আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৌরশক্তি গবেষণা: একটি ভাল খবর

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

বিকল্প শক্তি উৎস হিসাবে সৌরশক্তিকে নানাভাবে দেখা দরকার। আমাদের জন্য এই কাজটা মনে হয় ফরজ। সৌরবিদ্যুতের দুইটি দুর্বল জায়গার একটি হলো এখানে যে বিদ্যুৎ তৈরি হয় সেটা ডিসি বা সম বিদ্যুৎ। বাসা বাড়িতে আমাদের যে বিদ্যুৎ দরকার সেটা এসি।

এ কারণে সোলার প্যানেলের সঙ্গে একটি ইনভার্টারও লাগে যা কী না সম বিদ্যুৎ প্রবাহকে পরিবর্তী প্রবাহে পরিণত করে। আর হল স্টোরেজ। ব্যাটারি। মানে তখন বিদ্যুৎকে রাসায়নিক শক্তি করে রাখতে হয়। এই দুইটি কাজে ম্যালা শক্তির অপচয় হয়।

ফলে সৌরবিদ্যুতের দক্ষতা কম। এখন এমন কী কোন কাজ আছে যেখানে আমরা ডিসি বিদ্যুৎ এবং সংরক্ষণ বা ব্যাটারি দুইটার দরকার হয় না? এই চিন্তা থেকে গেল বছরের শুরু দিকে আমরা ভাবলাম মাঠের সেচকাজে সোলার প্যানেলকে নতুন করে ব্যবহার করা যায় কী না। যদি দিনের বেলায় মাঠে মোটর চালানোর জন্য সোলার প্যানেল ব্যবহার করি তাহলে আমাদের রাতের জন্য কিছু সংরক্ষণ করতে হবে না। ব্যাটারি বাদ। আর যদি এসি মোটর ব্যবহার না করি তাহলে ইনভার্টারও লাগবে না।

ডিসি মোটর দিয়ে পানি তুলে আনাটা কঠিন তবে, এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় পাঠানোর কাজ হয়তো করা যেতে পারে। আমার যত পরিকল্পনা তার সবই শেষ পর্যন্ত কয়েকটা জায়গায় গিযে থামে। চিন্তাটা নিয়ে আমি গিয়েছিলাম লুৎফুল কবীর স্যারের কাছে। বুয়েটের আইআইসিটির এই স্যার গবেষণাকে মোটামুটি একটি জায়গায় নিয়ে গেছেন। স্যার এই চিন্তাটা নিলেন।

আর আমি বাঁচলাম। স্যার শুরু করলেন হিসাব নিকাশ। তারপর শুরু করলেন একটি ছোট ট্রায়াল, বুয়েটের সিভিল বিল্ডিং‌এর ছাদে। তখন আমরা বুঝলাম যে, এটা যদি সফল করতে হয় তাহলে ট্রায়ালের জন্য ৩০-৪০ লাখ টাকা দরকার। কে দেবে? সরকার‌-যুৎ করতে পারলাম না।

ইউএন - পাত্তাই দিল না। আমাদের শেষ উপায়। প্রথম আলোর একজন প্রতিবেদক গিয়ে সেটা দেখে আসলেন। তারপর সে স্টোরি ছাপা হলো বিজ্ঞান প্রজন্মে। সে স্টোরি দেখে এগিয়ে আসলো বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স।

কিছুদিন আগে স্যার তাদের মিটিং-এ গিয়ে সব কিছু ব্যাখ্যা করে আসলেন। আজ সকালে অফিসে গিয়ে স্যারের মেইল পেলাম, একাডেমি গবেষণার খরচ যোগাতে রাজী হয়েছে। ফোন করলাম নাইয়ুম চৌধুরী স্যারকে। নাইযূম চৌধুরী একাডেমির সাধারণ সম্পাদক। তিনি জানালেন সব কিছু চূড়ান্ত হয়েছে।

এই মাসের মধ্যে তারা টাকাটা লুৎফুল কবীর স্যারের হাতে তুলে দেবেন। আমি নিশ্চিত ভাবে জানি, আল্লাহর অশেষ রহমতে স্যার তাঁর প্রচেষ্টায় সফল হবেন। আর এর মাধ্যমে যদি আমরা আমাদের বোরো মৌসুমের ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাসাবাড়িতে ফেরৎ আনতে পারি তাহলে কতো না উপকার হবে। আর রাতের বেলায় যেহেতু পাম্প চালাতে হবে না, কাজে গ্রামের সাধারণ জীবনটাও তার ছন্দ ফিরে পাবে। আল্লাহ নিশ্চয়ই আমাদের সঙ্গে থাকবেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।