দলবদলের দাবিতে খেলোয়াড়রা আন্দোলন করছেন। কয়েক জন খেলোয়াড় জাতীয় দলের পাকিস্তানি কোচ নাভিদ আলমের সঙ্গে অশোভন আচরণও করেছেন।
শাস্তি হিসেবে রাসেল খান বাপ্পিকে আজীবন, আরিফুল হক প্রিন্সকে ১০ বছর এবং শামসুদ্দিন তুহিন, আসাদুজ্জামান চন্দন ও আশিকুজ্জামানকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফেডারেশন। এই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে হকিতে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।
এই অচলাবস্থার জন্য ফেডারেশনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহকে দায়ী করছেন মোহামেডানের হকি কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান সাজেদ এএ আদেল। তিনি বলেন, “সাধারণ সম্পাদক শুধু মুখেই হকির মঙ্গল কামনা করছেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করছেন না। বরং তিনি হকির স্বার্থবিরোধী কাজ করছেন। ”
“তাছাড়া ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি অবৈধ। যারা অবৈধভাবে পাঁচ জনকে কাউন্সিলর নিয়েছেন, তাদের কমিটিকে আমরা বৈধ বলে স্বীকার করি না।
এই অবৈধ কমিটির অধীনে আমরা হকির কোনো কার্যক্রমে অংশ নেবো না। ”
তিনি আরো বলেন, “খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে হকি ফেডারেশনের মামলা করা ঠিক হয়নি। খেলোয়াড়রা কোনো অন্যায় করলে তাদের শাস্তি দেয়া যেতেই পারে। কিন্তু তাই বলে মামলা করা হবে? বাংলাদেশের হকির ইতিহাসে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। ”
তবে সাজেদ আদেলের সঙ্গে একমত নন খাজা রহমতউল্লাহ।
তিনি বলেন, “খেলোয়াড়রা যে অন্যায় করেছে সেজন্য তাদের শাস্তি পেতেই হবে। আমরা হকির স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করিনি। বরং আমরা সব সময় হকির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। ”
সমস্যা সমাধানের আশা প্রকাশ করে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “হকিতে চলমান সঙ্কট দূর হওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। এটা ঠিক যে কয়েকটি ক্লাব খেলতে রাজি নয়।
তবে কয়েকটি ক্লাবের খেলতে আপত্তি নেই। আশা করি (অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের) এশিয়া কাপের পর সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। ”
“আমরা আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত সব ক্লাবই খেলতে রাজি হবে। হকির মঙ্গলে তারা এগিয়ে আসবে। ক্লাবগুলো তো খেলার জন্যই দল গঠন করে।
”
সঙ্কট কবে কাটবে, তা এখনই বলার উপায় নেই। তবে তারকা খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমি নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায়। তিনি বলেন, “হকিতে কোনো সঙ্কট হলে শুধু খেলোয়াড়দেরই ভুক্তভোগী হতে হয়। দলবদল না হওয়া মানে আমাদের রুটি-রুজিও বন্ধ। তাই হকির স্বার্থে ক্লাব এবং ফেডারেশনকে সবকিছু ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
”
“আমরা আন্দোলন করতে চাই না। আমরা চাই নিয়মিত দলবদল, নিয়মিত লিগের আয়োজন। তাহলেই সবকিছু ঠিকভাবে চলবে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।