন স্থান।
বরেন্দ্র যাদুঘর: হিন্দু, মুসলিম এবং বৌদ্ধের বিভিন্ন স্মুতি চিহ্ন পাবেন এখানে।
কেন্দ্রীয় উদ্যান এবং চিড়িয়াখানা: পদ্মার তীর ঘেষে গড়ে ওঠা অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র।
শহীদ জিয়া পার্ক: মনোরেল, বাম্পিং কার সহ বেশ কিছু মজাদার রাইড সহ শহরের নিকটে এই বিনোদন কেন্দ্রটি অবস্থিত।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: প্রকৃতি এবং শিক্ষার অসাধারন সমন্বয়। বেড়িয়ে আসুন।
আপনার ভালো লাগবেই।
কাশিয়া ডাংগা: এখান থেকে শুরু করে চাপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত রয়েছে সু বিস্তৃত আম বাগান।
বাঘা মসজিদ: পঞ্চাশ টাকার নোটে যে মসজিদটি দেখতে পান সেটিই হলো রাজশাহীর বাঘা মসজিদ। রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৪০কিমি পুর্বে অবস্থিত।
পুঠিয়া রাজবাড়ী: রাজশাহী শহর থেকে ৩০কিমি পুর্বে অবস্থিত পুঠিয়ায় গেলে দেখতে পাবেন পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ শিবমন্দীর সহ অসংখ্য পুরা কীর্তি।
সারদা পুলিশ একাডেমী: রাজশাহী থেকে ৩০ কিমি দুরে পদ্মার তীরবর্তী সারদায় রযেছে পুলিশ প্রশিক্ষন কেন্দ্র।
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ: পুলিশ একাডেমীর কাছেই রয়েছে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ।
কেনাকাটা:
সাহেব বাজার, আরডিএ মার্কেট, কাপড়পট্টি, নিউমার্কেট থেকে আপনার দরকারী জিনিসগুলো কিনে ফেলতে পারেন।
কোথায় খাবেন?
চাইনিজ: নানকিং চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং কুকিজার রয়েছে পদ্মার তীরবর্তী মনিবাজারে। সাফাওয়াং রয়েছে গ্রেটার রোডে।
চিলিস রয়েছে সাহেব বাজারে। দেশী খাবারের জন্য “হিলসা” রয়েছে বাটার মোড়ে এবং হোটেল রহমানিয়া রয়েছে মালোপাড়ায়। মিষ্টির জন্য “রাজশাহী মিষ্টান্নভান্ডার” এর তুলনা আর কেউ নেই।
থাকবেন কোথায়?
অনেক হলো.. এবার শরীরের দিকে একটু নজর দিন। তার বিশ্রাম প্রয়োজন।
ভালো মানের হোটেলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:
১. পর্যটন মোটেল
২. হোটেল হকস ইন।
৩. রেড ক্যাসল ইন।
৪. হোটেল নাইস
৫. সুকণ্যা ইন্টারন্যাশনাল
(আগামিতে আরো আপডেট সহ দেবার আশা রইলো)
আমার ডায়েরী তে প্রকাশিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।