মানুষের মনে আজ বাসা বেধেছে হিংসা আর ঘৃণা... মানবতা আজ ফেরারী... দিকে দিকে আজ শয়তানের উল্লাস নৃত্য......
অধকাংশ মানুষ শৈবাল কে একটি বিরক্তি কর গাছ মনে করে। কিন্তু এক জনের পুকুরের বিরক্তি কর জিনিস আর একজনের কাছে গোল্ড হতে পারে। প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শৈবাল মূল্যবান সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে এই ধরনের শৈবালের খোজেঁ গবেষণা চলছে যা ভবিষ্যতে ফুয়েল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এখন পর্যন্ত ৩০,০০০ প্রজাতির শৈবালের সন্ধান পাওয়া গেছে।
শৈবাল এক ধরনের আনুবীক্ষনিক জীব, যা সূর্যের আলো থেকে শক্তি তৈরি করে, একই সময় বাতাশ থেকে CO2 শোষণ করে। শৈবাল এই কার্বন কে প্রথমে চিনি, তারপর তা থেকে তেল তৈরি করে যা কিনা ফুয়েলে রুপান্তর করা যাবে। শেভরণ, কনোকো ফিলিপস, এক্সন মোবিল, রয়েল ডাচ সহ বড় বড় তেল কোম্পানী এই নিয়ে গবেষণা করছে।
ছবিঃ গবেষণাগারে শৈবাল উৎপাদন।
অন্যান্য ভেজিট্যাবল থেকে দ্রুত জন্মানো ক্ষমতা আর তুলনামূলক বেশি তেল উৎপাদন ক্ষমতার কারণে, শৈবাল এর ফুয়েল এর উৎস হিসেবে ব্যবহার সম্ভাবনা উজ্জল।
এক হেক্টর জমির সয়াবিন যেখানে মাত্র ৫০০ লিটার তেল উৎপাদন করতে পারে এক বছরে, সেখানে এক হেক্টর অগভীর পুকুরের শৈবালের ক্ষমতা ৪৭,০০০ লিটার।
শৈবাল এর তেল উৎপাদন ক্ষমতা আশ্চর্য হওয়ার মত কিছু নয়, কারণ, খুব সম্ভবত আদিকাল এ সাগরের নিচে মাটি চাপা পরা শৈবালই এখন আমরা গাড়ীতে যে তেল ব্যবহার করি তার উৎস।
তবে হিসেব করে দেখা গেছে যে বর্তমানে শৈবাল থেকে তেল উৎপাদন খরচ অনেক বেশি, ২১০-৬৩০ টাকা প্রতি লিটার। তবে গবেষকরা আশা করছেন, আগামি ১০ বছরের মধ্যে শৈবাল থেকে উৎপাদিত তেল মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে। তবে কেউ কেউ বলছেন, শৈবাল যত টুকু শক্তি উৎপাদন করে, তার চেয়েও বেশি শক্তি শোষন করে।
আমাদের দেশেও এই নিয়ে গবেষনা চলতে পারে। আমাদের যেহেতু তেলের খনি নেই, তাই শৈবাল থেকে তেল উৎপাদন আমাদের জন্য বেশি লাভ জনক হতে পারে।
বিঃ দ্রঃ- আমি সেফ হ ওয়ার আগে এটা পোস্ট করেছিলাম। তাই অল্প কয়েকজনের কাছে কমন পড়তে পারে, তাদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
সূত্রঃ IEEE Spectrum.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।