আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি গবেষণা।

জীবনটা যেন এক বর্ণীল প্রজাপতি

এটাকে ঠিক গবেষণা বলা যাবে কিনা আমি জানিনা! তবে, প্রশ্নটি মাথায় ঢুকেছে, তাই এই আলোচনার অবতারনা। পুরুষের চেয়ে নারীর বয়স বেশি হলে বিয়ে দিতে কি সমস্যা? এটা কে কোথায় কবে প্রনয়ণ করেছে? কেন আমাদের বাংলাদেশী সমাজ এটা মানতে চায়না? কেন ট্যাড়া দৃষ্টি নিয়ে তাকায়? আসল সমস্যাটি কোথায়? একটা কথা ভেবে দেখা দরকার, আমরা হয়তো এ বিষয়টির ব্যাপারে খুব কড়াকড়ি করি অনেক ফ্যামিলিতেই। কিন্তু , তারা কি ভেবে দেখেছেন আমরা প্রায় সবাই (কিছু ব্যতিক্রম থাকতেও পারে, তাই 'প্রায়' শব্দটি ব্যাবহার করলাম!) এস এস সি পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করার সময় মূল বয়সের চেয়ে কমিয়ে জন্ম তারিখ লিখে থাকি। উদ্দেশ্য?!! পড়াশুনা শেষ করার পর সরকারি চাকুরির দরখাস্ত করার জন্য যেন বয়সটা থাকে! আরেকটি উদ্দেশ্যেও বয়স কমানো হয়ে থাকে। সেটি হলো, ভালো স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য! আমার আপন খালাতো বোনকেই তো দেখলাম, ওকে ওয়াই ডব্লিউ সি এ স্কুলে প্লে-তে ভর্তি করাতে গিয়ে ৩বছর কমিয়ে দেয়া হলো।

এরকমটা প্রায়ই হচ্ছে। আর বড় হয়ে যাবার পর এই হিসেবটা বাবা-মা আর কাছের জনরা ছাড়া বাকিদের কেউ জানতে পারেনা। তো আমার কথা হলো, এই যে বয়সটা চাপা পড়ে যাচ্ছে, এদের হিসেবতো রাখা হচ্ছেনা! বলার আগে সব কিছু ঠিক ছিলো, কিন্তু বলার পরই সব গেলো হোরিলুট হয়ে!! এ কেমন মানসিকতা!! :-O পাত্রের চেয়ে পাত্রীর বয়স বেশি তা অনেকেই না মানলেও এমন বিয়ে যে ঘটছেনা তা নয়। তারা মিয়া-বিবি সুখে ঘর কন্না করছে। ফুটফুটে সন্তান হয়েছে।

অনেকে বলে থাকেন, মেয়ের বয়স বেশি হলে মানে ৩৩-৩৪ পার হয়ে গেলে তার সাথে তার কম বয়সী জামাই হলে নাকি বাচ্চা-কাচ্চা নেয়া সমস্যা। সামাজিকতা সমস্যা! আমার খুব কাছের একজনকে দেখেছি, মেয়ের বয়স ৩৫ পার হয়ে গেছে, ৩৭ হয়ে গেছে বললেও ভুল হবেনা(বলতে শুনেছি!)। ওনার বিয়েই হচ্ছিলোনা। এমনিতে চেহারা খারাপ নয়। তবে, বয়সের ছাপ পড়ে গিয়েছিলো।

আর তার পছন্দের ছেলেটির বয়স ২৮, মাত্র পাশ করে চাকরীতে জয়েন করেছেন। এই বিয়েতে প্রথমে কেউ রাজী ছিলোনা! পরে অনেক বাধা পেরিয়ে তারা এক সাথে হয়েছেন পরিবারের সবার মত প্রতিষ্ঠা করেই। এবং সুখে ঘর কন্ণা করছেন। একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান নিয়ে ভালই আছেন দুজনে। ঘটনাটি কয়েক বছর আগের।

এরকম উদাহরণ আরো অনেক আছে। আমাদের সমাজের আনাচে কানাচে। আমরা সেইসব উদাহরণ দেখেও চোখ বুজে থাকতে ভালোবাসি। আমাদের গোচরে আনতে চাইনা। কিন্তু , কেন? আমরা কেন প্রথমেই নাক শিটকাই? কেন তেড়ে আসেন অভিভাবকরা? জানতে ইচ্ছে করে! :-? আমরা কি আমাদের দৃষ্টিভন্গী পাল্টে শুধু দুজন নর- নারীর ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিয়ে পারিপার্শিক অন্যান্য বিষয় যেমন তাদের নিজেদের সামন্জস্যতা, সংসার চালানোর ক্ষমতা এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে তাদের বিয়েতে মত দিতে পারিনা? এই প্রশ্ন থাকলো পাঠকের কাছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.